শেষ ওভারের শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে হায়দরাবাদের ২ রানের জয়

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পাঞ্জাব কিংসের জন্য সমীকরণটা মোটেও সহজ ছিল না। ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে ২৯ রান করতে হতো আশুতোষ শর্মা এবং শশাঙ্ক সিং। আগের ম্যাচে তাদের দুজনের ব্যাটেই জয় পেয়েছিল। এদিনও তাই আশুতোষ ও শশাঙ্কের দিকে তাকিয়ে ছিল শিখর ধাওয়ানের দল। কঠিন সমীকরণে শুরুটা বেশ ভালো করলেন আশুতোষ। জয়দেব উনাকাটের অফ স্টাম্পের বাইরের হাফ ভলিতে কোন ভুল করলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরে সহজেই ছয় রান তুলেছেন। পরের দুই বলে টানা দুই ওয়াইড দিয়েছেন উনাদকাট। তাতে প্রথম বল থেকেই এসেছে ৮ রান।
ম্যাচ জিততে তাই শেষ ৫ বলে প্রয়োজন ২১ রান। পরের বলে আশুতোষ ছক্কা মারলেন লং অফের উপর দিয়ে। সমীকরণটা ক্রমশই সহজ হয়ে আসছিল। পাঞ্জাবের ড্রেসিং রুমেও তাই জয়ের স্বপ্নটা বুনতে শুরু হয়েছিল। পরের দুই বলে কোন বাউন্ডারি হজম না করে দিলেন ৪ রান। চাপের মাঝে ওয়াইড দিয়েছেন আরও একটা। সমীকরণ তখন ২ বলে ১০ রান। পঞ্চম বলে অবশ্য উনাদকাটের স্লোয়ারে পরাস্ত আশুতোষ।

ক্যাচ তুলে দিলেও সেটা লুফে নিতে পারেননি রাহুল ত্রিপাঠি। যার ফলে এক রান পেয়ে যায় পাঞ্জাব। ম্যাচ জেতার জন্য হায়দরাবাদ তখন একটি লিগ্যাল ডেলিভারি করতে পারলেই হলো, পাঞ্জাবের জন্য অবশ্য ১ বলে ৯ রানের সমীকরণ। শশাঙ্ক ছক্কা মারলেন বটে, তবে জয়ের জন্য যথেষ্ট হলো। উনাদকাটের শেষ ওভারে ২৬ রান নেয়ার পরও রোমাঞ্চকর ম্যাচে ২ রানের জয় পেয়েছে হায়দরাবাদ। পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে প্যাট কামিন্সের দল।
জয়ের জন্য ১৮৩ রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি পাঞ্জাবের। বড় লক্ষ্য তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারে উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। কামিন্সের দারুণ এক ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন জনি বেয়ারস্টো। দ্রুতই বিদায় নিয়েছেন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামা প্রভসিমরান সিং। ৬ বলে ৪ রান করে ফিরেছেন ভুবনেশ্বর কুমারের পঞ্চম স্টাম্পের লেংথ ডেলিভারিতে মিড উইকেটে থাকা নীতিশ কুমার রেড্ডির হাতে ক্যাচ দিয়ে। সাবধানী শুরুর চেষ্টা করলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ধাওয়ান।
ভুবনেশ্বরের লেংথ ডেলিভারিতে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়েছিলেন পাঞ্জাবের অধিনায়ক। দারুণ দক্ষতায় হেনরিখ ক্লাসেন স্টাম্পিং করলে ধাওয়ানকে ফিরতে হয় ১৪ রানে। মাত্র ২০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। স্যাম কারান টেনে তোলার চেষ্টা করলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ২২ বলে ২৯ রান করে ফিরেছেন থাঙ্গারাসু নাটারাজনের বলে কামিন্সকে ক্যাচ দিয়ে। সিকান্দার রাজা আউট হয়েছেন দলের রান একশ হওয়ার আগেই।
উনাদকাটের স্লোয়ার ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে থাকা ক্লাসেনকে ক্যাচ দিয়েছেন ২৮ রান করা রাজা। জিতেশ শর্মা ফিরেছেন ১১ বলে ১৯ রানের ইনিংস খেলে। শেষ দিকে শশাঙ্ক ২৫ বলে ৪৬ এবং আশুতোষ ১৫ বলে ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললেও পাঞ্জাবকে জেতাতে পারেননি। হায়দরাবাদের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন ভুবনেশ্বর। একটি করে উইকেট পেয়েছেন কামিন্স, নাটারাজন, নীতিশ এবং উনাদকাট।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ১৮২ রানের পুঁজি পায় হায়দরাবাদ। সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ রানের ইনিংস খেলেছেন নীতিশ। এ ছাড়া আব্দুল সামাদ ২৫, ট্রাভিস হেড ২১ এবং অভিষেক শর্মা করেছেন ১৬ রান। পাঞ্জাবের হয়ে একাই চার উইকেট নিয়েছেন আর্শদীপ সিং। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন কারান ও হার্শাল প্যাটেল।