কনওয়ে-মিচেলের ‘আক্ষেপ’, ভালো বোলিংয়ের পরও চাপে জিম্বাবুয়ে

ছবি: সেঞ্চুরি মিস করেন ড্যারিল মিচেল, ফাইল ফটো

বুলাওয়েতে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিন শেষ হয় জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুর মধ্যে দিয়েই। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৪৯ রানে অলআউট হওয়া স্বাগতিকরা দ্বিতীয় ইনিংসেও শুরুর ধাক্কা সামলাতে পারেনি। ১৩ ওভার খেলে দিনের শেষ দিকে ৩১ রানে দুই উইকেট হারায় তারা। এখনো ১২৭ রানে পিছিয়ে আছে দলটি।
হেনরির ৯ উইকেট, ইনিংস হার এড়ানো জিম্বাবুয়েকে গুঁড়িয়ে নিউজিল্যান্ডের জয়
৯ ঘন্টা আগে
৫১ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করা কনওয়ে থামেন ৮৮ রানে। ১৭০ বলের ইনিংসে ছিল ১২টি চারের মার। মিচেল করেন ১১৯ বলে ৮০ রান, ইনিংসে ছিল একটি ছক্কা ও পাঁচটি চার। দুজনেই ইনিংস গড়ার চেষ্টায় ছিলেন, তবে বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতায় দল বড় লিড নিতে পারেনি।
দিনের শুরুতেই উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। আগের দিন ৪১ রানে অপরাজিত থাকা উইল ইয়াং এ দিন প্রথম বলেই বিদায় নেন ব্লেসিং মুজারাবানির শর্ট বলে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে।
ডেভন কনওয়ে ও হেনরি নিকোলস সেই ধাক্কা কিছুটা সামাল দেন। দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ৬৬ রান। তবে মুজারাবানি তার দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে এসে প্রথম ওভারেই ভাঙেন জুটি। ফিরিয়ে দেন ছয়টি চারে ৩৪ রান করা নিকোলসকে।

হেনরির তোপে পুড়ল জিম্বাবুয়ে
৩১ জুলাই ২৫
এরপর একে একে ফিরে যান রাচিন রবীন্দ্র, টম ব্লান্ডেল ও মাইকেল ব্রেসওয়েল। কনওয়েকে বাউন্সারে থামান চিভাঙ্গা। এক উইকেটে ১৫৮ থেকে নিউজিল্যান্ডের স্কোর পরিণত হয় ছয় উইকেটে ২০০ রানে।
দল চাপের মধ্যে পড়লে ধীরস্থিরভাবে ইনিংস সাজান মিচেল। কিছু সময় তাকে সঙ্গ দেন মিচেল সান্টনার ও নাথান স্মিথ। স্মিথের সঙ্গে গড়েন ৬১ রানের জুটি। তবে স্মিথ ৭৯ বলে ২২ রান করে আহত হয়ে মাঠ ছাড়লে সেই জুটির ইতি ঘটে।
সবশেষে ৮৫ বলে পঞ্চদশ টেস্ট ফিফটি পূর্ণ করেন মিচেল। ম্যাট হেনরি আউট হওয়ার পর মিচেলও শেষ ব্যাটার হিসেবে ফিরলে থামে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। দিন শেষে আবার ব্যাটিংয়ে নামা জিম্বাবুয়ে সপ্তম ওভারে হারায় ১১ রান করা বেন কারানকে।
এরপর ১৮ রান করা ব্রায়ান বেনেটও ফেরেন দ্রুত। খোঁচা মেরে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। শেষদিকে নিক ওয়েলচ ও নাইটওয়াচম্যান ভিনসেন্ট মাসেকেসা আর কোনো বিপদ হতে দেননি।