আমার ৬০ রানের ইনিংসও ছিল যেন ব্যর্থতা: কোহলি

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২০২৭ বিশ্বকাপে রোহিত-কোহলির জায়গা পাওয়া কঠিন হবে, মনে করেন গাঙ্গুলি
৬ ঘন্টা আগে
সেঞ্চুরি হাঁকানোটা একসময় অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল বিরাট কোহলির। অথচ গত তিন বছরের অধিক সময় ধরে তার ব্যাটে সেঞ্চুরি খরা। এই সময়ে নিয়মিত পঞ্চাশ পেরোনো ইনিংস খেললেও সমর্থক কিংবা ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মন ভরাতে পারছিলেন না কোহলি। ৬০ রানের ইনিংসকেও ব্যর্থ হিসেবে দেখায় ধাক্কা খেয়েছিলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন কোহলি। এরপর সেঞ্চুরি না পেলেও নিয়মিতই রান করেছেন তিনি। ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ৫০ ইনিংস খেলা কোহলির পঞ্চাশ পেরোনো ইনিংস ছিল ২০টিতে। অনেকের ক্ষেত্রে এমন পারফরম্যান্স সাফল্য হিসেবে ধরা হলেও সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটারের ক্ষেত্রে সেটা যেন ব্যর্থতা।
এশিয়া কাপের আগে সর্বশেষ ২০ ইনিংসে অবশ্য সুবিধাও করতে পারছিলেন না কোহলি। তবে বিশ্রাম থেকে ফিরে এশিয়া কাপে দেখা মিলেছে পুরোনো কোহলির। প্রথম ম্যাচে ৩৫ রানে আউট হওয়া ডানহাতি এই ব্যাটার পরের দুই ইনিংসে করেছেন অপরাজিত ৫৯ ও ৬০ রানের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা।

১০২০ দিন পর সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া কোহলি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘আজকে যা হয়েছে, তা গত কয়েক ম্যাচের ধারাবাহিকতারই ফসল। তবে সত্যি বলতে, আজকে আমি নিজেকে ছাড়িয়ে গেছি এবং নিজেকেও চমকে দিয়েছি।’
ব্রুকের সেঞ্চুরি মিসের ম্যাচে বুমরাহর ৫ উইকেট, ভারতের লিড
২১ মিনিট আগে
‘আমাকে বিস্মিত করেছে যেটা, সত্যি বলতে, তা হলো আমার ৬০ রানের ইনিংসও ছিল যেন ব্যর্থতা! আমার জন্য এটা ছিল ‘শকিং’। আমার মনে হচ্ছিল, ‘ব্যাটিং তো ভালোই করছি, অবদানও রাখছি।’ কিন্তু দেখছিলাম, এটাও যথেষ্ট হচ্ছিল না।’
নিজের খারাপ সময়টায় অনেকেই কোহলির সমালোচনা করেছেন। প্রশ্ন তুলেছিলেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটারের টেকনিক নিয়েও। তবে ফর্মে ফেরা কোহলি জানালেন, তিনি টেকনিকে কোন পরিবর্তন আনেননি।
এ প্রসঙ্গে কোহলি বলেন, ‘নাথিং… কোনো টেকনিক্যাল বদল করিনি। অনেক পরামর্শ, উপদেশ দেওয়া হয়েছে আমাকে। অনেকের অনেক কথা শুনেছি। লোকে বলাবলি করেছে, ‘আমি এটা ভুল করছি, ওটা ঠিক হচ্ছে না।’ নিজের সেরা সময়ের সব ভিডিও দেখেছি আমি। সেই একই ইনিশিয়াল মুভমেন্ট, একইভাবে বলের কাছে যাওয়া, সব একইরকম ছিল।’
‘স্রেফ নিজের মাথার ভেতর যা চলছিল, সেটাই কাউকে বোঝাতে পারছিলাম না। দিনশেষে, একজন মানুষ নিজেই কেবল বুঝতে পারে সে কোথায় দাঁড়িয়ে এবং তার কী করা উচিত। লোকে কথা বলবেই, তাদের অধিকার আছে মতামত দেওয়ার। তবে কেউ নিজে কেমন বোধ করছে, তা অন্য কেউই বুঝবে না। আমি খুব ভিন্নভাবে এটা অনুধাবন করতে পেরেছি গত কয়েক মাসে।’