টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ৪ ম্যাচ জিতে প্রায় ৯ কোটি টাকা পেল বাংলাদেশ

বাংলাদেশ
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ৪ ম্যাচ জিতে প্রায় ৯ কোটি টাকা পেল বাংলাদেশ
বাংলাদেশ দল, ফাইল ফটো
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
২০২৩-২৫ ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (ডব্লিউটিসি) চক্রে সপ্তম স্থানে শেষ করে বাংলাদেশ পাচ্ছে ৭২০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ আট কোটি ৭৩ লাখ। বৃহস্পতিবার এই চক্রের জন্য রেকর্ড পরিমাণ পুরস্কার ঘোষণা করেছে আইসিসি, যার বড় একটি অংশ যাচ্ছে টাইগারদের কাছে।

এই চক্রেই বাংলাদেশ দেখিয়েছে নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স। ১২ টেস্টের ৪টিতে এসেছে জয়। তিনটি আবার বিদেশের মাটিতে! পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ ২-০ সিরিজ জয়, আর ক্যারিবিয়ানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আরও একটি ঐতিহাসিক জয়। ঘরের মাঠে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েও নিজেদের সামর্থ্য জানান দেয় লাল-সবুজের দল।

এর আগে প্রথম দুই চক্র মিলিয়ে বাংলাদেশের জয় ছিল মাত্র একটি। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই স্মরণীয় টেস্ট জয়। ২০১৯-২১ চক্রে তো একেবারেই জয়শূন্য ছিল বাংলাদেশ। সেদিক থেকে এবারের পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া।

সামনে ১১-১৫ জুন লর্ডসে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল। দুই ফাইনালিস্ট— অস্ট্রেলিয়া ও সাউথ আফ্রিকা মর্যাদা ও ট্রফির পাশাপাশি লড়বে বিশাল অঙ্কের অর্থের জন্যও। শিরোপাজয়ী দল পাবে ৩.৬ মিলিয়ন ডলার, যা আগের যেকোনো আসরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।

রানারআপ দলও এবার পাবে আগের চ্যাম্পিয়নদের চেয়েও বেশি অর্থ, অন্তত ২.১ মিলিয়ন ডলার। ২০২১ ও ২০২৩ সালের ফাইনালিস্টরা পেয়েছিল যথাক্রমে ১.৬ ও ০.৮ মিলিয়ন ডলার করে।

পুরস্কারের অঙ্ক বাড়িয়ে আইসিসি টেস্ট ক্রিকেটকে আবার গুরুত্বের কেন্দ্রে আনতে চাইছে। এই ফরম্যাটের মর্যাদা ও উত্তেজনা ধরে রাখতে এমন উদ্দীপক আর্থিক উপহার নিঃসন্দেহে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে বিশ্লেষকেরা।

আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ বলেন, 'আমরা একটি রোমাঞ্চকর চক্র দেখেছি, যেখানে ফাইনালের দল নির্ধারিত হয়েছে একেবারে শেষদিকে। এই প্রতিযোগিতা বিভিন্ন দলের অসাধারণ পারফরম্যান্স তুলে ধরেছে, আর ফাইনালে দেখা যাবে দুই দারুণ স্কোয়াডকে—এটাই তো ক্রিকেটের এক নিখাদ উৎসব।'

তৃতীয় চক্রে দারুণভাবে শেষ করেছে সাউথ আফ্রিকা। শেষদিকে ঘরের মাঠে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা দুই সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জিতেছে তারা। ৬৯.৪৪ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে তারা ফাইনালে। অস্ট্রেলিয়া (৬৭.৫৪) দ্বিতীয়, আর শীর্ষে থেকেই পথ শুরু করা ভারত থেমেছে ৫০ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে।

আরো পড়ুন: বাংলাদেশ