ভারতের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ম্যাচে ওমানের এ—ওয়ান পারফরম্যান্স

আন্তর্জাতিক
ভারতের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ম্যাচে ওমানের এ—ওয়ান পারফরম্যান্স
ওমান ক্রিকেট দল
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
দুই ম্যাচে দুই জয়—ভারতের সুপার ফোর নিশ্চিত হয়েছে সবার আগে। প্রতিপক্ষকে অল্প রানে গুটিয়ে দেয়ার পর দুই ম্যাচেই দাপুটে ব্যাটিংয়ে সহজ জয় পেয়েছে ভারত। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে বেশিরভাগ ব্যাটারই ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। ওমানের বিপক্ষে সাঞ্জু স্যামসন, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেলদের ব্যাটিংয়ের সুযোগ দিয়েছে তারা। ৮ উইকেট হারালেও ব্যাটিংয়ে আসেননি অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। সুপার ফোর শুরুর আগে একাদশেও আসে পরির্তন।

ভারতের এমন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ম্যাচে সবাইকে চমকে দিয়েছে ওমান। আগের দুই ম্যাচে পারফরম্যান্সে প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি, করতে পারেননি লড়াইও। ভারতের বিপক্ষে চলতি এশিয়া কাপে নিজেদের সেরা পারফরম্যান্সটা দিয়েছেন জাতিন্দার সিং, আমির কালিম, হাম্মাদ মির্জারা। ম্যাচ জিততে শেষ ৫ ওভারে ৭৩ রান করতে হতো ওমানকে। হাতে ৯ উইকেট থাকলেও কাজটা একেবারেই সহজ ছিল না তাদের জন্য। জাতিন্দার ৩২ রানের ইনিংস খেলে ফিরলেও ওমানকে টানছিলেন মির্জা ও আমির।

তাদের দুজনের ব্যাটেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল তারা। ইনিংসের ১৬তম ওভারে বোলিংয়ে আসা কুলদীপ যাদবকে টানা দুই বলে দুই ছক্কা মারেন মির্জা। সেই ওভার থেকে এসেছে ১৫ রান। পরের ওভারে আর্শদীপ সিং দিয়ে গেছেন ১০ রান। তবে তাদের দুজনের অবিশ্বাস্য জুটি ভেঙেছেন হার্শিত রানা। ডানহাতি পেসারের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে ফাইন লেগ দিয়ে খেলতে গিয়ে হার্দিকের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন আমির। ৩৮ বল হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া বাঁহাতি ওপেনার আউট হয়েছেন ৬৪ রানের ইনিংস খেলে।

আমিরের বিদায়ে ভাঙে ৯৩ রানের জুটি। আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে মির্জা ৩০ বলে পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। হার্দিকের বলে ফেরার আগে খেলেছেন ৫১ রানের ইনিংস। মির্জা ও আমির হাফ সেঞ্চুরি করলেও ভারতের বড় লক্ষ্য পেরিয়ে যেতে পারেনি ওমান। ১৮৮ রান তাড়ায় ৪ উইকেটে ১৬৭ রান করেছে ওমান। দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলার পরও ভারতের কাছে হারতে হয়েছে ২১ রানে। ভিনায়েকে শুক্লাকে ফিরিয়ে ভারতের প্রথম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে একশ উইকেট নিয়েছেন আর্শদীপ। এদিকে তিন ম্যাচের তিনটিতে জিতে সুপার ফোরে খেলতে নামবে ভারত। ২১ সেপ্টেম্বর তাদের প্রথম প্রতিপক্ষ পাকিস্তান।

টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামা ভারতের শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন শুভমান গিল। বাঁহাতি পেসার শাহ ফয়সালের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে অফ ড্রাইভ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন ভারতের এই ওপেনার। আগের দুই ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ না পাওয়া সাঞ্জু স্যামসনকে তিন নম্বরে পাঠায় ভারত। তাকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন অভিষেক শর্মা। তাদের দুজনের ব্যাটেই পাওয়ার প্লেতে এক উইকেট ৬০ রান তোলে তারা।

বেশিরভাগ রানই এসেছে অভিষেকের ব্যাট থেকে। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার একটু পরই অবশ্য ফিরতে হয় তাকে। জিতেন রামানন্দীর ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে বিনায়েককে ক্যাচ দিয়েছেন ১৫ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলা বাঁহাতি এই ওপেনার। এক বল পর আউট হয়েছেন হার্দিকও। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেলেও এক বলের বেশি খেলতে পারেননি তিনি। রামানন্দীর লেংথ ডেলিভারিতে সোজা ব্যাটে খেলেছিলেন স্যামসন।

বোলারের হাতে লেগে তা আঘাত হানে নন স্ট্রাইকপ্রান্তের স্টাম্পে। ওই সময় পপিং ক্রিজের বাইরে ছিলেন হার্দিক। পরবর্তীতে জুটি গড়ে তোলেন অক্ষর ও স্যামসন। তারা দুজনে মিলে ভারতের রান একশ পার করেছেন। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৩ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলা অক্ষরের বিদায়ে ভাঙে ৪৫ রানের জুটি। আমিরের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে এজ হয়ে উইকেটকিপারকে ক্যাচ দিয়েছেন। দ্রুতই ফিরেছেন শিভাম দুবেও। আমিরের বলে ফেরার আগে করেছেন ৫ রান।

একটু নিচের দিকে ব্যাটিংয়ে এসে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করেন তিলক ভার্মা। তাকে নিয়ে ভারতের রান বাড়িয়েছেন স্যামসন। ৪১ বলে পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরিও। যদিও পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর ফয়সালকে ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন ৫৬ রান করা স্যামসন। ১৮ বরে ২৯ রান করে ফিরেছেন তিলক। শেষ দিকে হার্শিত ১৩ রান করেছেন। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৮৮ রানের পুঁজি পায় ভারত। ওমানের হয়ে দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন ফয়সাল, রামানন্দী ও আমির।

আরো পড়ুন: ভারত