কোহলির প্রিয় ভেন্যু অ্যাডিলেড

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২০২৭ বিশ্বকাপে রোহিত-কোহলির জায়গা পাওয়া কঠিন হবে, মনে করেন গাঙ্গুলি
২ ঘন্টা আগে
ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স মাঠের ওপর নির্ভর করে, এমনটা আপনি কখনই বলতে পারবেন না। তবে সব ক্রিকেটারই পছন্দের মাঠ থাকে। যেখানে খলতে স্বাছন্দ্য বোধ করেন। সেক্ষেত্রে বেশিরভাগ ক্রিকেটারই বেছে নেন ঘরের কোনো মাঠ। অথচ এখানে একেবারেই ভিন্ন বিরাট কোহলি। ভারতের এই টপ অর্ডার ব্যাটারের পছন্দের মাঠ অ্যাডিলেড।
২০১১ সালের ২০শে জুন টেস্ট অভিষেক হয়েছিল কোহলির। কিংস্টনে নিজের অভিষেক টেস্টে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪ রান করেছিলেন। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসেও ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি এই ডানহাতি ব্যাটার। তিন ম্যাচের সেই টেস্ট সিরিজে পাঁচ ইনিংস মিলিয়ে মোটে ৭৬ রান করেছিলেন কোহলি।
শুরুটা সাদা-মাঠা হলেও নিজের জাত চেনাতে খুব বেশি সময় নেননি তিনি। সাদা পোশাকে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন নিজের ষষ্ঠ ইনিংসে। সেটা ঘরের মাঠে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে। তবে লাল বলের ক্রিকেটে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে কোহলিকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ১৪ ইনিংস।

২০১২ সালের ২৪শে জুন টেস্ট ক্রিকেটে কোহলির অভিষেক সেঞ্চুরির সাক্ষী ছিল অ্যাডিলেডের বাইশ গজ। স্বাগতিকদের বিপক্ষে তরুণ কোহলির এই সেঞ্চুরিটা তার ক্যারিয়ারেরই বড় একটা প্রাপ্তি ছিল। সেই থেকেই শুরু অ্যাডিলেড আর কোহলির বন্ধুত্ব।
বেঙ্গালুরু ট্র্যাজেডি: আইপিএল শিরোপা-উদযাপনের নিয়ম বেঁধে দিচ্ছে বিসিসিআই
৭ ঘন্টা আগে
কোহলির মতে, অ্যাডিলেডে খেলতে তিনি স্বাছন্দ্য বোধ করেন। এই মাঠে কোহলির পরিসংখ্যানও একই কথা বলছে। তিন ফরম্যাটের ক্রিকেট মিলিয়ে অ্যাডিলেডে ১৪ ইনিংসে ৭৫.৫৮ গড়ে করেছেন ৯০৭ রান। যেখানে তার নামের পাশে পাঁচ সেঞ্চুরির সঙ্গে আছে তিনটি হাফ-সেঞ্চুরি।
কোহলি বলেন, 'অ্যাডিলেডে এলে মনে হয়, আমি এখানে ব্যাটিং করতে এসেছি এবং আমি আমার খেলা উপভোগ করি।’
অ্যাডিলেডে কোহলির ধারাহিকতা প্রসঙ্গে গাভস্কার বলেন, 'প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই প্রিয় মাঠ থাকে। যে মাঠে তারা খেলতে স্বাছন্দ বোধ করে। যেখানে দর্শকরা তাদের সমর্থন দিতে আসে। আমার মতে, কোহলির জন্য সেটা অ্যাডিলেড।'
অধিনায়ক হিসেবে তিন ফরম্যাটেই এই মাঠে সেঞ্চুরি আছে এই টপ অর্ডার ব্যাটারের। তাছাড়া ২০১৫ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে কোহলির সেই দুর্দান্ত সেঞ্চুরিটাও এই মাঠেই ছিল।অ্যাডিলেডের বাইশ গজের সঙ্গে কোহলির এই বন্ধুত্বের সর্বশেষ উদাহরণ চলমান বিশ্বকাপ। যেখানে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুর্দান্ত হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন তিনি।
গাভাস্কার বলেন, 'এখানে (অ্যাডিলেড) সে তার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছে, এখানে সে প্রচুর রান করেছে। এই ম্যাঠে অধিনায়ক হিসেবে সে প্রত্যেক ফরম্যাটে সেঞ্চুরি করেছে। ২০১৫ বিশ্বকাপে সে এই মাঠেই পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিল।'