ওয়েনের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে জয়ে সিরিজ শুরু অস্ট্রেলিয়ার

ছবি: মিচেল ওয়েন (বামে) ও ক্যামেরন গ্রিন (ডানে), ফাইল ফটো

স্যাবাইনা পার্কে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮৯ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভালো অবস্থানে থাকলেও ইনিংসের শেষদিকে দ্রুত উইকেট হারিয়ে বড় স্কোরের সম্ভাবনা নষ্ট করে তারা।
পাঞ্জাবে ম্যাক্সওয়েলের বদলি পেশাওয়ার জালমির ওয়েন
৪ মে ২৫
১৮ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ছিল চার উইকেটে ১৮৩ রান। কিন্তু এরপর মাত্র ছয় রানের ব্যবধানে চারটি উইকেট হারায় তারা। ১৯তম ওভারে আসে মাত্র এক রান, তাতে তিনটি উইকেট পড়ে। শেষ ওভারে আরও একটি উইকেট হারিয়ে যোগ হয় মাত্র পাঁচ রান।
১২ বলে ১৮ রান করে স্টাম্পিং হয়ে ব্রেন্ডন কিং ফিরলেও আরেক ওপেনার শাই হোপ ৩৯ বলে ৫৫ রান করেন। তিনে নামা রস্টন চেজ করেন ৩২ বলে ৬০, আর চারে নামা শিমরন হেটমায়ার ১৯ বলে করেন ৩৮ রান।
হোপ-চেজের ৯১ রানের জুটি ভাঙেন বেন ডোয়ারসুইস। তাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়েন চেজ। এরপর শাই হোপকে ফেরান অভিষিক্ত মিচেল ওয়েন। তার বলে লফটেড শট খেলতে গিয়ে পয়েন্টে ধরা পড়েন হোপ।
চারে নামা শিমরন হেটমায়ারকে ফেরান নাথান এলিস। তাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়েন হেটমায়ার। তবে মিডল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডারে কেউই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেননি।

ইনজুরিতে দেশে ফিরেছেন শর্ট, বদলি ম্যাকগার্ক
২০ জুলাই ২৫
শেষ দিকে আন্দ্রে রাসেল ৯ বলে করেন ৮ রান। বাকি ব্যাটারদের মধ্যে তিনজন শূন্য রানে আউট হন। ফলে যেভাবে শুরু হয়েছিল, সেভাবে ইনিংসটা শেষ হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া জয় নিশ্চিত করে তিন উইকেট আর সাত বল হাতে রেখে। ব্যাটিংয়ের শুরু থেকেই তারা স্বচ্ছন্দে রান তোলেন এবং চাপমুক্তভাবেই ম্যাচ শেষ করেন।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়া ৭৮ রানের মধ্যেই চার উইকেট হারায়। সাত বলে দুই রান করে জেসন হোল্ডারের বলে মিড অফে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন জেক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক। ১৭ বলে ২৪ রান করে ফিরে যান মিচেল মার্শও।
আলজারি জোসেফের বলে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। আকিল হোসেনকে হাঁকাতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দেন জশ ইংলিস। ৮ বলে ১৮ রান করেন তিনি।
১০ বলে ১১ রান করা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে ফিরিয়েছেন গুড়াকেশ মোতি। কাভারে ক্যাচ আউট হন সদ্য ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় বলা এই অলরাউন্ডার। তারপর দলের হাল ধরেন ক্যামেরন গ্রিন ও ওয়েন।
২৭ বলে ৫০ রান করেন মিচেল ওয়েন। গ্রিনের ব্যাট থেকে আসে ২৬ বলে ৫১ রান। এই দুই ইনিংসই মূলত গড়পড়তা রান তাড়াকে সহজ করে দেন সফরকারীদের জন্য। শেষদিকে আট বলে ১৩ রান করেন কুপার কনোলি।
এর আগে টেস্ট সিরিজেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩-০ ব্যবধানে হারে এবং শেষ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ২৭ রানে অলআউট হয়। সেই ব্যর্থতার পর সাবেক ক্রিকেটারদের নিয়ে বোর্ড জরুরি বৈঠক করলেও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে শুরুটা ইতিবাচক হয়নি।