বরুণকে ফর্মে ফিরতে দেখে উচ্ছ্বসিত শ্রেয়াস

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ঘরের মাঠে দিল্লি ক্যাপিটালসকে পাত্তাই দেয়নি কলকাতা নাইট রাইডার্স। বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পর ফিল সল্টের ঝড়ো ইনিংসে অনায়াস জয় পায় দলটি। ইডেন গার্ডেন্সে সাত উইকেটে পাওয়া জয়ে বল হাতে বড় অবদান রাখেন বরুণ চক্রবর্তী। ম্যাচ শেষে আলাদাভাবে তাকে কৃতিত্ব দিয়েছেন শ্রেয়াস আইয়ার।
ম্যাচটিতে পাওয়ার প্লে'র মধ্যেই তিন উইকেট হারায় দলটি। প্রথম স্পেলে ভৈরব অরোরা দারুণ বোলিং করলে তার সামনে সুবিধা করতে পারেনি দলটি। ৩৭ রান তুলতেই তিন উইকেট হারানো দলটিকে টেনে তোলার চেষ্টায় থাকে ঋষভ পান্ত।

যদিও ২০ বলে ২৭ রান করে বরুন চক্রবর্তীর ঘূর্ণিতে ফিরে যান পান্ত। এক্সট্রা কাভারে ক্যাচটি নেন শ্রেয়াস। পরে ৭ বলে ৪ রান তোলা ত্রিস্টান স্টাবসকেও ফেরান বরুণ। উইকেটের পেছনে ক্যাচটি নেন সল্ট। অনেকটা একইভাবে কুমার কুসাগরাকেও বিদায় করেন বরুণ। মাত্র ১৬ রান খরচায় তিন উইকেট নেন তিনি।
ম্যাচ শেষে শ্রেয়াস বলেন, ‘গত কয়েকটা ম্যাচে সেরা ফর্মের বরুণকে আমরা পাইনি। একটু চাপে ছিল। অথচ দিল্লির বিরুদ্ধে দারুণ বল করল। আমরা ঠিক এ রকম পারফরম্যান্স চাই। সত্যিই খুব ভাল বল করেছে। প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে দিয়েছিল বরুণ।’
১৫৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লে'তেই ৭৯ রানের জুটি গড়েন কলকাতার দুই ওপেনার সল্ট এবং সুনীল নারিন। নারিন ১৫ রানে ফিরলেও ৩৩ বলে ৬৮ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলে দলের জয় সহজ করে দেন সল্ট।
শ্রেয়াস আরও বলেন, ‘পিচ এমন হবে আশা করিনি। শেষ কয়েকটা ম্যাচে পাওয়ার প্লের পর বল ঘুরেছে। স্পিনারেরা সাহায্য পেয়েছে। ব্যাট করা কঠিন হয়েছে। তাই দিল্লির বিরুদ্ধে প্রথমে বল করার সুযোগ পেয়ে ভালই হয়েছে। কী ভাবে ব্যাট করা উচিত, তার একটা ধারণা আমরা পেয়েছি।’
‘সুনীল নারিন নিজের মতো খেলে। কখনও ব্যাটিং সংক্রান্ত আলোচনায় থাকে না। আমিও নারিনকে ডাকি না। দলের বৈঠকে ফিল সল্টই বলে দেয় কী ভাবে খেলা দরকার। তার পর তো দেখলেন, নিজেই দুর্দান্ত একটা ইনিংস খেলল। বাইরে বসে এমন ব্যাটিং দেখতেও ভালো লাগে।