বাংলাদেশের চাই ৪৭১ রান, ভারতের চাওয়া ১০ উইকেট

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
শান্তদের জয়ের পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে বৃষ্টি
১৪ ঘন্টা আগে
শুভমান গিল ও চেতেশ্বর পূজারার সেঞ্চুরির সঙ্গে প্রথম ইনিংসের ২৫৪ রানের লিড, ভারত শেষ পর্যন্ত ইনিংস ঘোষণা করলো পাঁচশ পেরিয়ে। ৫১৩ রানের তাড়ায় বাংলাদেশের সময় দুদিন, সঙ্গে তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলের ১২ ওভার। পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়ায় শেষ বিকেলের পরীক্ষায় বেশ ভালোভাবেই উতরে গেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত এবং জাকির হাসান। দারুণ ব্যাটিংয়ে বিনা উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪২ রান। ম্যাচ জিততে সাকিব আল হাসানের দলের প্রয়োজন এখনও ৪৭১ রান, হাতে সময় দুদিন।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ৫১৩ রান তাড়ায় শেষ বিকেলে সাবধানী শুরু করলেন শান্ত ও জাকির। প্রথম ইনিংসে প্রথম বলেই আউট হওয়ায় শান্ত এদিন টিকে আছেন ৪২ বলে ২৫ রান করে। তাকে সঙ্গ দেয়া জাকির অপরাজিত ৩০ বলে ১৭ রানে।
এরআগে বাংলাদেশের চেয়ে ২৫৪ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। শুরু থেকেই দেখেশুনে ব্যাটিং করেন দুই ওপেনার শুভমান গিল এবং লোকেশ রাহুল। তবে চতুর্থ ওভারে আউট হতে পারতেন গিল। তাইজুল ইসলামের লেগ স্টাম্পের বলে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ব্যাটে-বলে না হওয়ায় তা আঘাত হানে প্যাডে। আবেদন করতেই গিলকে লেগ বিফোর উইকেট আউট দেন আম্পায়ার।
রাহুলের সঙ্গে খানিকটা আলাপ করে রিভিউ নেন গিল। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায় তা লেগ স্টাম্প মিস করতো। ফলে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ডানহাতি এই ওপেনার। এরপর অবশ্য দুজনই বেশ সতর্ক হয়ে খেলেছেন। লাঞ্চের আগে কোন উইকেট না হারিয়ে ৩৬ রান তুলে ভারত। লাঞ্চ থেকে ফিরেও বেশ দেখেশুনেই খেলছিলেন রাহুলরা। যদিও দ্রুত রান তোলায় মনোযোগ ছিল গিলের।
থিতু হওয়া রাহুলকে ফিরিয়ে ভারতের ৭০ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন খালেদ আহমেদ। ডানহাতি এই পেসারের লেগ সাইডের শর্ট ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ফাইন লেগে তাইজুলের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন রাহুল। তাতে ২৩ রানে ফিরে যেতে হয় তাকে। রাহুলের বিদায়ের পর হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন গিল। মেহেদি হাসান মিরাজের বলে এক রান নিয়ে ৮৪ বলে ক্যারিয়ারের পঞ্চম টেস্ট হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।

হাফ সেঞ্চুরির পর ফিরতে পারতেন গিল। ইয়াসির রাব্বির স্পিন করা বল ব্যাট লাগাতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটার। আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেন সাকিব আল হাসান। সেসময় টিভি আম্পায়ার জানান ডিআরএস অফলাইনে। তাতে খানিকটা বেঁচেই যান গিল। এরপর পূজারাকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত রান তুলছেন তিনি। দ্বিতীয় সেশনে ২৪ ওভারে ১০৪ রান যোগ করেছে ভারত।
পান্তের রেকর্ডের দিনে পোপের সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের জবাব
১১ ঘন্টা আগে
চা বিরতি থেকে ফিরে সেঞ্চুরি তুলে নেন গিল। মিরাজের বলে লং অন দিয়ে চার মেরে ১৪৭ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তরুণ এই ওপেনার। সেঞ্চুরির পর অবশ্য টিকতে পারেননি তিনি। মিরাজের গুড লেংথ ডেলভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১১০ রান আউট হয়েছেন গিল। এরপর চার মেরে ৮৭ বলে হাফ সেঞ্চুুরি তুলে নিয়েছেন পূজারা।
আগের দিনের ৮ উইকেটে ১৩৩ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। তবে মেহেদি হাসান মিরাজ ও এবাদত হোসেনের জুটিকে বড় হতে দেননি কুলদীপ যাদব। বাঁহাতি এই স্পিনারের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটকিপারের গ্লাভসে ক্যাচ দেন এবাদত। তাতে ১৭ রানে ফিরে যেতে হয় তাকে। এদিকে এবাদতকে ফিরিয়ে নিজের ফেরার ম্যাচে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন কুলদীপ।
খালেদ আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে খানিকটা সময় পার করার চেষ্টা করলেও এদিন সকালে এক ঘণ্টাও ব্যাটিং করতে পারল না বাংলাদেশ । অক্ষর প্যাটেলের বলে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে মিরাজ স্টাম্পিং হলে ১৫০ রানে অল আউট হয় স্বাগতিকরা। ফলোঅন করার সুযোগ থাকলেও সেই পথে হাঁটেনি ভারত। বাংলাদেশের চেয়ে ২৫৪ রানে এগিয়ে থেকে আবারও ব্যাটিংয়ে সফরকারীরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ভারত (প্রথম ইনিংস)- ৪০৪/১০ (১৩৩.৫ ওভার) (পূজারা ৯০, শ্রেয়াস ৮৬, অশ্বিন ৫৮, পান্ত ৪৬, কুলদিপ ৪০; মিরাজ ৪/১১২, তাইজুল ৪/১৩৩)।
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস)- ১৫০/১০ (৫৫.৫ ওভার) (শান্ত ০, জাকির ২০ ইয়াসির ৪, লিটন ২৪, মুশফিক ২৮, সাকিব ৩, সোহান ১৬, মিরাজ ২৫, এবাদত ১৭; কুলদীপ ৫/৪০, সিরাজ ৩/২০)
ভারত (দ্বিতীয় ইনিংস)- ২৫৮/২ ডিক্লে (৬১.৪ ওভার) (রাহুল ২৩, গিল ১১০, পূজারা ১০২*, কোহলি ১৯*; খালেদ ১/৫১)
বাংলাদেশ (দ্বিতীয় ইনিংস)- ৪২/০ (১২ ওভার) (শান্ত ২৫*, জাকির ১৭*)