দুর্ঘটনার পর মনে হচ্ছিল আমার মুখটাই নেই: ফ্লিনটফ

আন্তর্জাতিক
দুর্ঘটনার পর মনে হচ্ছিল আমার মুখটাই নেই: ফ্লিনটফ
দুর্ঘটনার পর অ্যান্ডু ফ্লিনটফ, ইসিবি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
২০২২ সালে 'টপ গিয়ার' শুটিংয়ের সময় এক ভয়ানক গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অলরাউন্ডার অ্যান্ডু ফ্লিনটফ। এরপর তিনি সুস্থ হয়ে ইংল্যান্ডের কোচিং দলে যোগ দিলেও এখনও তার শরীরে বয়ে বেড়াতে হয় সেই দুর্ঘটনার ক্ষত। দুর্ঘটনায় তার মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে এবং পাঁজরের হাড় ভেঙে যায়।

সম্প্রতি ডিজনি ডকুমেন্টারি 'ফ্লিনটফ'-এ তিনি এই দুর্ঘটনা নিয়ে কথা বলেন। তিনি স্বীকার করেন, সেই সময় মারা গেলে তার জন্য হয়তো জীবন সহজ হতো। ফ্লিনটফ একটি ওপেন-টপড মর্গান সুপার ৩ স্পোর্টস কার চালাচ্ছিলেন, যা ঘণ্টায় ১৩০ মাইল গতিতে চলতে সক্ষম। দুর্ঘটনার সময় তার মাথায় হেলমেট ছিল না। হঠাৎ গাড়ি উল্টে গেলে তিনি মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন।

ডকুমেন্টারিতে ফ্লিনটফ বলেন, 'দুর্ঘটনার পর মনে হচ্ছিল আমার মুখটাই নেই। আমি বেঁচে থাকার মতো অবস্থায় ছিলাম না। তখন মনে হচ্ছিল, আমি যদি মারা যেতাম, তাহলে হয়তো এত কষ্ট হতো না।'

তিনি আরও বলেন, 'আমার মাথায় আঘাত লেগেছিল, এবং আমার মুখ রানওয়ে বরাবর প্রায় ৫০ মিটার ঘষে যায়। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অনুভূতি ছিল—আমার মুখ নেই।'

দুর্ঘটনার পর ফ্লিনটফ গভীর মানসিক সংকটে পড়েন। তিনি ঘর থেকে বের হতে পারতেন না। ইংল্যান্ডের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরও তিনি আতঙ্কে ভুগতেন। 'কার্ডিফে একদিন হোটেল থেকে বের হতে আমার ১০ বার চেষ্টা করতে হয়েছিল,' বলেছেন তিনি।

বর্তমানে তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন এবং কোচিং ও পরিবারের সাথে সময় কাটাচ্ছেন। আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আশা নিয়ে তিনি বলেন, 'আমি আগের মতো হবো না, কিন্তু নতুনভাবে গড়ে উঠবো। এখন আমি ভাবি, আগামীকাল সূর্য উঠবে, আমার সন্তানরা আমাকে জড়িয়ে ধরবে। হয়তো আমি এখন একটু ভালো জায়গায় আছি।'

আরো পড়ুন: অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ