মুশফিক-লিটনের আক্ষেপের পর বাংলাদেশের ধস

ছবি: ডাবল সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি মুশফিকুর রহিমের, সেঞ্চুরি পাননি লিটন দাসও, ক্রিকফ্রেঞ্জি

দ্বিতীয় সেশনে ভালো শুরু পেলেও গলে হানা দেয় বৃষ্টি। জয়টা শেষ পর্যন্ত বৃষ্টিরই হয়েছে। তৃতীয় সেশন জিতে আশা পূরণের সুযোগ থাকলেও মুশফিক সেটা পারেননি। আসিথার বলে আউট হয়েছেন ১৬৩ রানের ইনিংস খেলে। একটু পর সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয়েছে ৯০ রান করা লিটন দাসকেও। শেষের ব্যাটিং ধসে বাংলাদেশের দ্বিতীয় দিন শেষ হয়েছে ৯ উইকেটে ৪৮৪ রান তুলে। আলোকস্বল্পতার কারণে আগেভাগেই দিনের খেলা শেষ হওয়ায় তৃতীয় দিন ১৫ মিনিট আগেই ম্যাচ শুরু হবে।
দ্বিতীয় দিনে অন্তত দুই সেশন জিততে চায় বাংলাদেশ
১৭ জুন ২৫
গলে আগের দিনের ৩ উইকেটে ২৯২ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন শান্ত ও মুশফিক। সকালের শুরুতেই চার মেরে তিনশ পার করেন শান্ত। একটু পর অবশ্য আউট হতে পারতেন তিনি। আসিথার বলে আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান বাংলাদেশের অধিনায়ক। তবে জীবন পেয়েও দেড়শ রান করতে পারেননি শান্ত। আসিথার বলেই বিদায় নেন তিনি। ডানহাতি পেসারের লেংথ ডেলিভারিতে মিড অফে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে ক্যাচ তুলে দেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
ফেরার আগে ১৫ চার ও এক ছক্কায় ২৭৯ বলে ১৪৮ রানের ইনিংস খেলেছেন শান্ত। বাঁহাতি ব্যাটারের বিদায়ে ভাঙে মুশফিকের সঙ্গে তাঁর ৪৮০ বলে ২৬৪ রানের জুটি। ব্যাটিংয়ে এসে রয়েসয়ে শুরু করেছিলেন লিটন। ১০৯তম ওভারের প্রথম বলে মিড উইকেটে পাথুম নিশাঙ্কাকে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। সেটি ধরলেও মুঠোয় রাখতে পারেননি নিশাঙ্কা। ফলে ১৪ রানে জীবন পান লিটন। এরপরের দুই বলে মিড উইকেটের ওপর দিয়ে দুটি চার মারেন লিটন। ১০৮.৩ ওভারের সময় লিটনের চারে সাড়ে তিনশ পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ।

থারিন্দু রত্নায়েকের পরের বলে লিটন আরেকটি চার মারেন। ৮৫ বলে এই জুটি পঞ্চাশ রান স্পর্শ করে। এই দুজনের ব্যাটে প্রথম সেশন নিরাপদে পার করে বাংলাদেশ। লাঞ্চ বিরতি থেকে ফেরার কিছুক্ষণ পরই দেড়শ রান পার করেন মুশফিক। ২৮৪ বলে থারিন্দুকে ফাইন লেগে চার মার মেরে টেস্ট ক্যারিয়ারের সপ্তমবারের মতো এই মাইলফলক অর্জন করেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। একটু পর ১২০ ওভারে ৪০০ রান স্পর্শ করে বাংলাদেশ। ১২২তম ওভারে হাফ সেঞ্চুরি পূরন করেন লিটন।
শ্রীলঙ্কান বোলারদের থেকেই উইকেট নেয়ার রসদ খুঁজছে বাংলাদেশ
৪ ঘন্টা আগে
ডানহাতি ব্যাটার পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৬৪ বলে। এটি লিটনের ক্যারিয়ারের ১৮তম হাফ সেঞ্চুরি। ইনিংসের ১২৭তম ওভারে বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়। যার ফলে প্রায় আড়াই ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকে। বৃষ্টি থামার পর ১৩৭.১ ওভারে সাড়ে চারশ রান পার করে বাংলাদেশ। একটু পরই ফিরে যান মুশফিক। ডাবল সেঞ্চুরির নেশায় ধীরগতিতে খেলতে থাকা মুশফিককে ফেরান আসিথা। ডানহাতি এই পেসারের লেংথ ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হন তিনি। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি মুশফিক। আউট হয়েছেন ৩৫০ বলে ১৬৩ রানের ইনিংস খেলে।
একটু পর আউট হয়েছেন লিটনও। থারিন্দুর লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে উইকেটকিপার কুশল মেন্ডিসকে ক্যাচ দিয়েছেন। ১১ চার ও এক ছক্কায় ১২৩ বলে ৯০ রানের ইনিংস খেলে আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয় তাকে। টিকতে পারেননি জাকের আলী অনিকও। মিলান রত্নায়েকের অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন তিনি। দ্রুতই ফিরে গেছেন নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলামরাও। শ্রীলঙ্কার হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন আসিথা, থারিন্দু ও মিলান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর—
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস)— ৪৮৪/৯ (১৫১ ওভার) (সাদমান ১৪, বিজয় ০, মুমিনুল ২৯, শান্ত ১৪৮, মুশফিক ১৬৩, লিটন ৯০, জাকের ৮, নাঈম ১১; মিলান ৩/৩৮, আসিথা ৩/৮০, থারিন্দু ৩/১৯৬)