সেদিকউল্লাহ-ইব্রাহিমের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানকে হারাল আফগানিস্তান

ছবি: সেদিকউল্লাহ-ইব্রাহিমের দারুণ ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানকে হারাল আফগানিস্তান, ফাইল ফটো

রশিদ খান হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করলেও উইকেটে এসে হারিস সেই বলটি থামিয়েছেন। ম্যাচের ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজা তখন বলছিলেন, পাকিস্তানের জয়ের জন্য বড়ো ধরনের চমক দরকার ছিল।
আমরাই সবচেয়ে বড় ফেভারিট: রউফ
৩০ আগস্ট ২৫
হারিসের ব্যাটিং ছিল অনেকটা সেরকমই চমক। তার ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান কিছুটা সংগ্রহ কমিয়ে আনে, তবে তা দলকে জেতানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। আফগানিস্তান এই জয়ের মাধ্যমে সিরিজের ফাইনালে এগিয়ে গেছে।
সিরিজ শুরুর আগে আফগানের অধিনায়ক রশিদ খান পাকিস্তানকে এক ম্যাচও জিততে দেবেন না বলে মন্তব্য করেছিলেন। সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান আফগানিস্তানকে ৩৯ রানে হারিয়ে জয়লাভ করেছিল। তবে গতরাতের ম্যাচে আফগানিস্তান পাল্টা জবাব দিয়েছে।

আফগান ব্যাটসম্যান সেদিকউল্লাহ আতাল ও ইব্রাহিম জাদরান ১১৩ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে নতুন রেকর্ড গড়েন। আতাল করেন ৪৫ বলে ৬৪ রান, ইব্রাহিম করেন ৪৫ বলে ৬৫ রান।
বুমরাহ এই যুগের মহাতারকা: ওয়াসিম আকরাম
২০ ঘন্টা আগে
ফাহিম আশরাফ পাকিস্তানের পক্ষে চারটি উইকেট নেন, যা তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা। তার অসাধারণ বোলিংয়ের সামনে আফগানিস্তানের আর কেউই দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেনি।
জবাবে পাকিস্তানের ইনিংসে শুরুতে উইকেট পড়তে থাকে। দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর অধিনায়ক আঘা সালমান ও ফখর জামান চেষ্টা করলেও দ্রুত উইকেট হারায় দলটি।
শাহিবজাদা ফারহান ১৮, সাইম আইয়ুব শুন্য, ফখর ২৫, আঘা ২০, হাসান নাওয়াজ ৯ এবং মোহাম্মদ নাওয়াজ ১২ রান করেন। শেষে ঝড় তোলা হারিস ১৬ বলে চারটি ছক্কায় অপরাজিত ৩৪ রান করেন।
আফগান বোলারদের মধ্যে নুর আহমেদ, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান ও ফজলহক ফারুকি প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। সিরিজে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের অবস্থান সমান, আমিরাতের দুই ম্যাচ বাকি রয়েছে।