বিশ্বকাপ

এক যুগ পর বিশ্বকাপের রোমাঞ্চ পাবে নেদারল্যান্ডস

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 17:19 বুধবার, 04 অক্টোবর, 2023

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে অংশ নেয় মোট ১৩টি দল। সেখান থেকে এবারের বিশ্বকাপের আয়োজক ভারতসহ সেরা আটটি দল সরাসরি কোয়ালিফাই করে মূল পর্বে। তবে সেরা আটে জায়গা না হলেও বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব টপকে ঠিকই নিজেদের অস্তিত্বের জানান দেয় নেদারল্যান্ডস। খাদের কিনারা থেকে ঘুরে স্বপ্ন আরও বড় করার মিশনে নেমেছে দলটি। বিশ্বকাপে অবশ্য এবারই প্রথমবারের মতো খেলছে না নেদারল্যান্ডস। ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলে দলটি। তারপর ২০০৩, ২০০৭ এবং ২০১১ সালের বিশ্বকাপেও দেখা গেছে দলটিকে। তারপর অবশ্য এক যুগের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলতে পারেনি দলটি।

মাসখানেক আগে হওয়া বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের বেশ কয়েকজন শীর্ষ সারির ক্রিকেটারকে পায়নি নেদারল্যান্ডস। ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকায় সেখানেই ব্যস্ত সময় পার করেন তারা। তারকাদের ছাড়াও বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ফাইনাল খেলে দলটি।

সুপার সিক্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং জিম্বাবুয়ের মতো দলকে ছিটকে দিয়ে মূল পর্বে জায়গা নিশ্চিত করে ডাচরা। তবে বিশ্বকাপের মূল পর্বে ঠিকই পূর্ণ শক্তির দলই পাচ্ছে নেদারল্যান্ডস।

ডাচদের হয়ে ইনিংসের সূচনা করবেন ম্যাক্স ও'ডাউড। তার সঙ্গী হিসেবে নতুন বল মোকাবেলা করবেন বিক্রমজিত সিং। তিন নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ পজিশনে খেলবেন স্কট এডওয়ার্ডস। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার দলটার ব্যাটিং লাইনআপে বড় তারকা। একই সঙ্গে নেতৃত্বভারও তার কাঁধে থাকছে। দলটির মিডল অর্ডারে আস্থা যোগাবেন কলিন অ্যাকারম্যান।

দলটির পেস বিভাগের নেতৃত্বে থাকবেন পল ভ্যান মিকেরেন। এই ডানহাতি পেসার সঙ্গী হিসেবে পাচ্ছেন লোগান ভ্যান বিক, রায়ান ক্লেইন ও ডি লিডকে। স্পিন বিভাগে আছেন আরিয়ান দত্ত ও সিরাজ আহমেদের মতো তরুণরা।

শক্তির দিক-

নেদারল্যান্ডসের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা দলটিতে থাকা অলরাউন্ডাররা। ১৫ জনের স্কোয়াডে ৬ জনই স্বীকৃত অলরাউন্ডার। কলিন অ্যাকারম্যান, বাস ডি লিডর একদম জেনুইন অলরাউন্ডার। বিশ্বজুড়ে নানান জায়গায় খেলার অভিজ্ঞতা আছে এই দুজনের। এই দুজনের অভিজ্ঞতার ঝুলির দিকে তাকিয়ে থাকবে দল।

এ ছাড়াও ডাচদের অলরাউন্ড তালিকায় বাকি চার নাম- সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট, তেজা নিদামানুরু, রলফ ভ্যান ডার মারওয়ে এবং সাকিব জুলফিকার।

দুর্বলতা-

দলটির মূল দুর্বলতা অভিজ্ঞতার অভাব। বড় মঞ্চে ব্যাটিং- বোলিং মিলিয়ে অন্যান্য দলগুলোর তুলনায় সেভাবে এগিয়ে নেই তারা। তবে নিজেদের দিনে যেকোনো ম্যাচ জিতে প্রতিপক্ষকে চমকে দেয়ার ক্ষমতা রাখে তারা।

যাদের দিকে নজর থাকবে-

বাস ডি লিড- দলের সবচাইতে প্রতিশ্রুতিশীল অলরাউন্ডার ডি লিড। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ব্যাটে-বলে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়েছিলেন তিনি। বুলাওয়েতে ৪৪ ওভারের মধ্যে স্কটল্যান্ডের ২৭৭ রান তাড়া করে দল জেতান তিনি। সেই ইনিংসে মাত্র ৯২ বলে ১২৩ রানের কাব্যিক এক ইনিংস হেলেন তিনি। একইসঙ্গে বল হাতে নেন পাঁচ উইকেট। বিশ্বকাপেও দলটির তুরুপের তাস ডি লিড।

নেদারল্যান্ডস স্কোয়াড: স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক), বিক্রমজিত সিং, কলিন অ্যাকারম্যান, শারিজ আহমেদ, ওয়েসলি বারেসি, লোগান ভ্যান বিক, আরিয়ান দত্ত, সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট, রায়ান ক্লেইন, বাস ডি লিড, পল ভ্যান মিকেরেন, রোলফ ভ্যান ডার মারওয়ে, তেজা নিদামানুরু, ম্যাক্স ও'ডাউড ও সাকিব জুলফিকার।