১০২০ দিন পর কোহলির সেঞ্চুরি

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
তিন বছর, ১০২০ দিন, দীর্ঘ প্রতিক্ষা, অবশেষে সেঞ্চুরি।
সেঞ্চুরি হাঁকানোটা একসময় অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল বিরাট কোহলির। অথচ গত তিন বছরের অধিক সময় ধরে তার ব্যাটে সেঞ্চুরি খরা। ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক শেষবার যখন সেঞ্চুরি করেছিলেন, তখনও করোনার সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয়নি। মাত্র দেড় বছরের ব্যবধানে মানুষ করোনার ভ্যাক্সিন অবিষ্কার করলেও সেঞ্চুরি খরার সমাধান খুঁজে পেতে কোহলির লেগেছে হাজার দিনেরও বেশি সময়। কোহলির অন্তর্জাতিক অভিষেকের পর থেকে তার ৭০তম সেঞ্চুরি করা পর্যন্ত কখনোই এত লম্বা সময় সেঞ্চুরি বঞ্চিত ছিলেন না।
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর এশিয়া কাপে এসে নিজের হারানো ধন খুঁজে পেলেন কোহলি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচে এসে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিরা ছুঁয়েছেন তিনি। ৬১ বলে ১২টি চার আর ৬টি ছক্কায় ১২২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এবারই প্রথমবার সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন কিং কোহলি।

আর তিন সংস্করণের ক্রিকেট মিলিয়ে ৭১তম সেঞ্চুরি পেলেন কোহলি। যা ক্রিকেট ইতিহাসে কোনো ব্যাটারের যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি। তিন সংস্করণ মিলিয়ে সেঞ্চুরি সংখ্যায় পন্টিংয়ের পাশে বসলেন কোহলি। তার সামনে এখন কেবলই শচীন টেন্ডুলকার। ভারতী এই কিংবদন্তীর নামের পাশে একশো সেঞ্চুরি।
কোহলি শেষবার শতকের দেখা পেয়েছিলেন ইডেনে। বাংলাদেশের বিপক্ষে পিংক বল টেস্টে। সেটা অবশ্য ২০১৯ সালের নভেম্বরের কথা। প্রায় তিন বছরের ব্যবধানে কোহলির ক্রিকেট ক্যারিয়ারেও এসেছে বড়-সড় পরিবর্তন। এই সময়ে তিন সংস্করণের ক্রিকেট থেকেই নেতৃত্ব ছেড়েছেন তিনি, শুধু তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারটাই অধরা ছিল তার কাছে। কোনো এক অদ্ভুত কারণে কোহলির সেঞ্চুরি সংখ্যাটা এতদিন আটকে ছিল ৭০ এ।
২০১১ সালের ২০শে জুন টেস্ট অভিষেক হয়েছিল কোহলির। কিংস্টনে নিজের অভিষেক টেস্টে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪ রান করেছিলেন। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসেও ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি এই ডানহাতি ব্যাটার। তিন ম্যাচের সেই টেস্ট সিরিজে পাঁচ ইনিংস মিলিয়ে মোটে ৭৬ রান করেছিলেন কোহলি।
তিনি সাদা পোশাকে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন নিজের ষষ্ঠ ইনিংসে। সেটা ঘরের মাঠে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে। এই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। তবে লাল বলের ক্রিকেটে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে কোহলিকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ১৪ ইনিংস।
এরপর আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে পরিণত করেছেন। ধারবাহিক হয়েছেন। হয়ে উঠেছেন বিশ্বক্রিকেটেরই বড় বিজ্ঞাপন।