আইপিএলের পর দ্বিতীয় সেরা টুর্নামেন্ট হতে চায় এসএ টোয়েন্টি

ছবি: এসএ টোয়েন্টি ফটোশ্যুট

চলতি বছরের বক্সিং ডেতে শুরু হবে এসএ টোয়েন্টির চতুর্থ আসর। টুর্নামেন্টের ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজিরই মালিকানা রয়েছে আইপিএলের মালিকানাধীন গ্রুপগুলোর হাতে। আইপিএলের পর সবচেয়ে বড় বেতনসীমা রয়েছে এ লিগে—৪ কোটি ১০ লাখ র্যান্ড (২৩.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।
এশিয়া কাপে গিল-আইয়ারদের থাকা নিয়ে ধোঁয়াশা
১৯ ঘন্টা আগে
সেই হিসেবে, এটিকে বিশ্ব ক্রিকেটের দ্বিতীয় সেরা লিগ হিসেবে ধরা যেতে পারে। ৯ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত নিলামের আগেই স্মিথ জানালেন, তারা এই অবস্থান ধরে রাখতেই পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন। স্মিথ আত্মবিশ্বাসী আগামী কয়েক আসরের মধ্যেই এসএ টোয়েন্টিকে আইপিএলের পাশাপাশি দাঁড় করাতে পারবেন।
তিনি বলেছেন, 'যখন আমরা শুরু করি তখন আমাদের তুলনা করা হয়েছিল আইএল টি-টোয়েন্টি আর বিগ ব্যাশের সঙ্গে। আমরা তখন থেকেই বড় উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে এগিয়েছি। সামনের দিনগুলোতে আমরা আধিপত্য বিস্তার করতে চাই এবং আইপিএলের বাইরে সবচেয়ে বড় লিগ হতে চাই। তিন বছরেই আমরা মানদণ্ড স্থাপন করেছি।'

এসএ টোয়েন্টিতে রিটেইন করা যাবে ৬ ক্রিকেটার, নিলামে থাকছে আরটিএম
২৪ জুন ২৫
নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, 'প্রতিটি সিদ্ধান্তই আমরা নিচ্ছি সেই মান বজায় রাখতে। আমার বিশ্বাস কয়েকটি আসরের মধ্যেই নির্দিষ্ট সময়ে নিজেদের আরও উঁচুতে নিয়ে যাবে, আর খেলোয়াড়, বিনিয়োগকারী ও ভক্তদের কাছেও সেগুলোই অগ্রাধিকার পাবে। আমাদের লক্ষ্য হলো আইপিএলের পাশাপাশি শীর্ষে টিকে থাকা।'
অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশের আয়োজক ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। দলগুলোর মালিকানাও তাদের রাজ্যদলগুলোর হাতে। তারাই একমাত্র টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট যাদের মালিকানা ফ্র্যাঞ্চাইজিদের হাতে নেই। অন্যদিকে দ্য হান্ড্রেড ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের দুনিয়ায় প্রবেশ করেছে। তাদের আটটি দলের মধ্যে ছয়টিরই মালিকানায় রয়েছে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিগ ব্যাশ কিছুটা হলেও পিছিয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে এসএ টোয়েন্টি চলাকালে অনেক অনেক সময় তারকা ক্রিকেটারদের পাওয়া যেত না। এমনকি সাউথ আফ্রিকার দ্বিতীয় সারির দল বা সিরিজ পিছিয়ে দেয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে অতীতে। তবে স্মিথ জানিয়েছেন তারা টেস্ট ক্রিকেট ধ্বংস করেননি। যা প্রমাণ সাউথ আফ্রিকার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়।
এ প্রসঙ্গে স্মিথ বলেন, 'অনেকে ভেবেছিলেন আমরা টেস্ট ক্রিকেট ধ্বংস করবো। কিন্তু আমাদের দল বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে। আসলে সবাই মিলে আমরা ক্রিকেট ইকোসিস্টেমে ভূমিকা রাখছি,” স্মিথ বলেন। “আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে মর্যাদা ফেরাতে পেরেছি, নতুন ভক্ত ফিরেছে, নতুন প্রাণ এসেছে।'