বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজ

বলের পেছনে পাঁচ ফিল্ডারের দৌড়ের ব্যাখ্যা দিলেন জাকির

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 21:02 সোমবার, 01 এপ্রিল, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টেই ব্যাটিংয়ে ভরাডুবি হয়েছে বাংলাদেশের। তিন ইনিংসেই বাংলাদেশ দুশো পার করতে পারেনি। সেই সঙ্গে ফিল্ডিংয়ে সহজ সব ক্যাচ মিস করার খেসারৎ দিয়েছে হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে। দ্বিতীয় টেস্টে শ্রীলঙ্কার ৫৩১ রানের জবাবে বাংলাদেশ অল আউট হয়ে গেছে ১৭৮ রানে।

তৃতীয় দিন ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও শ্রীলঙ্কার লিড এখন ৪৫৫ রানের। এমন অবস্থায় ম্যাচে ফেরার সুযোগ নেই বাংলাদেশের। অপেক্ষা শুধু অসহায় আত্মসমর্পনের। দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো বোলিং করলেও ফিল্ডাররা একাধিক ক্যাচ হাতছাড়া করেছেন। এর দায় এড়াচ্ছেন না জাকির হাসান।

সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেছেন, ‘অবশ্যই ক্যাচ ড্রপ হলে সবার খারাপ লাগে। এই ম্যাচেও আমাদের অনেক ক্যাচ ড্রপ হয়েছে। আসলে এটা তো কোনো এক্সকিউজ হতে পারে না। চেষ্টা করছি ইনশা আল্লাহ ওই জায়গায় উন্নতি করার।’

চট্টগ্রামে লঙ্কানদের সঙ্গে বাতাসের সঙ্গেও লড়াই করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এই বাতাস কাজে লাগিয়ে লঙ্কান পেসাররা যেভাবে সুইংয়ে কাবু করেছেন বাংলাদেশের ব্যাটারদের একইভাবে টাইগার ফিল্ডারদের হাতে জীবন পাওয়ার ক্ষেত্রেও আছে বাতাসের ভূমিকা।

অবশ্য এক্ষেত্রে বাতাসকে অযুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চান না জাকির। এই সুযোগ হাতছাড়া করলে ম্যাচে ফেরা কঠিন বলেও মনে করেন তিনি। জাকির বলেন, ‘ফিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে বাতাস কোনো এক্সকিউজ নয়। আমরা চান্সগুলো নিতে করতে পারিনি।’

চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে লঙ্কানদের ১০ ব্যাটারকে আউট করতে গিয়ে ৭টি ক্যাচ ফেলেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসেও ক্যাচ মিসের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে আলোচনা জন্ম দিয়েছে বলের পেছনে পাঁচ ফিল্ডারের দৌড়। শ্রীলঙ্কার ইনিংসের ২১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে হাসান মাহমুদকে ডিপ থার্ড ম্যান অঞ্চলে বল ঠেকে রান নিচ্ছিলেন প্রবাথ জয়াসুরিয়া।

বল নাগালে পেতে শুরুতেই দৌড়ান মুমিনুল হক, তার পিছু নেন জাকির ও মাহমুদুল হাসান জয়। এরপর তাদের পেছনে পেছনে ছুটতে দেখা যায় শাহাদাত দিপু ও মেহেদী হাসান মিরাজকে। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের এমন কান্ড হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে। জাকির সংবাদ সম্মেলনে এর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন।

তিনি বলেছেন, 'হাসান মাহমুদ খুবই ভালো বোলিং করছে। ওর ডেব্যু ম্যাচ। আপনারাও দেখতে পেরেছেন যে ও খুব ভালো মুভমেন্ট পেয়েছে। ভালো জায়গায় বল করেছে, ভালো লেগেছে। তখন ওই এফোর্টগুলো (ফিল্ডিং) অটোমেটিক্যালি চলে আসে। আমরা সব সময় চেষ্টা করছি ওই ইফোর্টটা ধরে রাখার। কিন্তু ওই সিচুয়েশনটা হয়েছিল যে এফোর্টের কারণে সবাই গিয়ে বলটা চেজ করতে চেয়েছিল।'