ডিপিএল

রিয়াদ-ইমরুলের ব্যর্থতার দিনে অঙ্কনের ব্যাটে মোহামেডানের জয়

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 19:30 বৃহস্পতিবার, 21 মার্চ, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সবশেষ রাউন্ডে গাজী গ্রুপের সঙ্গে ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে ১৩ রান প্রয়োজন ছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের। একাই ৯৪ রানের ইনিংস খেললেও সেই সমীকরণ মিলিয়ে মোহামেডানকে জেতাতে পারেননি মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তবে পরের ম্যাচেই জয়ে ফিরেছে ঢাকার ঐহিত্যবাহী দলটি। ইমরুল কায়েস-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যর্থতার দিনে মোহামেডানের জয়ের নায়ক অঙ্কন। পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে খেলেছেন অপরাজিত ৭০ রানের ইনিংস। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়ে জয়ে অবদান রেখেছেন ৬০ রান করা প্রান্তিক নওরোজ নাবিল। পারটেক্সকে ৪ উইকেটে হারিয়ে চার ম্যাচের তিনটিতে জয় পেল মোহামেডান।

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ৪ নম্বর মাঠে সহজ লক্ষ্য তাড়ায় সাবধানী শুরু করেছিলেন ইমরুল ও রনি তালুকদার। তবে তাদের দুজনের জুটি বড় হতে দেননি মোহর শেখ। ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই উইকেট তুলে নিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার। মোহরের লেগ সাইডের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে চেয়েছিলেন ইমরুল। তবে ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক হয়নি তার।

এজ হয়ে বল উইকেটকিপারের গ্লাভসে যেতেই ড্রেসিং রুমের দিকে হাঁটতে শুরু করেন ইমরুল। বাঁহাতি এই ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ৯ রান। আরেক ওপেনার রনিও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে বিদায় নিয়েছেন রনি। তোফায়েলের বলে মিড অফে ঠেলে দিয়ে এক রান নিতে চেয়েছিলেন মোহোমেডানের ওপেনার। তবে নন স্ট্রাইক প্রান্তে পৌঁছার আগেই সরাসরি থ্রোতে রান আউট হয়েছেন।

রনিকে এদিন ফিরতে হয়েছে ১৬ রানে। এরপর মোহামেডানের হাল ধরেন অঙ্কন ও নাবিল। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ১০৬ রান। রাকিবুল আতিকের বলে চার মেরে ডিপিএলের এবারের মৌসুমে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন নাবিল। বাঁহাতি এই ব্যাটার যদিও পঞ্চাশ ছোঁয়ার কিছুক্ষণ পরই ফিরেছেন। আজিম আহমেদের বলে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরের পথে হেঁটেছেন ৬০ রান করা এই ব্যাটার।

এদিকে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন রিয়াদ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাদা বলের ক্রিকেট সিরিজ শেষ করে মোহামেডানের হয়ে খেলতে নেমেই আউট হয়েছেন মাত্র ২ রানে। আরিফুল ইসলাম ও আরিফুল হকও বিদায় নিয়েছেন দ্রুতই। তবে এক পাশ আগলে রেখে মোহামেডানকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন অঙ্কন। ৭২ বলে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া অঙ্কন অপরাজিত ছিলেন ৭০ রানে। অঙ্কনের ব্যাটেই শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে দলটি।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে পারটেক্স। গত ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হয়েছেন দলটির ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার। এদিন দলটির হাল ধরেন ব্যাটিং পজিশন পরিবর্তন করে তিনে নামা অধিনায়ক মিজানুর রহমান। আরেক ওপেনার আজমিরকে নিয়ে রান তুলতে থাকেন তিনি।

এই জুটি বেশিক্ষণ টিকতে দেননি কামরুল ইসলাম রাব্বি। ২৪ রান করা আজমিরকে ফেরান ডানহাতি এই পেসার। উইকেটে আসা আহারার আমিন ফেরেন শূন্য রানেই। তবে গত ম্যাচে ছয়ে খেলা তানবীর হায়দার এই ম্যাচে পাঁচে নেমে অধিনায়ককে দারুণ সঙ্গ দেন। এ সময় ৬৪ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মিজানুর। তবে ৫১ রানেই থামতে হয় তাকে। আরিফুল ইসলামের বলে স্ট্যাম্পিং হন এই ব্যাটার।

এরপর তানভির থামেন ৪১ রানে। সবশেষ জিহাদুজ্জামান খান ১৮, মুক্তার আলীর ১৬ রানের ইনিংসে ভর করেই ১৮৭ রানের পুঁজি পায় দলটি। মোহামেডানের হয়ে আবু হায়দার পেয়েছেন তিনটি উইকেট। রাব্বি ও আরিফুল হক নিয়েছেন দুটি করে। এছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন আরিফুল ইসলাম, আসিফ হাসান ও নাসুম আহমেদ।