তাই নিজেদের শক্তিমত্তা বুঝে দলের ক্রিকেটারদের নিজেকে উজাড় করে দিয়ে যেন ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলেন সেই বার্তাই দিয়েছেন লিটন। তিনি আশাবাদী দ্রুতই আরব আমিরাতের কন্ডিশনে মানিয়ে নিয়ে বাংলাদেশ দল তাদের সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে পারবেন।

আরো পড়ুন

আইপিএলে ৩ ম্যাচ খেলার এনওসি পেলেন মুস্তাফিজ

১৬ ঘন্টা আগে

এই ব্যাপারে লিটন বলেন, 'চেষ্টা করবো ভালো ক্রিকেটটা খেলার । ইউএইর মাঠে তাঁরা ভালো দল। তারা এখানে কন্টিনিউ খেলে, এই কন্ডিশন সম্পর্কে ভালো আইডিয়া আছে। একই সঙ্গে আমাদের দলও অনেক ভালো, আমরা চেষ্টা করবো মানিয়ে নেওয়ার এবং ভালো ক্রিকেটটা খেলার।'

বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটে ‘ইতিবাচক ক্রিকেট খেলার’ কথা বলা হলেও, বাস্তবে সে প্রতিফলন দেখা যায়নি। বিশেষ করে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে আফগানিস্তানের চেয়েও পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। যেখানে দ্রুত রান তোলার কথা সেখানে উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ধুঁকতে দেখা যায় বাংলাদেশকে।

আরো পড়ুন

ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারলেন স্বর্ণা-শারমিনরা

১৪ ঘন্টা আগে

অবশ্য এবার লিটন জানিয়েছেন তাদের প্রধান লক্ষ্যই থাকবে ম্যাচ জেতা। ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং তিন বিভাগেই ভালো করে পর্যাপ্ত প্রস্তুতির ছাপ ম্যাচেও রাখার প্রত্যাশা লিটনের। তিনি বলেছেন, 'এই দুইটা ম্যাচ থেকে অবশ্যই প্রথম প্রায়োরেটি হচ্ছে দুইটা ম্যাচই যেন জিততে পারি। একই সঙ্গে চাইবো যেন আমরা যেসব জায়গা নিয়ে কাজ করেছি কিছুদিন যাবত, সেই জায়গাগুলো ফুলফিল করতে পারি।'

ক্রিকেটারদের ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলার পরামর্শ দিয়েছেন লিটন। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে অনেক সময়ই উচ্চ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করতে পারেননা বাংলাদেশের ব্যাটাররা। অনেক সময় খরুচে বোলিংয়েও ম্যাচ ফসকে যায়। বাংলাদেশ অধিনায়কের ভাবনা ক্রিকেটাররা যেন অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা না করে নিজেদের স্বাভাবিক ক্রিকেটটাই খেলেন।

লিটন বলেন, 'মেসেজ একটা জিনিসই থাকবে যে ফিল ফ্রি। এই ফরম্যাটে অনেক চিন্তা আসে অনেক সময়। আমি চাইবো প্রতিটা খেলোয়াড় তার জায়গা থেকে যত ফ্রিলি ক্রিকেট খেলতে পারে এবং ক্রিকেটটা ইনজয় করতে পারে। ফলাফলের কথা না ভাবলে, ফলাফল একটা সময় চলে আসবে কিন্তু আমরা কতটা প্রসেস মেইনটেইন করতেছি এই জিনিসটা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।'