শেষ বলের রোমাঞ্চে নেপালের নাটকীয় জয়

ছবি: ফাইল ছবি

ওভারের তৃতীয় বলে এসে সিঙ্গেল নেন রিজান। শেষ উইকেট জুটিতে তখনও নেপালের প্রয়োজন ৩ বলে ৫ রান। এমন সময় পরের দুই বলেই দুটি করে রান নিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরিয়ান কারান। ফলে জিততে হলে শেষ বলে একটি রান করলেই হতো নেপালকে। স্কটল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল মাত্র একটি। ধারাভাষ্যকাররা তখন সুপার ওভারের স্বপ্নে বিভোর ছিলেন। কারানকে আটকাতে রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে বোলিং করেন ওয়াট।
২ বছরের জন্য নেপালের প্রধান কোচ স্টুয়ার্ট ল
২৯ মার্চ ২৫
বাঁহাতি এই স্পিনার সিঙ্গেল বাঁচাতে পায়ের উপর বল করতে চেয়েছিলেন। তবে সেটা খানিকটা বাইরে দিয়ে চলে যায়। ওয়াটের খানিকটা লেগ সাইডের ডেলিভারিতে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন কারান। ব্যাটে-বলে করতে না পারলেও রান নেয়ার জন্য দৌড় দেন ডানহাতি এই ব্যাটার। প্রথম দফায় বল ধরতে পারেননি উইকেটের পেছনে থাকা ম্যাথু ক্রস। শেষ মুহূর্তে রিজান যখন ডাইভ দেন তখন স্টাম্প ভাঙেন স্কটল্যান্ডের উইকেটকিপার।

স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশের মেয়েদের জয়ের হ্যাটট্রিক
১৫ এপ্রিল ২৫
স্টাম্প ভেঙেই রান আউটের আবেদন করেন স্কটিশ ফিল্ডাররা। পরোক্ষণেই তারা বুঝতে পারেন আম্পায়ার বলটি ওয়াইড দিয়েছেন। স্কটল্যান্ডের পরিবর্তে তখন ম্যাচ জয়ের উল্লাসে ব্যস্ত নেপালের ক্রিকেটাররা। এমন নাকটীয় জয় পেয়ে নেপালের দর্শকরা সবাই মাঠে নেমে আসেন। আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ লিগ—টুতে ১৩ ম্যাচে নেপালের এটি তৃতীয় জয়। ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সাত নম্বরে রয়েছেন লামিচানে-রোহিত পৌডেলরা।
বিপরীতে ১৭ ম্যাচে ৯ জয় পাওয়া স্কটল্যান্ড ২০ পয়েন্ট নিয়ে চারে রয়েছে। টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৯৬ রান তোলে স্কটল্যান্ড। দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৭২ বলে ৮০ রান করেছেন চার্লি টিয়ার। এ ছাড়া ফিনলে ম্যাকগ্রিথ ৫৫, ক্রস ৩৯ এবং রিচি বেরিংটন করেছেন ৪০ রান। জয়ের জন্য ২৯৬ রান তাড়ায় কুশল ভ্রুর্টেল ৫৩, ভিম শার্কি ৪০, গুলশান ঝা ৪২ ও শেষের দিকে কারানের অপরাজিত ৬৫ রানের ইনিংসে জিতে নেপাল।