বিশ্বকাপ

বাসায় সোফায় বসে বিশ্বকাপ দেখার চেয়ে এটা ভালো: হেড

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 00:25 সোমবার, 20 নভেম্বর, 2023

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ট্রাভিস হেড যে বড় মঞ্চের পারফর্মার সেটা আগেই তিনি প্রমাণ করেছেন। ২০২১ সালের অ্যাশেজে নিজের প্রথম ম্যাচেই ১৫২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন তিনি। এরপর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ১৭৪ বলে বলে ১৬৩ রানের ইনিংস খেলে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন তিনি।

এই ধারা বিশ্বকাপেও বজায় রেখেছেন এই মারকুটে ব্যাটার। বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ইনিংসে তার ব্যাট থেকে আসে ৬৭ বলে ১০৯। ম্যাচটিতে অজিদের প্রতিপক্ষ ছিল নিউজিল্যান্ড। এরপর সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমি ফাইনালে হেড খেলেন ৪৮ বলে ৬২ রানের আরেকটি ইনিংস।

এর আগে দুটি উইকেটও নেন তিনি। ফাইনালে তো নিজের ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংসটি খেলছেন হেড। ১২০ বলে ১৩৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে অস্ট্রেলিয়া নিজেদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে। এই ইনিংস তাকে বিশ্ব ক্রিকেটে অমরত্বও দিতে পারে।

ভাঙা হাতের কারণে বিশ্বকাপেই তার খেলা নিয়ে ছিল সংশয়। অবশ্য তার ওপর ভরসা রেখেই তাকে নিয়ে বিশ্বকাপ দল সাজায় অস্ট্রেলিয়া। তবে শুরুর দিকের বেশ কয়েকটি ম্যাচে খেলতে পারেননি হেড। ফিরে অবশ্য দারুণ পারফর্ম করে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক হয়েছেন তিনি।

বিশ্বকাপ ফাইনালের সেরা হয়ে হেড বলেছেন, ‘অসাধারণ দিন। এর অংশ হতে পেরে গর্বিত। ঘরে সোফায় বসে বিশ্বকাপ দেখার চেয়ে এটা (খেলা) অনেক ভালো। আমি শুরুতে একটু নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু মার্নাস সব চাপ শুষে নিয়ে অসাধারণ খেলেছে।’

অস্ট্রেলিয়া ৪৭ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বেশ বিপদেই পড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকেই চতুর্থ উইকেটে মার্নাস ল্যাবুশেনকে নিয়ে ১৯২ রানের জুটিতে অস্ট্রেলিয়াকে পথ দেখিয়েছেন হেড। তবে এক্ষেত্রে টস জিতে আগে বোলিং নেয়ার সিদ্ধান্তের কারণে অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের ভূমিকারও প্রশংসা করেছেন তিনি।

হেড বলেন, ‘আগে বোলিং করার সিদ্ধান্তটা দারুণ ছিল। ম্যাচ এগিয়ে চলার সঙ্গে উইকেটও (ব্যাট করার জন্য) সুবিধাজনক হয়ে উঠেছে। সেখানে ভূমিকা রাখতে পেরে ভালো লাগছে। এমন কিছুর জন্যই কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং টইটম্বুর গ্যালারির সামনে পারফর্ম করেও ভালো লাগছে।’

বিশ্বকাপ ফাইনালে সেঞ্চুরির রেকর্ড খুব বেশি ক্রিকেটারের নেই। এই তালিকায় নাম আছে রিকি পন্টিং, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ও অরবিন্দ ডি সিলভার। এবার সেই তালিকাতেই নিজের নাম তুলেছেন হেড। তাদের পাশে নিজেকে দেখে হেড বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই এই তালিকায় আমি তৃতীয় (অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে)। অবদান রাখতে পেরে ভালো লাগছে।’