১২ বছর পর একাদশ থেকে বাদ পড়ছেন লায়ন

ছবি: অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে প্যাট কামিন্স

এর বাইরে শুধুমাত্র ২০২৩ অ্যাশেজের তিনটি ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি। সেই সিরিজে পেশির চোটে পড়েছিলেন এই স্পিনার। সে কারণে সেবার দর্শক হয়ে কাটাতে হয়েছিল তাকে। লায়নকে বাদ দেয়া হতে পারে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স বলেছেন, 'সবকিছুই আমাদের জন্য অপশন। আমরা এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাইনি। কাল একেকজন একেকভাবে চিন্তা করেছে, তাই ঘুমিয়ে এসে আজ ফের দেখে চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেব।'
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলা হচ্ছে না জনসন-হ্যাজেলউডের
৪ ঘন্টা আগে
শুক্রবার অনুশীলনের শেষে মাঠের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন কামিন্স, প্রধান কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড এবং অজি দলের নির্বাচক টনি ডোডেমেইড। প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি দ্বিতীয় টেস্টের পর দেশে ফিরে গেছেন। সাধারণত ম্যাচের আগের দিন কামিন্স একাদশ ঘোষণা করে থাকেন।
সেই লক্ষ্যেই চিন্তা ভাবনা করছেন জানিয়ে কামিন্স বলেছেন, 'এখানে কিছু অনিশ্চয়তা রয়েছে… বিশেষ করে গোলাপি বল নিয়ে। ঠিক কী আচরণ করবে বলটা, সেটা বোঝার চেষ্টা করছি। শেষ সেশনটা (আলো নিচে) হয়তো অ্যাডিলেডের চেয়েও কিছুটা দীর্ঘ হবে।'

৪০০ করার সুযোগ পেলে আমি করে ফেলতাম: গেইল
৯ জুলাই ২৫
চলতি সিরিজে পেসাররা আধিপত্য দেখালেও লায়ন ৯টি উইকেট নিয়েছেন মাত্র ১৮.৩৩ গড়ে, এর মধ্যে গ্রেনাডায় একাই ৬ উইকেট শিকার করেন এই স্পিনার। তাঁর মোট উইকেট সংখ্যা এখন ৫৬২, যা গ্লেন ম্যাকগ্রার সমান (অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ) হতে আর মাত্র একটি দূরে।
গোলাপি বলেও বেশ ভালো রেকর্ড লায়নের—২৫.৬২ গড়ে ৪৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। যা তার লাল বলের চেয়েও ভালো গড় ৩০.৫২। অবশ্য গত মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে অ্যাডিলেডে তিনি মাত্র এক ওভার বল করেছিলেন, আর ২০২১-২২ অ্যাশেজে হোবার্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁকে বল করতেই হয়নি।
ধারণা করা হচ্ছে লায়নের পরিবর্তে স্কট বোল্যান্ডকে খেলানো হতে পারে। এই পেসার এর আগে তিনটি গোলাপি বলের টেস্টে ১৬.৭৫ গড়ে ১২ উইকেট নিয়েছেন। সিরিজে চতুর্থ পেসার হিসেবে খেলা বেউ ওয়েবস্টার প্রয়োজনে অফস্পিন বোলিং করতে পারেন। দলের জন্য স্পিন বোলিং করতে পারেন ট্রাভিস হেডও। তাই অস্ট্রেলিয়া লায়নকে বাদ দিয়েই খেলার পরিকল্পনা করতে পারে।
এর আগেও অস্ট্রেলিয়ার পেসবান্ধব উইকেটে—যেমন গ্যাবা বা ওয়াকায়—লায়নকে না খেলার জন্য প্রশ্ন তুলেছিলেন সমালোচকরা, কিন্তু ২০১৩ থেকে কখনোই তাকে বাদ দেওয়া হয়নি। এবারও হয়তো শেষ পর্যন্ত সেটাই ঘটবে। অস্ট্রেলিয়া দলে লায়ন, কামিন্স ও হ্যাজেলউড দারুণ এক জুটি তৈরি করেছেন। অবশেষে এই জুটি ভাঙতে যাচ্ছে।