বাবর সম্ভবত এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা ব্যাটার: কোহলি

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২০২৭ বিশ্বকাপে রোহিত-কোহলির জায়গা পাওয়া কঠিন হবে, মনে করেন গাঙ্গুলি
৯ ঘন্টা আগে
লম্বা সময় ধরে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দিয়ে নিজেকে সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বিরাট কোহলি। একের পর এক সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার সঙ্গে ভারতের অনেক ম্যাচ জয়ের নায়ক হয়ে আছেন তিনি। কোহলির দেখানো পথেই যেন হাঁটছেন বাবর আজম। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ইতোমধ্যে পাকিস্তানের সেরা হয়ে উঠেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
তিন সংস্করণে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার হিসেবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছেন বাবর। ক্রমশই তুলনা হচ্ছে বাবর ও কোহলির। তবে এসব ছাপিয়ে ভারতের সাবেক অধিনায়ক জানালেন, এই মুহূর্তে বাবর সম্ভবত বিশ্বের সেরা ব্যাটার।

বাবরের সঙ্গে প্রথম পরিচয়ের গল্প ধরে এ প্রসঙ্গে কোহলি বলেন, ‘২০১৯ বিশ্বকাপে ম্যানচেস্টারে খেলার পর তার (বাবরের) সঙ্গে আমার প্রথম কথা হয়েছিল। সেখানে সে এবং ইমাদ (ওয়াসিম) ছিল। ইমাদকে আমি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট থেকে চিনতাম। আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে খেলেছি। তখন ইমাদ বলেছিল বাবর আড্ডা দিতে চায়।’
বিগ ব্যাশ মাতাবেন আফ্রিদি-রিজওয়ানসহ পাকিস্তানের ৬ ক্রিকেটার
১৯ জুন ২৫
‘আমরা বসেছিলাম এবং খেলা নিয়ে কথা বলেছিলাম। আমি তার কাছ থেকে অনেক সম্মান পেয়েছি। সব সংস্করণে মিলে সে সম্ভবত এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা ব্যাটার। সে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করছে। তারপরও এটা (সম্মান) পরিবর্তিত হয়নি।’
২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় বাবরের। এরপর পাকিস্তানের জার্সিতে ৪২ টেস্টে ৪৭.৩০ গড়ে ৩ হাজার ১২২ রান করেছেন। ২৩ হাফ সেঞ্চুরি করা বাবরের সেঞ্চুরি সংখ্যা সাতটি। ৯২ ওয়ানডে খেলা পাকিস্তানের অধিনায়কের রান ৪ হাজার ৬৬৪। প্রায় ৯০ স্ট্রাইক রেটে রান তোলা বাবরের গড় ৫৯.৭৯। যেখানে ১৭ সেঞ্চুরির সঙ্গে রয়েছে ২২টি হাফ সেঞ্চুরি।
টি-টোয়েন্টিতে ৭৪ ম্যাচে প্রায় ১৩০ স্ট্রাইক রেট এবং ৪৫.৫২ গড়ে ২ হাজার ৬৮৬ রান করেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। একটি সেঞ্চুরি করা বাবরের হাফ সেঞ্চুরি ২৬টি। এমন পারফর্ম করা বাবরকে নিয়ে কোহলি জানান, তাকে খেলতে দেখতে বেশ উপভোগ করেন তিনি।
কোহলি বলেন, ‘তার (বাবরের) দারুণ প্রতিভা রয়েছে এবং সবসময় আপনি তার খেলা দেখা উপভোগ করি। এটা পরিবর্তন হয়নি। সে এখন পারফর্ম করছে এবং নিজেকে একটা জায়গায় নিয়ে আসছে। কিন্তু আমি তার মনোভাব বা দৃষ্টিভঙিতে পরিবর্তন দেখি না। এটা খুবই ভালো লক্ষণ।’