বিসিবির চেষ্টায় বিশেষ বিমানে রাতেই দুবাই যাচ্ছেন রিশাদ-নাহিদ

ছবি: নাহিদ রানা (বামে) ও রিশাদ হোসেন (ডানে)

কাশ্মীরের পেহেলগামের হামলাকে কেন্দ্র করে সবশেষ কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। এমন অবস্থায় রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের পাশে ড্রোন হামলা হওয়ায় স্থগিত করা হয় পেশাওয়ার জালমি ও করাচি কিংসের ম্যাচ। তখন থেকেই গুঞ্জন ছিল, নিরাপত্তার স্বার্থে পাকিস্তান থেকে সরিয়ে নেয়া হতে পারে পিএসএল। যদিও পিসিবি চেয়েছিল করাচিতে টুর্নামেন্ট শেষ করতে। তবে পিসিবির এমন প্রস্তাবে সায় দেননি পিএসএল খেলতে আসা বিদেশি ক্রিকেটাররা।
কাল দেশে ফিরছেন রিশাদ-নাহিদ
২ ঘন্টা আগে
তাদের চাওয়াতেই শেষ পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেয়া হয়েছে টুর্নামেন্টটি। প্রথমবারের মতো পিএসএল খেলতে গিয়েছেন বাংলাদেশের রিশাদ ও নাহিদ। লাহোর কালান্দার্সের হয়ে বল হাতে রিশাদ আলো ছড়ালেও পেশাওয়ারের জার্সিতে নাহিদের সুযোগ মেলেনি এখনো। ভারত ও পাকিস্তানের সংঘাতময় পরিস্থিতিতে তাদের দুজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পিসিবির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফিস।
এ ছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগে পিএসএলের প্রধান নির্বাহী সালমান নাসিরের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক। এ ছাড়া পিসিবি সভাপতি মহসিন নাকভিকেও মেসেজ পাঠিয়েছেন তিনি। এমনকি ইসলামাবাদে বাংলাদেশের হাইকমিশনের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ করেছে বিসিবি। শেষ পর্যন্ত বিসিবির সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় আজ রাতেই (৯ মে) বিশেষ বিমানে করে দুবাই যাচ্ছেন রিশাদ ও নাহিদ। তাদের দুজনের নিরাপত্তা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিসিবি।

নাহিদ-বাবরদের পিএসএল ম্যাচ স্থগিত
৮ মে ২৫
এক ভিডিও বার্তায় ফারুক বলেন, ‘সাম্প্রতিকালে গত মঙ্গলবার থেকে দুই দেশের মধ্যে যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে এটা আমাদের উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। আপনারা জানেন আমাদের দুজন জাতীয় দলের খেলোয়াড় পাকিস্তানে একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট খেলছে। সেই টুর্নামেন্ট থেকে যখন আমরা প্রথম খবর পেয়েছি তখন ক্রিকেট বোর্ড, ক্রিকেট অপারেশন্স থেকে শাহরিয়ার নাফিস সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করেছে। আমি আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে পিএসএলের সিইও—এর সাথে যোগাযোগ করেছি, ফোনে কথা বলেছি।’
‘আমি পিসিবির সভাপতিকেও মেসেজ পাঠিয়েছি। নিয়মিত তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগের মধ্যে ছিলাম। আপনারা জানেন সবাইকে একসময় একসঙ্গে করা হয়েছিল, এখানে শুধু আমাদের দেশের ক্রিকেটারই ছিলেন না অনেক বিদেশি ক্রিকেটার ছিল। সম্মিলিত প্রচেষ্টা করছিলেন কিভাবে এটার সমাধান বের করা যায়। সিদ্ধান্ত হয়েছে তারা আজকে চেষ্টা করবে যাতে এখান থেকে নিরাপদ কোনো জায়গায় সরিয়ে নেয়া যায়। পাশাপাশি বোর্ড থেকে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।’
রিশাদ ও নাহিদের পাশাপাশি পাকিস্তানে আছেন বাংলাদেশের দুই ক্রীড়া সাংবাদিক। ক্রিকফ্রেঞ্জির প্রতিনিধি হিসেবে তাসফিক শাহরিয়ার পলক ও বিডিক্রিকটাইমের মাহরুশ প্রত্যয় গিয়েছিলেন পিএসএল কাভার করতে। এমন পরিস্থিতি ক্রিকেটারের পাশাপাশি দুই সাংবাদিকের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করেছে বিসিবি। এমনকি পিসিবিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাদেরও যেন নিরাপত্তা দেয়া হয়। রিশাদ ও নাহিদের সঙ্গে তারা দুজনও দুবাইয়ে যাচ্ছেন একই বিমানে।
ফারুক বলেন, ‘আপনারা জানেন আমাদের দুজন ক্রীড়া সাংবাদিক আছেন। আমরা দুজনের সঙ্গেই কথা বলেছি এবং আমি উনাদের দুজনের নামই ক্রিকেট বোর্ড থেকে বলেছি। যখনই তারা একসাথে যাবেন তাদের দুজনের নাম দুটো যেন উল্লেখ করা হয়। তারা পেশাদার দায়িত্ব পালনে গেছেন এবং ক্রিকেট বোর্ড মনে করেন আমাদের এখানেও একটা দায়িত্ব আছে। আমরা চেষ্টা করছি তাদেরও যেন একসাথে বের করে নিরাপদ কোনো জায়গায় খেলোয়াড়রা যখন যাবে তখন যেন যেতে পারে।’