promotional_ad

নাহিদের গতি ও রিশাদের ঘূর্ণিতে শাইনপুকুরের জয়

promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


বৃষ্টির কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্য ছোট হয়ে আসায় ৪৩ ওভার খেলতে হয় শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে। ইরফান শুক্কুরের ৮৪ এবং খালিদ হাসানের ৬৩ রানে অবশ্য বড় পুঁজিই পায় তারা। ২৪৩ রান তাড়া করতে নামা গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে লড়াই করতে দেননি নাহিদ রানা এবং রিশাদ হোসেন। দুজনেই নিয়েছেন চারটি উইকেট। তাদের দুজনের এমন বোলিংয়ে ১৬১ রানে থামে গাজী গ্রুপ। তবে বৃষ্টি আইনে শাইনপুকুর জয় পেয়েছে ৮০ রানে।


সকাল থেকেই মিরপুরের আকাশ ছিল মেঘলা। এমন দিনে অনুমেয়ভাবেই টস জিতে শাইনপুকুরকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় গাজী গ্রুপ। রুয়েল মিয়ার প্রথম ওভারেই এক ছক্কা ও চারে ১২ রান নিয়ে শাইনপুকুরকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেয়ার আভাস দেন তানজিদ হাসান তামিম। তবে তাকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি রুয়েলই। বাঁহাতি এই পেসারের বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ১২ রান করা তানজিদ।


promotional_ad

ম্যাচের যখন পঞ্চম ওভারের খেলা চলে তখন মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হানা দেয় বৃষ্টি। দীর্ঘ সময় পর ম্যাচ শুরু হলে ম্যাচের প্রতি ইনিংসের দৈর্ঘ্য নামিয়ে আনা হয় ৪৩ ওভারে। বৃষ্টির পর দেখেশুনে খেলতে থাকে জিসান আলম এবং খালিদ। ২০ রান করা জিসানকে অবশ্য ফিরিয়ে দেন মইন খান। এরপর দ্রুতই ফিরেছেন আকবর আলী, রবিউল হক।


তারা দুজন দ্রুতই ফিরলে ৮০ রানে ৪ উইকেট হারায় শাইনপুকুর। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন খালিদ এবং ইরফান। তাদের দুজনের ব্যাটের ওপর করে বড় সংগ্রহের দিকে এগোতে থাকে দলটি। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৮২ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন খালিদ। তিনে নামা বাঁহাতি এই ব্যাটারকে থামান আব্দুল গাফফার। এই পেসারের শর্ট বলে খেলতে গিয়ে ৬৩ রানে সাজঘরে ফেরেন খালিদ। এতে তাদের দুজনের ৮৩ রানের জুটি ভাঙে। অবশ্য উইকেটের অন্য পাশে ৫২ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন শুক্কুর।


মেহরব হোসেনকে নিয়ে দলের রান দুইশ পার করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ইনিংসের ৪০ তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন রুয়েল। ফেরান ১৮ রান করা মেহরব ও রিশাদকে। সবশেষ ইনিংসের শেষ বলে বোল্ড হন শুক্কুর। দুই ছক্কা ও ৮ চারে সাজানো ৮৪ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটারকে আউট করেন আনিসুল ইসলাম। গাজী গ্রুপের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন রুয়েল। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন মইন ও গাফফার।


লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নাহিদ, রিশাদদের তোপের মুখ পরে গাজী গ্রুপ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে পাঁচ উইকেট নেয়া নাহিদ গাজীর দুই ওপেনার পিনাক ঘোষ ও আনিসুল ইসলামকে ফেরান শুরুতেই। এরপর ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকা দলটি ৭৪ রানেই হারায় ৫ উইকেট। তবে সাব্বির হোসেন ও মইন ম্যাচের হাল ধরার চেষ্টা করেন।


সবশেষ সাব্বির ৩৩, মইন ২০ ও গাফফার ১৯ রান করলে ১৬১ রানে থামে দলটি। শাইনপুকুরের হয়ে চারটি করে উইকেট নিয়েছেন নাহিদ ও রিশাদ। একটি করে উইকেট পেয়েছেন আরাফাত সানি ও হাসান মুরাদ। এই জয়ে ৯ ম্যাচ শেষে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে উঠল আকবরের দল। সমান ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে আছে গাজী গ্রুপ।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball