জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছে সফরকারী নিউজিল্যান্ড। কোনো উইকেট না হারিয়ে স্কোরবোর্ডে জমা করে ফেলেছে ৯২ রান। প্রথম দিনের খেলা শেষে এখনও ৫৭ রানে পিছিয়ে থাকলেও ব্যাটিং দাপটে এগিয়ে থেকেই মাঠ ছেড়েছে কিউইরা।
প্রথম দিন শেষে অপরাজিত দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়াং দায়িত্বশীল ব্যাটিং উপহার দিয়েছেন। কনওয়ে ৮টি চারের মারে ৫১ রানে অপরাজিত, অন্যদিকে ইয়াং রয়েছেন ৪১ রানে। তাদের গড়া এই উদ্বোধনী জুটি কিউইদের ইনিংসকে করেছে আশাব্যঞ্জক।
প্রথম সারির বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে ছাড়া খেলতে নামলেও নিউজিল্যান্ড দল শুরুটা করেছে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। হেনরির বোলিং ছিল দুর্দান্ত। এ দিন ৩৯ রান দিয়ে ছয় উইকেট তুলে নেন তিনি। অন্য প্রান্তে পেসার নাথান স্মিথও নেন তিন উইকেট, রান দেন মাত্র ২০।
টস জিতে ব্যাটিং নেয়া জিম্বাবুয়ে শুরু থেকেই ধুঁকছিল। ব্যাটারদের মধ্যে কেউই ফিফটি ছুঁতে পারেননি। সবচেয়ে বড় সংগ্রহ অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনের। তিনি করেন ৩৯ রান। তার বাইরে কেবল আরও তিন ব্যাটার পৌঁছান দুই অঙ্কে।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে হেনরি তুলে নেন প্রথম উইকেট। ফুল লেংথ ডেলিভারিতে স্লিপে ক্যাচ দেন ব্রায়ান বেনেট। পরে বেন কারানকেও ফেরান একই ধাঁচে। ব্যাটিংয়ের ভিত নড়বড়ে হয়ে যায় সেখানেই।
এই চাপ কাটিয়ে ওঠার আগেই নাথান স্মিথ ভেঙে দেন অভিজ্ঞ শন উইলিয়ামসের স্টাম্প। এরপর ওয়েলচকে সঙ্গে নিয়ে ৩৬ রানের জুটি গড়েন আরভিন, যেটি ভাঙে হেনরির চতুর্থ আঘাতে। ওয়েলচ করেন ২৭ রান। একই ওভারে ফিরিয়ে দেন সিকান্দার রাজাকেও। খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষককে মক্যাচ দেন দুই রান করা রাজা।
পরবর্তী পর্যায়ে সিগার সঙ্গে ৫৪ রানের জুটি গড়েন আরভিন, যা ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটি। তবে সেটিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। স্মিথ দু’ওভারে ফিরিয়ে দেন দুই সেট ব্যাটারকে। আরভিনকে এলবিডব্লিউ করেন তিনি।
৩০ রান করা সিগাকেও একইভাবে বিদায় করেন তিনি। এরপর মাত্র ছয় রানের ব্যবধানে শেষ তিন উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। হেনরি শেষ উইকেটটি নিয়ে পূর্ণ করেন ইনিংসের পঞ্চম পাঁচ উইকেট।