শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের হার পাপনের চোখে...‘বিচ্ছিরি’..‘জঘন্য’

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
টি-টোয়েন্টি সিরিজ আশা জাগিয়েও হেরেছিল বাংলাদেশ। ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলেও ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে বাস্তবনা দেখিয়েছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। কিন্তু আবারও ফরম্যাট বদলাতেই বদলে যায় বাংলাদেশের পারফরম্যান্স। সিলেট টেস্টে বাংলাদেশের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর ক্ষিপ্ত বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচের চতুর্থ দিনে এসে শ্রীলঙ্কার কাছে ৩২৮ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ৫১১ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৮২ রানেই গুটিয়ে গেছে টাইগাররা। প্রথম ইনিংসে ১৮৮ রানে অলআউট হয়েছিল দলটি। শ্রীলঙ্কা তাদের দুই ইনিংসে যথাক্রমে ২৮০ ও ৪১৮ রান করে।

আগের দিন যেভাবে কাণ্ডজ্ঞানহীন সব শট খেলেছেন টাইগার ব্যাটাররা, ম্যাচের ভাগ্য এক অর্থে তখন নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। বিশেষকরে লিটন দাসের শটের ক্রিকেটীয় কোনো ব্যাখ্যাই দিতে পারেননি কেউ। সেখানে এদিন শ্রীলঙ্কার অপেক্ষাটাই কেবল বাড়িয়েছেন মুমিনুল হক।
মুমিনুল ছাড়া কথাটা ভুলে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের বাকি সব স্বীকৃত ব্যাটাররা। তাই তো চড়াও হতে সময় নেননি কেউ। কেউ তো আবার নেমেই উইকেট ছেড়ে বেড়িয়ে খেলতে গিয়েছেন। তাতে যা হবার তাই হয়েছে। বাংলাদেশের এমন পারফর্মম্যান্সে ক্ষিপ্ত নাজমুল হাসান পাপন।
নাজমুল হাসান বলেন, 'টেস্টে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে জিতব এমনটা বলার মতো আত্মবিশ্বাস যে ছিল, এটা বলা ঠিক হবে না। এটা আসলেই ছিল না। সমস্যা হচ্ছে, এখানে হারাটা নিয়ে না। সমস্যা হচ্ছে যেভাবে তারা হেরেছে। যে ভাবে তারা খেলেছে। তাদের যে মাইন্ডসেট, অ্যাটিটিউড, শট সিলেকশান, এটা জঘন্য। বিচ্ছিরি ছিল দেখতে। মনে হচ্ছে হয়ত তারা খেলতে চায় না এই ফরম্যাটে।'
'অথবা অন্য কোনও সমস্যা। এটা নিয়ে আমাদের মন খারাপ হয়েছে। হারা-জিতা নিয়ে একটুও চিন্তিত না। এই ধরনের শট সিলেকশন, এই ধরনের মাইন্ডসেট, এটা টেস্টে যায় না। এখানে কেউ বাচ্চা ছেলে না যে হঠাৎ করে তাদের নামিয়ে দেয়া হলো। এমন না যে তাদের বলে দিতে হবে। তারা প্রত্যেকেই জানে (কী করতে হবে)। এখানে আমাদের মন খারাপ হয়েছে' আরও যোগ করেন।
সিলেট টেস্টে বাংলাদেশের ২০ উইকেটের সবগুলোই দখল করেছে লঙ্কান পেসাররা। স্পিনাররা কোনো উইকেটই পায়নি। অন্যদিকে লঙ্কানদের ২০ উইকেটের ৭টি নিয়েছে বাংলাদেশের স্পিনরা। ১১টি নিয়েছেন পেসাররা। ২টি রানআউট। দ্বিতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এবং শুরু হবে ৩০ মার্চ থেকে।