আইপিএলকে অগ্রাধিকার দেয়ায় হ্যাজেলউডের সমালোচনায় জনসন

ছবি: ফাইল ছবি

পাঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো আইপিএলের শিরোপা জিতেছে বেঙ্গালুরু। বিরাট কোহলি-রজত পাতিদারদের আক্ষেপ ঘুচানো শিরোপা জয়ে বল হাতে দারুণভাবে অবদান রাখেন হ্যাজেলউড। ১২ ম্যাচ খেলা ডানহাতি পেসার নিয়েছেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৪ উইকেট। আইপিএলে এমন পারফরম্যান্স করলেও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে একদমই জ্বলে উঠতে পারেননি হ্যাজেলউড।
চোট কাটিয়ে আইপিএলে ফিরছেন হ্যাজেলউড
২৩ মে ২৫
সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৩৪ ওভারে নিয়েছেন মাত্র দুটি উইকেট। ফাইনালে এমন পারফরম্যান্সের পর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে হ্যাজেলউডকে। ডানহাতি পেসারকে বেশি সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে জাতীয় দলের প্রস্তুতির চেয়ে আইপিএলকে অগ্রাধিকার দেয়ায়। ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতের জেরে স্থগিত হওয়া আইপিএল শুরু হওয়ায় বেশ কজন ক্রিকেটারই নিজেদের নাম সরিয়ে নেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের কারণে আইপিএল শেষের আগেই দেশে ফেরেন জস বাটলার, জ্যাকব বেথেলরা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের প্রস্তুতি নিতে প্লে-অফ শুরুর আগেই কাগিসো রাবাদা, এইডেন মার্করামদের ডেকে পাঠায় সাউথ আফ্রিকা। একই পথে হাঁটার কথা ছিল প্যাট কামিন্স, ট্রাভিস হেডদের। তবে ভিন্ন পথ বেছে নেন হ্যাজেলউড। বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলতে আবারও ভারতে ফেরেন তিনি।

ছিটকে গেলেন ডগেট, বদলি অ্যাবট
৭ ঘন্টা আগে
এদিকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের জন্য ৩ জুন থেকে ইংল্যান্ডে অনুশীলন শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। অথচ সেইদিন গুজরাটের আহমেদাবাদে ফাইনাল খেলতে নামেন হ্যাজেলউড। যার ফলে স্বাভাবিকভাবে দেরিতে অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দেন তিনি। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভূমিকা রাখতে না পারায় আইপিএলের প্রসঙ্গ টেনে হ্যাজেলউডের সমালোচনা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার জনসন।
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান-এ লেখা কলামে জনসন লিখেছেন, ‘আমাদের সফল ‘বিগ ফোর’ বোলিং আক্রমণ মিচেল স্টার্ক, জশ হেইজেলউড, প্যাট কামিন্স ও ন্যাথান লায়নকে ভবিষ্যতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য নিশ্চিত ধরে নেওয়া যাবে না। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা হেইজেলউডের ফিটনেস নিয়ে সমস্যা দেখেছি এবং তার জাতীয় দলের প্রস্তুতির চেয়ে পুনরায় শুরু ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ফেরার সিদ্ধান্তটি অবাক করে দিয়েছে। ম্যাচের তৃতীয় দিনেও লায়নের সেরাটা দেখা যায়নি।’
আইপিএলের সবশেষ আসরে বেঙ্গালুরুর মেন্টর ছিলেন দীনেশ কার্তিক। যার ফলে খুব কাছ থেকেই হ্যাজেলউডকে দেখার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। আইপিএল খেলতে ভারতে ফিরলেও হ্যাজেলউডের মাথায় ছিল টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। কার্তিক জানিয়েছেন, টেস্টের লম্বা স্পেলের কথা বিবেচনা করে ভারতের অতিরিক্ত গরমের মধ্যেও ১৫ মিনিটের বিরতিতে ৪ ওভার করে বোলিং করেছেন হ্যাজেলউড।
এ প্রসঙ্গে কার্তিক বলেন, ‘হ্যাজেলউড ৪ ওভার করে বোলিং করতো এবং তারপর ১৫ মিনিটের বিরতি নিতো। ভারতের এই গরমের মাঝেও বিরতি শেষে আবারও ৪ ওভার করে বোলিং করতো। কারণ আইপিএলে খেললেও তাঁর মাথায় ছিল বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল।’