রিজানের সেঞ্চুরির পর রাতুলের স্পিনে ইংল্যান্ডকে হারাল বাংলাদেশ

ছবি: ফাইল ছবি

লাফবোরোর হেসলেগ্রেভ গ্রাউন্ডে জয়ের জন্য ২৯৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ইংল্যান্ডকে শুরুটা ভালো করতে দেয়নি বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই বেন ডওকিন্সকে ফেরান আল ফাহাদ। ডানহাতি পেসারের গুড লেংথ ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন ডওকিন্স। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন ইসাক ও জো মুরস। তাদের জমে ওঠা জুটি ভাঙেন আজিজুল হাকিম তামিম।
বাংলাদেশকে ফাইনাল জেতানো রিজানের আইডল বেন স্টোকস
১৩ আগস্ট ২৫
ডানহাতি অফ স্পিনারের বলে তাঁরই হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১৪ রানে। পরবর্তীতে ইসাক ও উইল বেনিসন মিলে ৮৬ রানের জুটি গড়েন। ৩২ বলে ৩৬ রান করা বেনিসনকে ফেরান স্বাধীন। একটু পর আউট হয়েছেন হাফ সেঞ্চুরিয়ান ইসাক। ৭ ছক্কা ও ৪ চারে ৫৩ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলা ইংলিশ ওপেনারকে ফেরান রিজান। ডানহাতি পেসারের বলে আজিজুল তামিমের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন।
থমাস রিউ ও জেইক নেলসন মিলে জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। যদিও তাদের জুটি বড় হতে দেননি রাতুল। একটু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ২০৫ রানে অল আউট হয় ইংল্যান্ডের যুবারা। বাংলাদেশের হয়ে মাত্র ৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন স্পিনার রাতুল। এ ছাড়া স্বাধীন দুইটি এবং একটি করে উইকেট নিয়েছেন ফাহাদ, রিজান ও আজিজুল তামিম।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন জাওয়াদ আবরার ও রিফাত বেগ। তাদের দুজনের ব্যাটে শুরু থেকেই দ্রুত রান তুলতে থাকে সফরকারীরা। ইনিংসের অষ্টম ওভারে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন অ্যালেক্স গ্রিন। ডানহাতি এই পেসারের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন ১৮ বলে ১১ রান করা রিফাত। পাওয়ার প্লে শেষে আউট হয়েছেন আজিজুল হাকিমও। বাংলাদেশের অধিনায়ককে ফেরান ম্যাথু ফায়ারব্যাংক।
ইংল্যান্ড সিরিজে রোমাঞ্চের অপেক্ষায় তামিম
১৩ আগস্ট ২৫
ডানহাতি পেসারের বলে ডওকিন্সের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৯ রানে। কয়েক ওভারের ব্যবধানে ফিরেছেন জাওয়াদও। দারুণ ব্যাটিং করলেও হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি তাঁর। জেমস মিন্টোর বরে আউট হওয়ার আগে ২ ছক্কা ও ৫ চারে ৩৮ বলে ৪০ রান করেছেন ডানহাতি এই ওপেনার। দ্রুতই তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে জুটি গড়ে সফরকারীদের টেনে তোলার চেষ্টা করেন কালাম সিদ্দিকী ও রিজান।
তাদের দুজনের ব্যাটেই একটু একটু করে এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ। হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন তারা দুজনই। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর ১ ছক্কা ও ৮ চারে ৮৪ বরে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে থামতে হয় কালামকে। মিন্টোর বলে লেগ বিফোর হয়ে ফিরলে ভাঙে রিজানের সঙ্গে ১৪৮ রানের জুটি। পরের বলে আউট হয়েছেন আব্দুল্লাহও। ভালো শুরু পেলেও শেষ পর্যন্ত টিকতে পারেননি রাতুল। বাইরন হটন লয়ির বলে ফেরার আগে ১৩ বলে ২১ রান করেছেন।
পরবর্তীতে শাহরিয়ার আল আমিনের সঙ্গে জুটি গড়েন রিজান। তাকে সঙ্গ দেয়া কালাম হাফ সেঞ্চুরিতে থামলেও রিজান শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি পেয়েছেন। ১০০ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন তরুণ এই ব্যাটার। সেঞ্চুরি পাওয়ার পরের ওভারেই অবশ্য আউট হয়েছেন তিনি। এক ছক্কা ও ০৯ চারে ১০১ বলে ১০০ রানের ইনিংস খেলা রিজানকে ফেরান হটন লয়ি। শেষের দিকে ২৩ বলে ২৫ রান করেছেন আল আমিন। ইংল্যান্ডের হয়ে মিন্টো ৫টি ও হটন লয়ি নিয়েছেন তিনটি উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল— ২৯২/১০ (৪৯.২) (জাওয়াদ ৪০, রিফাত ১১, আজিজুল তামিম ৯, কালাম ৬৮, রিজান ১০০, রাতুল ২১, আল আমিন ২৫; মিন্টো ৫/৬৮, হটন ৩/৪৯)
ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দল— ২০৫/১০ (৩২.২) (ইসাক ৭৫, বেনিসন ৩৬, থমাস ২৫, নেলসন ২১; রাতুল ৪/৯, স্বাধীন ২/৪০)