দাম বাড়িয়ে জার্সির স্পন্সর খুঁজছে ভারত

ছবি: ফাইল ছবি

ভারতে অনলাইন মানি গেমিং সেবা নিষিদ্ধ হওয়ায় ভারতের প্রধান স্পন্সর থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয় ড্রিম ইলেভেন। ২ সেপ্টেম্বর নতুন স্পন্সরের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে বিসিসিআই। নতুন দরপত্রে বেশ কিছু বিষয় উল্লেখ করে দিয়েছে তারা। যেখানে মদ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান, বাজি বা জুয়ার সাইট, ক্রিপ্টোকারেন্সি (ভার্চুয়াল মুদ্রা), অনলাইন মানি গেমিং, তামাকজাত পণ্যর কোনো প্রতিষ্ঠান স্পন্সরশিপের জন্য আবেদন করতে পারবে না।
নারী বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি শুরু, ১০০ রুপিতে দেখা যাবে ম্যাচ
৯ ঘন্টা আগে
জনসমাজের নৈতিকতাকে আঘাত করতে পারে এমন প্রতিষ্ঠানেরও সুযোগ থাকছে না। আগামী তিন বছরের জন্য স্পন্সরশিপ খুঁজছে বিসিসিআই। ক্রিকবাজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দ্বিপাক্ষিক সিরিজের প্রতিটি ম্যাচের জন্য স্পন্সরশিপ নেয়া প্রতিষ্ঠানকে ৩ কোটি ৫০ লাখ রুপি গুনতে হবে। আইসিসি কিংবা এসিসির টুর্নামেন্টের প্রতি ম্যাচের জন্য ১ কোটি ৫০ লাখ রুপি চাওয়া হয়েছে। যা আগের চুক্তির চেয়ে বেশি।

দ্বিপাক্ষিক সিরিজের জন্য ড্রিম ইলেভেন বিসিসিআইকে ৩ কোটি ১৭ লাখ রুপি দিতো। আইসিসি কিংবা এসিসির টুর্নামেন্টের ক্ষেত্রে সেটা ১ কোটি ১২ লাখ রুপি। অর্থাৎ আগের তুলনায় বেশ খানিকটা বেড়েছে। এমন অবস্থায় আগামী তিন বছরে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপসহ প্রায় ১৩০টি ম্যাচ খেলতে পারে ভারত। এমনটা হলে জার্সির স্পন্সর থেকে ৪০০ কোটি রুপির বেশি আয় করতে পারে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।
বাড়ছে আইপিএলের টিকিটের দাম, গুনতে হবে বাড়তি অর্থ
৪ সেপ্টেম্বর ২৫
যদিও ধারণা করা হচ্ছে, ৪০০ কোটি রুপির চেয়েও বেশি অর্থ পাবে তারা। এদিকে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও আইসিসি কিংবা এসিসির টুর্নামেন্টের স্পন্সরশিপের সঙ্গে বড় ফারাক থাকার বড় কারণ হচ্ছে ব্র্যান্ডের প্রমোশনের পার্থক্য। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ক্রিকেটারদের বুক বরাবর প্রধান স্পন্সরের নাম লেখা থাকে। যার ফলে ওই প্রতিষ্ঠানের বেশি প্রমোশন হয়। আইসিসি ও এসিসির টুর্নামেন্টের ক্ষেত্রে অবশ্য এটা ভিন্ন।
বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে ক্রিকেটারদের বুক বরাবর দেশের নাম লেখা থাকে। ওই সময় জার্সির প্রধান স্পন্সরের নাম বাহুতে লেখা থাকে। যার ফলে ওই প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ডি কম হয়। যে কারণে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের স্পন্সরের জন্য বেশি অর্থ প্রদান করতে হয়। ভারতের জার্সির প্রধান স্পন্সর হওয়ার জন্য দরপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ১৬ সেপ্টেম্বর। পরবর্তীতে আবেদন করা প্রতিষ্ঠান থেকে একটি প্রতিষ্ঠানকে বেছে নেবে বিসিসিআই।