ইমনের সেঞ্চুরির ম্যাচে বাংলাদেশকে জেতালেন তানজিম-হাসানরা

ছবি: প্রথম সেঞ্চুরির পর আনন্দে ভাসছেন পারভেজ হোসেন ইমন, ফাইল ফটো

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় সংযুক্ত আরব আমিরাত। প্রথম ওভারে মাত্র পাঁচ রান নিলেও শেখ মেহেদীর করা দ্বিতীয় ওভার থেকে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ১৯ রান আদায় করে আরব আমিরাতের ওপেনাররা। তানজিম সাকিবের করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দলটি নেয় আরো ১৪ রান। এই ওভারে দুটি চার ও একটি ছক্কা হজম করেন তানজিম। তিন ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৩৮ রান তোলে দলটি।
তিন অভিযোগে বিসিবিতে আবারও দুদকের অভিযান
১০ ঘন্টা আগে
চতুর্থ ওভারে আরব আমিরাতের রানের চাকায় লাগাম দেন হাসান মাহমুদ। তার বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে মিড অনে বদলি ফিল্ডার নাজমুল হোসেন শান্তর মুঠোয় ধরা পড়েন মোহাম্মদ জোহাইব। ৯ বলে ৯ রান করেন তিনি। ৩.৫ ওভারে ৪১ রানে ভাঙে আরব আমিরাতের ওপেনিং জুটি। পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে মুস্তাফিজুর রহমান ফেরান আলিশান শারাফুকে। মুস্তাফিজের ফুলার লেংথের ডেলিভারিতে লফটেড কাভার ড্রাইভ খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন শারাফু। তিন বলে এক রান করেন তিনি। পাওয়ার প্লে'র ছয় ওভারে মোহাম্মদ ওয়াসিমের দাপটে দুই উইকেটে ৫২ রান তোলে দলটি।
পাওয়ার প্লে সফলভাবে শেষ করার পর হাসান মাহমুদের করা সপ্তম ওভারেও চড়াও হন রাহুল চোপড়া। এই ওভারে রাহুলের তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ১৯ রান নেয় আরব আমিরাত। অষ্টম ওভার থেকে আসে আরো ১৪ রান। মাত্র ২৮ বলে জুটির পঞ্চাশ তোলেন এই দুজন। দুর্দান্ত খেলতে থাকা ওয়াসিম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ৩২ বলে। ক্যারিয়ারে এটি তার ২১তম হাফ সেঞ্চুরি। আরব আমিরাত ১০ ওভারে তোলে দুই উইকেটে ৯৮ রান।

১০.২ ওভারে দলীয় শতরান ছোঁয়ার পরের ওভারে ওয়াসিমের উইকেট হারায় আমিরাত। তানজিম হাসান সাকিবের লেগ স্টাম্প তাক করা বাউন্সারে হাকাতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে মুস্তাফিজের মুঠোয় ধরা পড়েন ওয়াসিম। সাতটি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৪ রান করেন তিনি। ভাঙে রাহুলের সঙ্গে তার ৪২ বল স্থায়ী ৬২ রানের জুটি। এরপর রানরেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আর সেভাবে রান তুলতে পারেনি আরব আমিরাতের ব্যাটাররা। ২১ বলে তিনটি চার ও দুটি ছক্কায় ৪২ রান করা আসিফকে হাসান মাহমুদ ফেরালে আর দাঁড়াতেই পারেনি দলটি। বাংলাদেশের হয়ে ৩৩ রান খরচায় তিনটি উইকেট নেন হাসান। মুস্তাফিজ ১৭ রানে ও তানজিম ২২ রানে দুটি করে উইকেট নেন। শেখ মেহেদী দুই উইকেট নিতে খরচ করেন ৫৫ রান। ১৬৪ রানে শেষ বলে অল আউট হয় দলটি।
মাঠে নামার আগে ক্রিকেটারদের ‘ফ্রি’ লাইসেন্স দিলেন লিটন
১৭ মে ২৫
এর আগের ইনিংসে ক্যারিয়ারের অষ্টম ম্যাচে এসে তিন অঙ্কের দেখা পান ইমন। ২৮ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। তিনটি চার আর পাঁচটি ছক্কায় পৌঁছান ফিফটিতে, আর মাত্র ২৫ বল পর ৫৩তম বলে স্পর্শ করেন শতরান। ৫টি চার আর ৯টি বিশাল ছক্কায় সাজানো ছিল তার ১০০ রানের ইনিংস। তবে সেঞ্চুরি করার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, ফিরতে হয় ঠিক ১০০ রানেই।
শারজাহতে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে পারভেজের সঙ্গী ছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। ইনিংসের শুরুটা ছিল দারুণ। প্রথম ওভারে আগ্রাসী চেষ্টা করেন তানজিদ, হাঁকান একটি ছক্কা ও একটি চার। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারেই মতিউল্লাহর একটি দুর্দান্ত আউটসুইঙ্গারে কট বিহাইন্ড হয়ে যান মাত্র ১০ রানে। এরপর দ্রুত ফিরে যান লিটন দাসও, তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১১ রান।
তাওহিদ হৃদয় কিছুটা লড়াই করেন, ১৫ বলে ২০ রান করে গড়েন ইমনের সঙ্গে ৫৮ রানের জুটি। কিন্তু তিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। শেখ মেহেদী হাসান, জাকের আলী অনিক ও শামীম হোসেন পাটোয়ারি—তিনজনের কেউই বড় কিছু করতে পারেননি। মেহেদী ৫ বলে ২, জাকের ১৪ বলে ১৩ আর শামীম করেন মাত্র ৬ রান। একপ্রান্তে যখন উইকেটের মিছিল, তখন ইমন ছিলেন অনড়—একাই লড়ে যান পুরো ইনিংসজুড়ে।
শেষ দিকে তানজিম হাসান সাকিব ৭, তানভির ইসলাম অপরাজিত থাকেন ১ রানে। সব মিলিয়ে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ১৯১ রানের বড় স্কোর। আমিরাতের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন মোহাম্মদ জাওয়াদুল্লাহ। মাত্র ২১ রান খরচায় শিকার করেন ৪টি উইকেট।