বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরির দিনে স্টোকসের ১ রানের আক্ষেপ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
প্লে-অফের জন্য বেয়ারস্টো-গ্লিসন-আসালঙ্কাকে দলে ভেড়ালো মুম্বাই
২০ মে ২৫
প্রথম ম্যাচে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করলেও এদিন অবশ্য আগের ম্যাচের মতো ভুল করেননি জনি বেয়ারস্টো। উদ্বোধনী জুটিতে আবারও শতরানের জুটি গড়ার পাশাপাশি নিজে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। বেয়ারেস্টার সেঞ্চুরির দিনে অবশ্য আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে বেন স্টোকসকে। মাত্র ১ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছেন সময়ের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।
স্টোকস সেঞ্চুরি তুলে নিতে না পারলেও বেয়ারস্টোর সঙ্গে ঠিকই দলের জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁদের দুজনের অনবদ্য ইনিংসের সঙ্গে শেষ দিকে অভিষিক্ত লিয়াম লিভিংস্টোন ও ডেভিড মালানের ব্যাটে জয় নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড। ফলে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৬ উইকেটের জয় নিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সমতায় ফিরল ইংলিশরা।
জয়ের জন্য ৩৩৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার বেয়ারস্টো ও জেসন রয়। প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও শতরানের জুটি গড়েন তাঁরা দুজন। যা কিনা তাঁদের ক্যারিয়ারে ১৩তম শতরানের জুটি। ম্যাচের শুরু থেকেই ভারতীয় বোলারদের উপর তাণ্ডব চালিয়ে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন তাঁরা।

৫২ বলে ৫৫ রান করে রয় ফিরলে ভাঙে তাঁদের দুজনের ১১০ রানের জুটি। এরপর স্টোকসকে নিয়ে আরও একটি বড় জুটি গড়েন বেয়ারস্টো। যেখানে তাঁরা দুজনে মিলে তুলেছেন ১৭৫ রান। এই জুটিতে অবশ্য বেশিরভাগ রানই ছিল স্টোকসের। ৫২ বলে ৯৯ রান করে স্টোকস ফিরলে ভাঙে তাঁদের এই জুটি।
ক্রলি-ডাকেটের জুটিতেই জিতেছে ইংল্যান্ড, বলছেন স্টোকস
২৫ জুন ২৫
শুরুতে কিছুটা ধীরগতিতে ব্যাট করার কারণে স্টোকসের হাফ সেঞ্চুরি করতে লেগেছে ৪০ বল। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর ভারতীয় বোলারদের রীতিমতো তুলোধুলো করতে থাকেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ৪০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা স্টোকস পরের ১১ বলে করেছেন ৪৯ রান।
স্টোকসের বিদায়ের পর সাজঘরে ফেরেন ১১২ বলে ১২৪ রান করা বেয়ারস্টো। জস বাটলার থিতু হতে না পারলেও দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন মালান ও লিভিংস্টোন। মালান অপরাজিত ছিলেন ২৩ বলে ১৬ রান করে আর লিভিংস্টোন অপরাজিত ছিলেন ২১ বলে ২৭ রান করে। ভারতের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে লোকেশ রাহুলের ১০৮, ঋষভ পান্তের ৪০ বলে ৭৭, বিরাট কোহলির ৬৬ ও শেষ দিকে হার্দিক পান্ডিয়ার ১৬ বলে ৩৫ রানের সুবাদে ৬ উেইকেটে ৩৩৬ রান তুলেছিল ভারত। ইংলিশদের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছিলেন টম কারান ও রিচ টপলি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ৩৩৬/৬ (ওভার ৫০); (রাহুল ১০৮, পান্ত ৭৭, কোহলি ৬৬, হার্দিক ৩৫, টপলি ২/৫০, টম কারান ২/৮৩)
ইংল্যান্ড: ৩৩৭/৪ (ওভার ৪৩.৩) (বেয়ারস্টো ১২৪, স্টোকস ৯৯, লিভিংস্টোন ২৭*, প্রসিদ্ধ ২/৫৮)