শান্তদের জয়ের পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে বৃষ্টি
ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি
আগের দিনের ৩ উইকেটে ১৭৭ রান নিয়ে সকালের শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামেন মুশফিক ও শান্ত। দুজনে মিলে ইতিবাচক ব্যাটিংয়ের ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন। তবে সময় যত গড়িয়েছে তাদের দুজনের ব্যাটিং ততোই ধীরগতির হয়েছে। চতুর্থ দিন শেষে কামিন্দু মেন্ডিস জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে সকালের সেশনে অল আউট করে শেষ দুই সেশনে ম্যাচ জিতে নিতে চান তারা। তবে তাদের সেই আশা পূরণ হয়নি। মুশফিক ও শান্তর সাবধানী ব্যাটিংয়ের বিপক্ষে সুবিধা করতে পারেননি লঙ্কান স্পিনাররা।
গলের আত্মবিশ্বাস কলম্বোতে নিতে চান শান্ত, মিরাজকে নিয়ে দিলেন সুখবর
৫ ঘন্টা আগে
এক ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার আগেই রান আউটে ফিরতে হয় মুশফিককে। ৭৬ তম ওভারে আউট হওয়া ডানহাতি ব্যাটার নিজের শেষ বাউন্ডারি মেরেছিলেন ৬৩তম ওভারে। তিনি ফেরার পরই গলে হানা দেয় বৃষ্টি। যার ফলে লম্বা সময় বন্ধ থাকে পঞ্চম দিনের খেলা। বৃষ্টি শেষে আবার যখন খেলা শুরু তখন লিটন দাস, জাকের আলীদের হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। সেঞ্চুরি পেয়েই তিন ছক্কায় ৯ বলে ২৫ রান করেন শান্ত। অথচ সেঞ্চুরি ছোঁয়ার আগে ৩৬ বলে কোন বাউন্ডারিই মারতে পারেননি বাংলাদেশের অধিনায়ক।
পুরো ম্যাচ জুড়ে জয়ের চেষ্টাটাই যেন করতে চায়নি সফরকারীরা। বাংলাদেশ যখন ইনিংস ঘোষণা করেছে তখন জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ছিল ৩৭ ওভারে ২৯৬ রান। খানিকটা ঝুঁকিপূর্ণ সমীকরণ হওয়ায় স্বাগতিকরা জয়ের চেষ্টাও করেনি। তবুও তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসানরা মিলে লঙ্কানদের ৪ উইকেট নিয়েছেন। অনেকের ধারণা আরও একটু সময় পেলেই অল আউট করা যেতো তাদের। শান্ত নিজেও জানিয়েছেন, ম্যাচ জিততে হলে ৬০-৭০ ওভার বোলিং করতে হতো বাংলাদেশ। সেসব পরিকল্পনা থাকলেও বৃষ্টি এসে সব ওলট-পালট করে দিয়েছে বলে জানান বাংলাদেশের অধিনায়ক।
ড্রয়ে শ্রীলঙ্কা সফর শুরু বাংলাদেশের
৯ ঘন্টা আগে
এ প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, ‘না, এরকম আসলে মনে হয়নি। আপনি নিজেও বললেন আসলে উইকেটটা ওইরকম... মানে যেরকম আমরা পঞ্চম দিনে প্রত্যাশা করছিলাম এরকম হয়নি। এমনকি চতুর্থ দিনেও যখন আমরা ব্যাটিং করছিলাম খুব আরামেই ব্যাটিং করা যাচ্ছিল। আমরা এমন একটা অবস্থায় যেতে চাচ্ছিলাম যেখান থেকে আসলে ম্যাচটা হারার সম্ভাবনা কম এবং জেতার সম্ভাবনাটাই বেশি হয়। কিন্তু মাঝে বৃষ্টি আসলে পরিকল্পনা একটু পরিবর্তন করে দিয়েছে আমাদের। কিন্তু আমার মনে হয় সবমিলিয়ে পুরো ম্যাচটা আমাদের জেতার জন্য চিন্তা ছিল। আপনি যদি বলেন সকাল থেকেই আরও একটু আক্রমণাত্বক খেলা যেতো কিনা—আমরা ওই অবস্থাতে তখনো পর্যন্ত ছিলাম না। আসলে উইকেটটা কী রকম আচরণ করে। সুতরাং ওই একটা ঘণ্টা আমরা একটু সময় নিয়েছি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আসলে সময় বলবো না। তখনো আমরা তিন করে রান নিচ্ছিলাম। প্রথম ১৭-১৮ ওভারে আমরা ৬০ এর মতো রান নিয়েছি। আমার মনে হয় যে আমরা যদি ওই পুরা লাঞ্চ পর্যন্ত ব্যাটিং করতাম তাহলে হয়তো পরিস্থিতিটা ভিন্ন হতো। পঞ্চম দিনের উইকেট যেমন ছিল অন্তত ৬০-৭০ ওভার হলে আমার মনে হয় একটা ভালো সুযোগ তৈরি হতো। আমি একদমই চিন্তিত না কারণ আমরা যতক্ষণ বোলিং করেছি, চারটা উইকেট নিতে পেরেছি। আমি খুশি কারণ বোলাররা শেষে যতটুকু সুযোগ পেয়েছে ভালো বোলিং করেছে।’
