লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র পাঁচ ওভারে ইমরানউজ্জামানের উইকেট হারায় অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। হাসান মুরাদের লেংথ ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে জিয়াউর রহমানকে ক্যাচ দেন ১৭ বলে ১১ রান করা ইমরানউজ্জামান। দলীয় ২২ রানে বিদায় নেন ইমরুল কায়েসও। এনামুল হক আনামের গুড লেংথের বলে ইমরুল ক্যাচ দেন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে। এ দিন গোল্ডেন ডাক মারেন তিনি। দলীয় ২৬ রানের মধ্যে অমিত হাসানের উইকেটও হারায় অগ্রণী।
হাসান মুরাদের দারুণ এক ডেলিভারিতে স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে বিদায় নেন ৯ বলে দুই রান করা অমিত। এরপর সাদমান ইসলাম এবং মার্শাল আইয়ুব মিলে দলকে পঞ্চাশ রান পার করান। দলীয় হাফ সেঞ্চুরির পর বিদায় নেন সাদমান। এই ওপেনারের ব্যাটে আসে ৫৮ বলে ১৮ রান। মঈন খানের অফ স্টাম্প তাক করা বলে গালিতে ক্যাচ দেন সাদমান। তারপর মার্শালের সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি গড়েন তাইবুর রহমান। ৪৩ বলে ২২ রান করে ফিরে যান দলকে একশ রানে পৌঁছানোর পর প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি।
ফজলে রাব্বির লেংথ ডেলিভারিতে মিড উইকেটে ইয়াসির রাব্বিকে ক্যাচ দেন তাইবুর। বাকি সময়টা আর বিপদ ঘটতে দেননি মার্শাল এবং শুভাগত হোম। ৯২ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন মার্শাল। ১৩ বলে ৯ রানে অপরাজিত থাকেন শুভাগত। বাংলাদেশ ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানের চার নম্বর মাঠে এর আগে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে মাত্র ১১৫ রানে অলআউট হয়েছে ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাব। নুরুল হাসান সোহান, ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি- প্রত্যেকেই এ দিন ব্যর্থ হয়েছেন।
মূলত রবিউল হক, আরিফ আহমেদ এবং তাইবুর রহমানের অসাধারণ বোলিংয়ের সামনে টিকতে পারেনি দলটি। সপ্তম ওভারে প্রথম উইকেট হারায় ধানমন্ডি। ২১ বলে দুই রান করা আশিকুর রহমান শিবলিকে বোল্ড করেন রবিউল হক। পরের ওভারের প্রথম বলেই ফিরে যান ফাজলে মাহমুদ রাব্বি। নাঈম হাসানের স্পিন সামলাতে না পেরে দুই বলে এক রান করে ফিরে যান তিনি। উইকেটরক্ষক ইমরানউজ্জামানকে ক্যাচ দেন তিনি। তার পরের ওভারে ইয়াসির আলী রাব্বিও ফিরে যান। ৮ বলে এক রান করা এই ব্যাটারকে বোল্ড করেন রবিউল।
তারপর জাকিরুল আহমেদ জেমের সঙ্গে ২৯ রানের জুটি গড়েন সানজামুল ইসলাম। অভিজ্ঞ ডানহাতি স্পিনার শুভাগত হোমের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন সানজামুল। তার ব্যাটে আসে ২৪ বলে ১৮ রান। ১৯ ওভারের মধ্যে জেমও ফিরে যান। এই ওপেনার করেন ৫০ বলে ১৯ রান। আরিফ আহমেদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়েন তিনি। তারপর ৪৪ রানের জুটি গড়েন সোহান এবং মঈন খান। ৩৪ বলে ২২ রান করা সোহানকে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন তাইবুর।
এরপর আর বেশীক্ষণ টিকতে পারেনি ধানমন্ডির ইনিংস। ৩৩.৫ ওভারে ১১৫ রানে অলআউট হয় দলটি। রবিউল হকের লেংথ বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৪০ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন মঈন। অগ্রণীর হয়ে ১৪ রান খরচায় চার উইকেট নেন রবিউল। দুটি করে উইকেট নেন আরিফ এবং তাইবুর।