‘টেস্টে উন্নতি করতে আসিনি, জিততে এসেছি’
ছবি: বিসিবি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
মিরপুরের স্পিনবান্ধব উইকেট নিয়ে সমালোচনাটা বেশ পুরনো। ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি ম্যাচে স্পিনবান্ধব উইকেট বানিয়ে প্রায়শই সমালোচনার মুখে পড়তে হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে। পেস কন্ডিশনে খেলে অভ্যস্ত কিংবা স্পিন ভালো খেলতে পারে না এমন প্রতিপক্ষকে নাচাতে মিরপুরই বাংলাদেশের শেষ ভরসা। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াকে টেস্টে হারানোর মঞ্চও তো এটিই। ২০২১ বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াকে ডেকে এনে মিরপুরে নাকানিচুবানি খাইয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ।
রেকর্ড পক্ষে কথা বললেও সেই জয় যে বাংলাদেশের কাজে আসেনি সেই বিশ্বকাপের ফলই তার প্রমাণ। ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টির মতো টেস্টেও বাংলাদেশের ভরসা মিরপুরের স্পিন-স্বর্গ। সাময়িক সাফল্যের আশায় দীর্ঘমেয়াদে দেশের ক্রিকেটের ক্ষতি হচ্ছে, এমন কথা শোনা যায় প্রায়শই। তবে সেটা খুব একটা কানে নেয়নি বিসিবি। নিউজিল্যান্ডকে হারাতে ব্যাটারদের জন্য মৃত্যুকূপ তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত কাজে আসেনি সেই পরিকল্পনা।

বরং নিজেদের মাটিতে নিজেদের পছন্দসই উইকেট বানিয়েও কিউইদের কাছে হারতে হয়েছে ঢাকা টেস্ট। সাকিব আল হাসান একবার বলেছিলেন, মিরপুরের উইকেটে কোনো ব্যাটার ১০-১৫ ম্যাচ খেললে তার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে। বাংলাদেশের অধিনায়ক অবশ্য রঙিন পোশাকের ক্রিকেট নিয়ে বলেছিলেন। তার কথা একটা জিনিস অবশ্য স্পষ্ট, মিরপুরে ব্যাটারদের জন্য সুবিধা নেই। তবে টেস্ট জিততে স্পিন-স্বর্গের পক্ষেই ভোট দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
সেই সঙ্গে তিনি জানান, আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে উন্নতি নয় জেতার জন্য আসেন। নিজেদের কৌশল ভুল ছিল না জানিয়ে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক বলেন, ‘না, আমার কাছে মনে হয় না। আমরা যখন আন্তর্জাতিক ফরম্যাট খেলি, বিশেষত টেস্ট, এখানে তো আমরা উন্নতি করতে আসিনি। জিততে এসেছি। এখানে জেতার জন্য কেমন প্রস্তুতি নেওয়া উচিত, এটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে এ ধরনের সুবিধা অবশ্যই নেওয়া উচিত।’
উন্নতি করার জন্য জন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চ নয় বরং ঘরোয়া ক্রিকেটকে বেছে নিতে বলছেন শান্ত। বাংলাদেশের ঘরোয়াতে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) পাশাপাশি বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগেও (বিসিএল) লাল বলের খেলা হয়। টেস্টে উন্নতি করতে এবং নিজেদের প্রস্তুত করতে এনসিএলে এই ধরনের উইকেট বানিয়ে ২-৩টি ম্যাচ খেলার পরামর্শ দিয়েছেন শান্ত। আর দেশের বাইরের জন্য উন্নতি করতে ২-৩ টা পেস বান্ধব উইকেট বানাতে বলছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, ‘প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ভালো উইকেটে বা এ রকম কন্ডিশন বানিয়ে অনুশীলন করতে পারি। এনসিএলে এ ধরনের উইকেটে ২-৩টা ম্যাচ খেললাম। আবার দেশের বাইরে খেলার জন্য (ফাস্ট ও বাউন্সি) ২-৩টা উইকেট বানালাম। আমার মনে হয় এটা (টেস্ট) প্র্যাকটিসের জায়গা না বা উন্নতির কিছু নেই। এনসিএল, বিসিএলে আমরা এ ধরনের ভালো উইকেট বা স্পিনিং উইকেটে প্র্যাকটিস করে টেস্টে আসব। এখানে জেতার জন্যই আসি।’