promotional_ad

খেলাটা শেষ করে আসা উচিত ছিল, তানজিদকে নিয়ে শান্ত

promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


একাদশে না থাকলেও সৌম্য সরকারের চোটে কনকাশন-বদলি হিসেবে ব্যাটিংয়ের সুযোগ মেলে তানজিদ হাসান তামিমের। সুযোগ পেয়েছে খেলেছেন ৮১ বলে ৮৪ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস। এমন ব্যাটিংয়ের পরও তানজিদকে নিয়ে আক্ষেপ করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশের অধিনায়ক মনে করেন, তানজিদের খেলাটা শেষ করে আসা উচিত ছিল।


সৌম্যর বদলি হিসেবে নেমে বাংলাদেশকে দারুণ শুরুই এনে দিয়েছিলেন তানজিদ। এক প্রান্তে এনামুল হক বিজয় দেখেশুনে খেললেও সাবলীল ব্যাটিংয়ে রান তুলছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। প্রমোদ মাদুশান, লাহিরু কুমারা থেকে শুরু করে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, সবার বিপক্ষে সাবলীল ছিলেন তিনি। সবাইকে বাউন্ডারিও মেরেছেন তানজিদ।


সুযোগ খুঁজতে থাকা তানজিদ চট্টগ্রামে শেষ ওয়ানডেতে খেলতে নেমেই ৫১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। আক্রমণাত্বক শুরু করলেও বিজয় ও শান্তর বিদায়ের পর ধীরগতির ব্যাটিং করতে থাকেন। মাঝে বিদায় নিয়েছেন তাওহীদ হৃদয় এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। সেঞ্চুরি আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত তিন অঙ্ক ছোঁয়া হয়নি তানজিদের।


promotional_ad

হাসারাঙ্গার বলে লং অনের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েছেন চারিথ আসালাঙ্কার হাতে। ফিরতে হয় ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে। তানজিদের ব্যাটিং নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রশংসা করেছেন শান্ত। তবে বাংলাদেশের অধিনায়কের কাছে ১০০ কিংবা ৮০ রানের চেয়ে ম্যাচ জয়ে অবদান রাখাটাই গুরুত্বপূর্ণ।


তানজিদের ব্যাটিং নিয়ে শান্ত বলেন, ‘খুবই ভালো আমার মনে হয়। ইনিংসটা যেভাবে শুরু করেছে আমার মনে হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত ব্যাটিং করেছে বিশেষ করে মাঝের ওভারে কিছু ওভারে খুবই ভালো ব্যাটিং করেছে। তবে যেভাবে আউট হয়েছে সেটা নিয়ে খুশি ছিলাম না কারণ সেট ব্যাটার উইকেটে খেলাটা শেষ করে আসতে পারলে ভালো হয়। কারণ কেউ ৮০ করসে ১০০ করসে এটা আসলে ম্যাটার করে না যতক্ষণ না দল জিততেসে। গুরুত্বপূর্ণ হল যে রানটা কতটা দলের সাহায্য করতেসে। অবশ্যই শুরুতে ভালো ব্যাটিং করেছে। তবে খেলাটা শেষ করা উচিত ছিল।’


সৌম্যর কনকাশন-বদলির ঘটনাটি ঘটে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং ইনিংসের শেষদিকে। বাউন্ডারি ঠেকাতে গিয়ে পা মচকে পড়ে যান সৌম্য। পরবর্তীতে বিজ্ঞাপনী বোর্ডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে বাংলাদেশের এই ক্রিকেটারের। টিভি রিপ্লে দেখে শুরুতে মনে হচ্ছিল হাঁটুতে চোট পেয়েছেন সৌম্য। যদিও পরবর্তীতে ফিজিও বায়েজিদুল ইসলামের বরাত বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয় ঘাড়ে আঘাত পেয়েছেন তিনি।


শুধু তাই নয় ঘাড়ের সঙ্গে মাথায়ও আঘাত পেয়েছেন সৌম্য। সেই সঙ্গে চোখে ঝাপসা দেখায় শেষ পর্যন্ত তার কনকাশন-বদলি নামাতে বাধ্য হয় বাংলাদেশ। যে কারণে বিজয়ের সঙ্গে ওপেনিং করতে আসেন তানজিদ। শান্ত জানিয়েছেন, কনকাশন-বদলির নিয়ম থাকায় সব ক্রিকেটারই আগে থেকে প্রস্তুত থাকেন। যে কারণে তানজিদের ব্যাটিং দেখে তাকে অপ্রস্তুত মনে হয়নি বলে জানান বাংলাদেশের অধিনায়ক।


শান্ত বলেন, ‘অবশ্যই এখন কনকাশনের যে নিয়মটা আছে যেকোনো প্লেয়ারের যেকোনো সময় খেলতে হতে পারে। প্রত্যেকটা প্লেয়ারের সেভাবে প্রস্তুতি নিতে বলা হয় সেভাবে প্রস্তুত করা হয়। প্রত্যেকটা প্লেয়ার সেভাবে প্রস্তুত হয়। সে কারণেই হয়ত ওর ইনিংসটা দেখে মনে হয় নাই ও প্রস্তুত ছিল না। সে প্রস্তুত ছিল।’



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball