ডট বলের মন্ত্রেই সফল মোসাদ্দেক

ঘরোয়া
ডট বলের মন্ত্রেই সফল মোসাদ্দেক
শাইনপুকুরের বিপক্ষে ৩৬ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন ছন্দে থাকা মোসাদ্দেক হোসেন, ক্রিকফ্রেঞ্জি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
রহমতউল্লাহ আলীকে ফিরিয়ে শুরু করেছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। পরবর্তীতে মিনহাজুল আবেদিন সাব্বির, শরিফুল ইসলাম ও গোলাম কিবরিয়ার উইকেটও নিয়েছেন ডানহাতি অফ স্পিনার। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে মাত্র ৮৮ রানে আটকে দেয়ায় বল হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মোসাদ্দেক। ৬ ওভারে এক মেডেনসহ ৩৬ রান খরচায় নিয়েছেন ৪ উইকেট। ৩৬ বলের মাঝে ২০টি ডেলিভারিতেই কোনো রান দেননি তিনি।

মোসাদ্দেকের সঙ্গে রিপন মণ্ডল ও রাকিবুল হাসানের বোলিংয়ে একশর আগেই গুটিয়ে যায় শাইনপুকুর। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় পারভেজ হোসেন ইমনের ৬ ছক্কা ও ৪ চারে ২৩ বলে অপরাজিত ৬১ রানের ইনিংসে মাত্র ৬.৪ ওভারেই জিতে গেছে আবাহনী লিমিটেড। শাইনপুকুরের ম্যাচের মতো পুরো ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) জুড়েই দারুণ ছন্দে আছেন মোসাদ্দেক। 

৯ ম্যাচে ৩.৮২ ইকনোমি রেটে নিয়েছেন ১৬ উইকেট। ডিপিএলের চলমান আসরে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেয়ার তালিকায় তাইজুল ইসলাম, রাকিবুল হাসান ও আসাদুজ্জামান পায়েলের পরেই আছেন মোসাদ্দেক। সবার আগে সুপার লিগ নিশ্চিত করার পর ডানহাতি এই স্পিনার জানিয়েছেন, ডট বল করার পরিকল্পনাতেই এমন সাফল্য পাচ্ছেন তিনি।

বিকেএসপিতে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মোসাদ্দেক বলেন, ‘একটা পরিকল্পনাই শুধু থাকে... বিশেষ করে আমি যখন শুরু থেকেই বোলিং করি ওই সময় থেকেই একটা পরিকল্পনা থাকতো সবসময় ডট বল করা। যে পরিস্থিতিটা থাকে ওই সময়টাতে যেন রান আটকাতে পারি এবং একইসাথে চেষ্টা করি ব্যাটারকে কঠিন সময় দেয়ার জন্য। ওইখান থেকে মাঝে মাঝে এক-দুই উইকেট পাই, মাঝে মাঝে তিন উইকেট। ওই জিনিসটা আমার মাথায় কখনও থাকে না আমাকে এতগুলো উইকেট নিতে হবে।’

বোলিংয়ের মতো ব্যাটিংয়েও ছন্দে আছেন মোসাদ্দেক। ৮ ইনিংসে ব্যাটিং করে ৩০৬ রান করেছেন তিনি। সেঞ্চুরি না পেলেও দুটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। সুযোগ পেলেই দলের জয়ে অবদান রাখায় মনোযোগী আবাহনীর। মোসাদ্দেক বলেন, ‘যখনই সুযোগ আসে চেষ্টা করি দলের জন্য অবদান রাখার এবং দলকে জেতানোর পেছনে কিভাবে অবদান রাখতে পারি। এই লক্ষ্যটাই সবসময় থাকে।’

ডিপিএলের সবশেষ আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আবাহনী। জাতীয় দলের বেশিরভাগ তারকা ক্রিকেটারই খেলেছেন তাদের। যদিও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল খালেদ মাহমুদ সুজন, নাজমুল হোসেন পাপনদের সহায়তায় বাড়তি সুবিধা পেতেন তারা। তবে আগের বোর্ড না থাকার পরও কম বাজেটের দল গড়েও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই রয়েছে আবাহনী। ৯ রাউন্ডের মাত্র একটিতে হেরেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। মোসাদ্দেক তাই এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। 

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনি যদি গত দুই-তিন বছর আগেও দেখেন তাহলে আমাদের দলে কারা কারা ছিল পুরো দলটা আপনি একটু দেখবেন। একই সাথে একজন খেলোয়াড় যখন একটা ভুল করে, মাঠের মধ্যে যদি কোনো ঘটনা ঘটায় তাহলে তার জরিমানা হচ্ছে এবং সিওসি পর্যন্ত হচ্ছে। আম্পায়ারও একজন মানুষ তারা একটা ভুল করতেই পারে।’ 

‘সেটাকে অনেক সময় আপনার পছন্দ হবে না আবার অনেক সময় আমার পছন্দ হবে না। এটাকে যদি আপনি বলেন কেউ বাড়তি সুবিধা নিচ্ছে তাহলে সেটা আমি বলব ভুল। এটা অনেকে অনেকভাবে বিশ্লেষণ করতে পারে কিন্তু আমার কাছে কখনই এমন মনে হয় না। মাঠের ক্রিকেট সবসময় সুন্দর থাকুক আমরা সবসময় এটাই চাই।’

আরো পড়ুন: মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত