promotional_ad

পান্তের ফেরার ম্যাচে দিল্লির হার, পাঞ্জাবকে জেতালেন কারান-লিভিংস্টোন

promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


দেড় বছর পর মাঠে ফিরেছেন ঋষভ পান্ত। এই লম্বা সময়ে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়েছে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে গাড়ি দূর্ঘটনায় প্রাণহানির শঙ্কায় পড়েছিলেন এই ভারতীয় ব্যাটার। এক সময় মনে হয়েছিল একটি পা কেটে ফেলতে হবে তার। ফলে ক্রিকেট তো বটেই স্বাভাবিক জীবন নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছিল পান্তের।


অবশেষে সব লড়াই জয় করে আবারও মাঠে ফিরেছেন তিনি। আইপিএলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দিল্লি ক্যাপিটালসকে। অবশ্য পান্তের প্রত্যাবর্তনের ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখতে দেয়নি পাঞ্জাব। তারা এই ম্যাচে দিল্লিকে ৪ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে আইপিএলের এবারের আসরে শুভ সূচনা করেছে পাঞ্জাব।


১৭৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২২ রান করে আউট হন অধিনায়ক ধাওয়ান। তাকে বোল্ড করে ফিরিয়েছেন ইশান্ত শর্মা। আরেক ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ৯ রান করে রান আউট হয়েছেন। এরপর প্রাভসিমরান সিং ও স্যাম কারান মিলে পাঞ্জাবের ইনিংস টেনেছেন। এই দুজনে ৩৩ বলে ৪২ রান যোগ করেছেন।


প্রাভসিমরান ১৭ বলে ২৬ রান করে ফেরেন কুলদীপ যাদবের বলে ডেভিড ওয়ার্নারকে ক্যাচ দিয়ে। এরপর ৯ জিতেশ শর্মাকেও সাজঘরে ফিরিয়েছেন কুলদীপ। ৪ উইকেট হারানোর পর লিভিংস্টোনকে নিয়ে আরেকটি বড় জুটি গড়েন কারান।


promotional_ad

৪২ বলে এই জুটি থেকে আসে ৬৭ রান। মূলত এই জুটির ফলেই বড় জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল পাঞ্জাব। তবে খলিল আহমেদের দারুণ একটি স্পেলে হারের শঙ্কা জাগে তাদের। পরপর দুই বলে খলিল ফিরিয়ে দেন কারান ও শশাঙ্ক সিংকে। ৪৭ বলে ৬৩ রান করা কারান খলিলের শর্ট অব লেংথ ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন। শশাঙ্ক আউট হয়েছেন খলিদের স্লোয়ারে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে।


হ্যাটট্রিক বলটি দারুণভাবেই সামাল দিয়েছিলেন হারপ্রীত ব্রার। তবে পরের বলে ব্রারের সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেন ওয়ার্নার। অবশ্য লিভিংস্টোন ২১ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকে পাঞ্জাবকে ম্যাচ জিতিয়ে ফিরেছেন। সুমিতকে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করে আসেন এই ইংলিশম্যান।


এই ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটিং নিতে চেয়েছিলেন পান্ত। তবে টসে না জিতলেও পান্তের মনের আশাই পূরণ হয়েছে। পাঞ্জাব অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান টসে জিতে আগে ফিল্ডিং বেঁছে নেন। ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ ভালোই শুরু এনে দিয়েছিলেন মিচেল মার্শ ও ডেভিড ওয়ার্নার।


দুজনে মিলে যোগ করেছিলেন ৩৯ রান। মার্শ ২০ রান করে আউট হলে এই জুটি ভাঙে। এরপর ডেভিড ওয়ার্নারও বেশিদূর এগোতে পারেননি। ফিরেছেন ২১ বলে ২৯ রান করে। তিন নম্বরে নেমে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৫ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন শাই হোপ।


প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি পান্ত। তিনি ফিরেছেন ১৩ বলে ১৮ রান করে। এই ইনিংস গড়ার পথে দুটি বাউন্ডারিও মেরেছিলেন পান্ত। অধিনায়ক ফেরার পর রিকি ভুই, ট্রিস্টান স্টাবস ও সুমিত কুমার দ্রুত ফিরে গেলে চাপে পড়ে দিল্লি। যদিও একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেছেন অভিষেক পোরেল। তিনি ১০ বলে ৩২ রানের ক্যামিও খেলেছেন।


মূলত পোরেলের এমন ইনিংসের সুবাদেই লড়াইয়ের পুঁজি নিশ্চিত করে দিল্লি। কুলদীপ যাদব ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হয়েছেন এক রান করে। পাঞ্জাবের বোলারদের মধ্যে আর্শদীপ সিং ও হার্শাল প্যাটেল নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন কাগিসো রাবাদা, হারপ্রীত ব্রার ও রাহুল চাহার।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball