promotional_ad

খালিদের সেঞ্চুরি মিসের দিনে ইরফানের ঝড়, জিতল শাইনপুকুর

promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে সৌম্য সরকারের কনকাশন-বদলি হিসেবে মাঠে নেমে ৮৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। তবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) দুটি ম্যাচ খেললেও এখনও জ্বলে উঠতে পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার। প্রথম ম্যাচে গাজী টায়ার্স একাডেমির বিপক্ষে করেছিলেন ২৭ রান। পরের ম্যাচে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে তানজিদের ব্যাট থেকে এসেছে ৪ রান। তানজিদের ব্যর্থতার দিনে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের হাল ধরেছেন খালিদ হাসান এবং ইরফান শুক্কুর।


তানজিদ, জাওয়াদ রোয়েন এবং মার্শাল আইয়ুবরা সুবিধা করতে না পারলেও এক প্রান্ত আগলে ৮৫ রানের ইনিংস খেলেছেন খালিদ। শেষদিকে ৪৮ বলে অপরাজিত ৬৬ রানের ইনিংস খেলে শাইনপুকুরকে ২৫৭ রানের পুঁজি এনে ইরফান। শাইনপুকুরকে জেতাতে বল হাতে বাকি কাজটা সেরেছেন হাসান মুরাদ এবং জাওয়াদ। তারা ‍দুজনে মিলে ৭ উইকেট নিয়ে পারটেক্সকে গুটিয়ে দিয়েছেন ১২৯ রানে। ফলে পারটেক্সের বিপক্ষে ১২৮ রানের বড় জয় পেয়েছে শাইনপুকুর।


promotional_ad

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ৪ নম্বর মাঠে জয়ের জন্য ২৫৮ রান তাড়ায় পারটেক্সের হয়ে সাবধানী শুরু করেন আজমির আহমেদ এবং জাহিদুজ্জামান খান। উদ্বোধনী জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৩৬ রান। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে আজমিরকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন জাওয়াদ। ডানহাতি এই স্পিনারের লেংথ ডেলিভারিতে লং অনের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে জাওয়াদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন আজমির।


১৯ রান করে ডানহাতি এই ব্যাটার ফেরার পর তিনে নেমে দ্রুতই আউট হয়েছেন মাইশুকুর রহমান। একই ওভারে তাকেও ফেরান জাওয়াদ। ডানহাতি এই স্পিনারের বলে লেগ সাইডে পুশ করতে চেয়েছিলেন মাইশুকুর। তবে টপ এজ হয়ে বোলার জাওয়াদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন রানের খাতা খুলতে না পারা এই ব্যাটার। লম্বা সময় উইকেটে টিকে থাকলেও ১ রানের বেশি করতে পারেননি ১৮ বল খেলা মোহাম্মদ রাকিব।


উইকেটকিপার শামসুল ইসলাম অনিক রানের খাতাই খুলতে পারেননি। তানবীর হায়দার ৫ এবং হাফ সেঞ্চুরিয়ান জাহিদুজ্জামান ফিরলে দলের রান একশ হওয়ার আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে পারটেক্স। দলের একমাত্র ব্যাটার হিসেবে হাফ সেঞ্চুরি করা এই ওপেনার রিশাদ হোসেনের বলে বোল্ড হয়েছেন ৫৩ রানে। এরপর আর কেউই দাঁড়াতে না পারলে ১২৯ রানে অল আউট হয় পারটেক্স। শাইনপুকুরের হয়ে মুরাদ চারটি এবং জাওয়াদ নিয়েছেন তিনটি উইকেট।


এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে খালিদ একপ্রান্ত আগলে রাখলেও তানজিদ তামিম, জাওয়াদ, মার্শাল আইয়ুব, এসএম মেহেরবরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। একশ রানে ৪ উইকেট হারালেও শাইনপুকুরকে পথ দেখাচ্ছিলেন খালিদ। বাঁহাতি এই ব্যাটার পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৭৬ বলে। দারুণ ব্যাটিং করলেও শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি তার। ৮৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংসে খেলে আজমিরের বলে ফিরেছেন জাহিদুজ্জামানকে ক্যাচ দিয়ে।


অন্যরা ব্যর্থ হলেও শেষ দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন ইরফান। শাইনপুকুরের এই উইকেটকিপার ব্যাটার ৭ চার এবং দুই ছক্কায় ৪৪ বলে খেলেছেন অপরাজিত ৬৬ রানের ইনিংস। কদিন আগে জাতীয় দলে দারুণ ব্যাটিং করা রিশাদ ১৭ বলে করেছেন ২০ রান। তাতেই ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রানের পুঁজি গড়ে শাইনপুকুর। পারটেক্সের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মুক্তার আলি, আসাদুজ্জামান পায়েল এবং আজমির।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball