ডিপিএল

ইমনের সেঞ্চুরি ম্লান করে শেষ বলে মোহামেডানের শ্বাসরুদ্ধকর জয়

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 21:15 বুধবার, 27 মার্চ, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

আশিকুর জামানের অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের লেংথ ডেলিভারিতে মিড অফের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে নাইম ইসলামকে ক্যাচ দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৪২ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলা রিয়াদ ফিরলেও অন্যপ্রান্তে ছিলেন হাফ সেঞ্চুরিয়ান আবু হায়দার রনি। ম্যাচ জিততে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের তখনও প্রয়োজন ১৯ বলে ২৮ রান। নাসুম আহমেদ ফিরেছেন পরের ওভারেই। তবে ব্যাটিংয়ে এসে শেখ মেহেদী হাসানকে টানা দুই ছক্কা মেরে সমীকরণ সহজ করেছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। যদিও ওই ওভারে ৫৪ রান করা আবু হায়দারকে হারিয়ে একা হয়ে পড়েন কামরুল রাব্বি।

বৃষ্টি আইনে শেষ ওভারে মোহামেডানের প্রয়োজন ছিল ৯ রান। পেসার হাসান মাহমুদকে খেলার জন্য শেষ ব্যাটার হিসেবে সঙ্গী পেয়েছিলেন আসিফ হাসানকে। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হাসানকে প্রথম বলেই চার মেরে দেন কামরুল রাব্বি। তবে পরের তিন বলে ডানহাতি এই ব্যাটারকে রান নিতে দেননি হাসান। এমন সময় দুই বলে ৫ রান প্রয়োজন হলে আরও চাপে পড়েন কামরুল রাব্বি। তবে টানা দুই বলে দুই চার মেরে মোহামেডানকে ১ উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর জয় এনে দেন ১৪ বলে ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা এই ব্যাটার। এমন জয়ে প্রাইম ব্যাংককে পেছনে ফেলে পয়েন্ট টেবিলের তিনে উঠে এসেছে ইমরুল কায়েসের মোহামেডান।

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ৪ নম্বর মাঠে জয়ের জন্য ২৮০ রান তাড়ায় শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে মোহামেডান। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই প্রান্তিক নওরোজ নাবিলের উইকেট হারায় তারা। হাসানের রাউন্ড দ্য উইকেটে করা ডেলিভারিতে বলের লাইন মিন করে বোল্ড হয়েছেন ১ রান করা প্রান্তিক নওরোজ। পরের ওভারে সাজঘরে ফিরেছেন ইমরুল। নাজমুল ইসলাম অপুর অফ স্টাম্পের বাইরের বলে স্লগ সুইপ করেছিলেন মোহামেডানের অধিনায়ক।

টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় নাইমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয়েছে রানের খাতা খোলার আগেই। দলের রান যখন মাত্র ১৫ তখন ফিরে গেছেন আরেক ওপেনার রনি তালুকদারও। ১২ রান করা এই ব্যাটারকেও নিজের শিকার বানিয়েছেন স্পিনার নাজমুল অপু। এরপর অবশ্য দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন এবং আরিফুল ইসলাম। তারা দুজনে মিলে মোহামেডানের স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ১১৬ রান। তাদের জুটি ভেঙেছেন সাকলাইন সজীব। ৪৫ রান করা আরিফুলকে সাজঘরে ফিরেছেন বাঁহাতি এই স্পিনার।

এরপর মাহিদুল অঙ্কনকে সঙ্গ দিতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ। যদিও তাদের দুজনের জুটি খুব বেশি বড় হয়নি। এবারের ডিপিএলে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে আছেন অঙ্কন। দলের প্রয়োজনে এদিনও খেলেছেন ৯ ছক্কায় ৭৮ রানের ইনিংস। তখনও ম্যাচ জয় থেকে অনেকটা দূরে ছিল মোহামেডান। তখন ব্যাটিংয়ে এসে পুরো খেলার চিত্র বদলে দেন আবু হায়দার। মাত্র ৩৬ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। এর আগে অবশ্য ৪৪ রানে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ। শেষ দিকে মোহামেডানের জয়ের বাকি কাজটা সারেন কামরুল রাব্বি।

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রাইম ব্যাংককে স্বপ্নের শুরু এনে দিয়েছেন পারভেজ হোসেন ইমন এবং তামিম ইকবাল। উদ্বোধনী জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ১২২ রান। হাফ সেঞ্চুরিয়ান তামিমকে ৬৫ রানে থামিয়ে জুটি ভাঙেন মাহমুদউল্লাহ। ডানহাতি এই অফ স্পিনারের বলে রুবেল মিয়ার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন প্রাইম ব্যাংকের অধিনায়ক। তামিম ফিরলেও দারুণ ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন পারভেজ ইমন।

খেলেছেন ১১১ বলে ১১০ রানের অনবদ্য ইনিংস। এবারের ডিপিএলে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। ৬ ম্যাচে তিনটি সেঞ্চুরির সঙ্গে একটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন পারভেজ ইমন। এদিন সাব্বির রহমানের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৯ রান। সব মিলিয়ে তাদের তিনজনের ব্যাটে ৫০ ওভারে ২৭৯ রানের পুঁজি পায় প্রাইম ব্যাংক। মোহামেডানের হয়ে আরিফুল হক তিনটি এবং নাসুম আহমেদ পেয়েছেন ‍দুটি উইকেট।