অ্যাশেজ জিততে ইংল্যান্ডকে ‘খুনে মানসিকতার’ হতে হবে: ল্যাঙ্গার

ছবি: বেন স্টোকস এবং প্যাট কামিন্স, ফাইল ফটো

গত আট বছর ধরে অ্যাশেজ ট্রফি ধরে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। ২০২৩ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে ২-২ সমতায় শেষ হওয়া সিরিজেও ট্রফির দখল বদলায়নি। একইভাবে ভারতের বিপক্ষে চলতি বছরের অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার সিরিজেও সমতা হয় ২-২ ব্যবধানে। যার কারণে ইংল্যান্ডের সাম্প্রতিক টেস্ট সিরিজগুলোর ফলাফল ছিল অনেকটাই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, কিন্তু নিষ্পত্তিহীন।
সেঞ্চুরিতে র্যাঙ্কিংয়ে এগোলেন গ্রিন-হেড-মার্শরা
২৭ আগস্ট ২৫
বিসিবির ‘ফর দা লাভ অব ক্রিকেট’ পডকাস্টে স্টুয়ার্ট ব্রড ও জস বাটলারের সঙ্গে আলোচনায় ল্যাঙ্গার বলেন, 'এটা খুব, খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি সিরিজ হবে। ইংল্যান্ডের কাছে আমার প্রশ্ন, সুযোগ পেলে সিরিজ শেষ করার (জয়ে) মতো খুনে মানসিকতা কি তোমাদের আছে?'

তিনি আরো যোগ করেন, 'ওই সিরিজ জেতার সুযোগ ছিল ইংল্যান্ডের। অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাশেজ জেতার মতো খুনে মানসিকতা কি তাদের আছে? এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।'
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২০১০ সালের পর থেকে আর কোনো টেস্ট ম্যাচ জেতেনি ইংল্যান্ড। ৩-১ ব্যবধানে সেই সিরিজেই (২০১০-১১) শেষবার অ্যাশেজ জিতেছিল তারা। তারপর থেকে প্রতিবারই তারা পিছিয়ে থেকেছে।
ল্যাঙ্গার মনে করেন, অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ইংল্যান্ডের উচিত নিজেদের আগ্রাসী ঘরানার ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়া, 'বাজবল বলুন কিংবা আক্রমণাত্মক কৌশল, আমার মনে হয়, অস্ট্রেলিয়ায় সেই কৌশলেই খেলা উচিত ইংল্যান্ডের…শেন ওয়ার্ন ও গ্লেন ম্যাকগ্রার বিপক্ষে সফল তারাই হয়েছিল যারা এই দুইজনকে আক্রমণ করে খেলেছিল।'
এবারের অ্যাশেজ শুরু হবে ২১ নভেম্বর, পার্থ টেস্ট দিয়ে। এরপর সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ ৪ ডিসেম্বর ব্রিজবেনে। বাকি তিনটি ম্যাচ ১৭, ২৬ ডিসেম্বর ও ৪ জানুয়ারি—যথাক্রমে অ্যাডিলেড, মেলবোর্ন ও সিডনিতে অনুষ্ঠিত হবে।