হেড, মার্শ ও গ্রিনের সেঞ্চুরিতে ৪৩১, অস্ট্রেলিয়ার জয় ২৭৬ রানে

ছবি: সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার তিন টপ অর্ডার ব্যাটার

কুপার কনোলির ৫ উইকেটের পাশাপাশি জাভিয়ের ব্রার্টলেট ও শন অ্যাবটের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ১৫৫ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। সিরিজ হারলেও শেষ ম্যাচে ২৭৬ রানে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। স্বাগতিদের জন্য নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানে জয়ের রেকর্ড। সবচেয়ে বড় জয়টা এসেছে ২০২৩ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে, ৩০৯ রানে। সাউথ আফ্রিকার জন্য অবশ্য রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় হার। ২০২৩ সালে ইডেন গার্ডেন্সে ভারতের বিপক্ষে ২৪৩ রানে হেরেছিল প্রোটিয়ারা। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন কেশভ মহারাজ।
সেঞ্চুরিতে র্যাঙ্কিংয়ে এগোলেন গ্রিন-হেড-মার্শরা
২৩ ঘন্টা আগে
ম্যাকাইয়ে জয়ের জন্য ৪৩২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় সাউথ আফ্রিকা। অ্যাবটের অফ স্টাম্পের বাইরের গুড লেংথ ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে গ্রিনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন এইডেন মার্করাম। একটু পর আউট হয়েছেন আরেক ওপেনার রায়ান রিকেলটনও। ব্রার্টলেটের বলে লেগ সাইডের খেলার চেষ্টায় মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন কনোলি। পরের ওভারে ফিরেছেন টেম্বা বাভুমাও। বিশ্রাম থেকে ফেরার ম্যাচে ১৯ রানে ফিরেছেন সাউথ আফ্রিকার অধিনায়ক। অ্যাবটের শর্ট অব লেংথ ডেলিভারিতে আড়াআড়িভাবে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন বাভুমা।
পাওয়ার প্লে শেষের আগে ট্রিস্টিয়ান স্টাবসের উইকেটও হারায় সফরকারীরা। ব্রার্টলেটের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে আউট হয়েছেন অ্যাবটের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ৫০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সাউথ আফ্রিকা। সেখান থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন টনি ডি জর্জি ও ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। তারা দুজনে মিলে ৫৭ রানের জুটি গড়েন। তাদের জমে ওঠা জুটি ভাঙেন কনোলি। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে পুল করতে গিয়ে ক্যারির গ্লাভসে ক্যাচ দিয়েছেন ৩৩ রান করা কনোলি।

অ্যাশেজ জিততে ইংল্যান্ডকে ‘খুনে মানসিকতার’ হতে হবে: ল্যাঙ্গার
৫ ঘন্টা আগে
একটু পর আউট হয়েছেন ব্রেভিসও। হাফ সেঞ্চুরির আগে ফিরেছেন তিনি। কনোলির ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে ডাউন দ্য উইকেটে এসে লং অফের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে গ্রিনকে ক্যাচ দিয়েছেন ২৮ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলা ডানহাতি এই ব্যাটার। শেষের দিকে আর কেউই সুবিধা করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৫৫ রানে অল আউট হয় সাউথ আফ্রিকা। স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার হয়ে পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন কনোলি। এ ছাড়া দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন ব্রার্টলেট ও অ্যাবট।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে অস্ট্রেলিয়াকে দারুণ এক শুরু এনে দেন হেড ও মার্শ। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৮৬ রান তোলেন তারা দুজন। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন হেড। আরেক ওপেনার মার্শ অবশ্য একটু দেখেশুনে খেলতে থাকেন। ডানহাতি এই ব্যাটার পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৫০ বলে। হাফ সেঞ্চুরির পরও আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন হেড। ৮০ বলে ক্যারিয়ারের সপ্তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পেয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। দুই প্রান্ত থেকে চার-ছক্কার বৃষ্টিতে ২৫০ রানের জুটি গড়েন তারা।
পঞ্চমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার কোনো জুটি আড়াইশ রানের জুটি গড়েন। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রতিপক্ষের এটাই সর্বোচ্চ রানের উদ্বোধনী জুটি। হেড ও মার্শের ২০৫ বলে ২৫০ রানের জুটি ভাঙেন মহারাজ। বাঁহাতি স্পিনারকে ছক্কা মারতে গিয়ে ব্রেভিসকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। ১৭ চার ও ৫ ছক্কায় ১০৩ বলে ১৪২ রানের ইনিংস খেলেছেন হেড। বাঁহাতি এই ওপেনার ফেরার পর সেঞ্চুরি পেয়েছেন মার্শও। ১০৫ বলে সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। যদিও একশ ছোঁয়ার পরই ফিরতে হয়েছে তাকে। সেনুরান মুথুসামির বলে টপ এজ হয়ে উইকেটকিপার রিকেলটনকে ক্যাচ দিয়েছেন।
৬ চার ও ৫ ছক্কায় ১০৬ বলে ১০০ রানের ইনিংস খেলা মার্শের বিদায়ের পর তাণ্ডব চালাতে থাকেন গ্রিন ও ক্যারি। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে মাত্র ৪৭ বলে সেঞ্চুরি করেন গ্রিন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে মাত্র ৪০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। পরবর্তীতে ৩৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন ক্যারি। তাদের ব্যাটেই ২ উইকেটে ৪৩১ রানের পুঁজি পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার সেঞ্চুরি করেছেন।