এপ্রিল সেরার দৌড়ে মিরাজের সঙ্গী মুজারাবানি-সিয়ার্স

ছবি: এপ্রিল সেরার দৌড়ে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গী ব্লেসিং মুজারাবানি ও বেন সিয়ার্স, আইসিসি

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন মিরাজ। ২৭ বছর বয়সী মিরাজ দুই টেস্টেই দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন। সিলেটে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে তিনি বল হাতে চমৎকার নৈপুণ্য দেখান, যেখানে পরপর দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে শিকার করেন।
কেন শান্ত, কেন নেই মিরাজ, ব্যাখ্যা দিলেন প্রধান নির্বাচক
৪ মে ২৫
প্রথম ইনিংসে ৫২ রানে পাঁচ উইকেট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০ রানে পাঁচ উইকেট নিয়ে তিনি স্বাগতিকদের লড়াইয়ে রাখেন। যদিও শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে তিন উইকেটে ম্যাচটি জিতে নেয়। দ্বিতীয় টেস্টটিতে বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও জ্বলে ওঠেন মিরাজ।
প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে ২২৭ রানে অলআউট করার পর, মিরাজ ব্যাট হাতে দৃঢ়তা দেখান। ১৬২ বলে ১০৪ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশের ইনিংসকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করান। বাংলাদেশ করে ৪৪৪ রান। এরপর বল হাতে আবারো জ্বলে ওঠেন মিরাজ।
জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেন মাত্র ৩২ রান খরচায়। যার ফলে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ইনিংস ও ১০৬ রানে বিশাল জয় পায় এবং সিরিজ ১-১ এ সমতায় শেষ করে। এই অসাধারণ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে মিরাজ এপ্রিল মাস শেষ করেন দুই টেস্টে ৩৮.৬৬ গড়ে ১১৬ রান ও ১১.৮৬ গড়ে ১৫ উইকেট নিয়ে।

ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশের হার, অপেক্ষা বাড়ল সিরিজ জয়ের
১ ঘন্টা আগে
এই সিরিজে ২৮ বছর বয়সী পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি ছিলেন দুর্দান্ত। সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫০ রান খরচায় তিন উইকেট নেন তিনি এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৭২ রান খরচায় নেন ছয় উইকেট। বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে ধ্বংস নামিয়ে আনেন তিনি।
তার বোলিংয়েই জিম্বাবুয়ে ম্যাচ জেতে তিন উইকেটে, আর মুজারাবানি হন ম্যাচসেরা। পুরো সিরিজে ১০ উইকেট তুলে নিয়ে তিনি ছিলেন জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি, গড় মাত্র ২০.৫০।
মাস সেরার দৌড়ে থাকা নিউজিল্যান্ডের ২৭ বছর বয়সী পেসার বেন সিয়ার্স পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ছিলেন অসাধারণ ফর্মে।
হ্যামিল্টনে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫৯ রান খরচায় পাঁচ এবং মাউন্ট মঙ্গানুইতে তৃতীয় ওয়ানডেতে ৩৪ রান খরচায় পাঁচ উইকেট নেন।
টানা দুই ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষকে বেকায়দায় ফেলেন সিয়ার্স। নিউজিল্যান্ড সিরিজ জেতে ৩-০ ব্যবধানে। পুরো সিরিজে সিয়ার্স নেন ১০ উইকেট। গড় মাত্র ৯.৩০, ইকোনমি রেট ছিল ৫.০৭। পাশাপাশি সিরিজসেরার পুরষ্কারও জিতে নেন তিনি।