বাংলাদেশের হয়ে আরো ২ বছর খেলে অবসরে যেতে চান সাকিব

ছবি: বাংলাদেশের হয়ে আরো ২ বছর খেলে অবসরে যেতে চান সাকিব, ফাইল ফটো

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে দেশে আসা হয়নি সাকিবের। ঘরের মাঠে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলার মধ্য দিয়ে অবসরে যেতে চাইলেও সেই সুযোগ তিনি পাননি। তবে আশা হারাচ্ছেন না সাকিব। ক্রিকেটে ফেরার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তিনি।
‘আমরা ভালো বল করেছি, আপনারা ক্রেডিট দিতে চান না’
২৮ এপ্রিল ২৫
সম্প্রতি 'ডেইলি সান'কে দেয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেন, 'আমি এখনো চাই, বাংলাদেশের হয়ে খেলেই ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে। যদি কখনো সুযোগ হয়, তাহলে ১-২টি সিরিজ কিংবা আরো ১ বছর খেলার পরিকল্পনা করবো। আমার সবথেকে বড় ইচ্ছে হলো, আমার দেশের হয়ে খেলা এবং সেজন্য আমি আমার সবটুকু বিসর্জন দিতেও রাজী আছি। এই ইচ্ছে পূরণের জণ্যই আমি কাজ করছি এবং সবটুকু চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ক্রীড়া উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টা এবং বোর্ড সভাপতির সঙ্গে কথা বলছি।'
'আপনি আমাকে গত ১৮ বছরের ক্রিকেট দিয়ে বিচার করবেন নাকি ছয় মাস দিয়ে বিচার করবেন সেটা আপনার ওপর। তবে আমি মনে করি আমি বাংলাদেশের হয়ে খেলাটা ডিজার্ব করি। বেশীরভাগ মানুষ চায় আমি বাংলাদেশের হয়ে খেলেই অবসর নিই। আমিও বিশ্বাস করি যে আর এক বা দুই বছর আমি খেলতে পারব।'

চট্টগ্রাম টেস্ট জিতেও শান্ত বললেন, খুব বেশি খুশি নই
১৯ ঘন্টা আগে
গত জুলাইতে দেশে যখন তৎকালীন সরকার গণহত্যা চালাচ্ছিল। তখন কানাডায় পরিবারের সঙ্গে আনন্দ ভ্রমণে বের হতে দেখা যায় সাকিবকে। দেশের ছাত্ররা যখন রাজপথে তাজা রক্ত ঝরাচ্ছিল, তখন সাকিবের সহধর্মিণীর ফেসবুক থেকে ভাইরাল হয় এমন ছবি।
তখন বেশ খোশমেজাজে সময় কাটালেও বর্তমানে তা নিয়ে আফসোস করছেন সাকিব। নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন তিনি। ভুল স্বীকার করে নিয়ে সেটির দায়ভারও নিচ্ছেন সাকিব। গতবারের সরকারের সংসদ সদস্য এবং ক্রিকেটার হিসেবে কাজটি অনুচিত ছিল বলেই ভাবনা সাকিবের।
তিনি আরও বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি তখন বেশ কিছুদিন দেশের বাইরে ছিলাম। প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রে মেজর লিগ ক্রিকেট (এমএলসি) খেলতে গেলাম, তারপর কানাডায়। ছবিটি কানাডায় তোলা। আমি নিজে এটি পোস্ট করিনি। তবুও, আমি এর দায়ভার নিচ্ছি। এটা একটা পূর্বপরিকল্পিত পারিবারিক ভ্রমণ ছিল।'
'এখন বুঝতে পারছি, হ্যাঁ, একজন পাবলিক ফিগার হিসেবে আমার আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল। আমি এটা স্বীকার করছি। তবে আমার মনোযোগ সব সময় ক্রিকেটের দিকে ছিল—সংসদ সদস্য হওয়ার আগে এবং পরেও। আমাকে কখনো রাজনীতিতে জড়িত হতে বলা হয়নি। আমাকে সব সময় বলা হয়েছে, "শুধু ক্রিকেট খেলো।" তাই আমি সেদিকেই মনোযোগ দিয়েছি।'