এশিয়া কাপ

ভারত-পাকিস্তানের দ্বৈরথে চোখ রাঙানি দিচ্ছে বৃষ্টি

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 16:56 বৃহস্পতিবার, 07 সেপ্টেম্বর, 2023

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

কয়েক দফায় বৃষ্টির পরও নিজেদের ব্যাটিং শেষ করতে পেরেছিল ভারত। তবে গ্রুপ পর্বের নিজেদের প্রথম দেখায় ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিংই করার সুযোগ মেলেনি পাকিস্তানের। বৃষ্টি বাগড়া দেয়ায় শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছে। সুপার ফোরেও ভারত-পাকিস্তানের দ্বৈরথে চোখ রাঙানি দিচ্ছে বেরসিক বৃষ্টি।

পাকিস্তান আয়োজক হলেও এশিয়া কাপের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে শ্রীলঙ্কাতেও। লাহোরে তীব্র গরম থাকলেও লঙ্কা দ্বীপে চিত্রটা একেবারে ভিন্ন। এখন পর্যন্ত হওয়া তিনটিই ম্যাচেই বাগড়া দিয়েছেন বৃষ্টি। ক্যান্ডিতে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচে বৃষ্টি হলেও পুরো ম্যাচই অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃষ্টি সবচেয়ে বড় বাঁধা হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের ম্যাচে। প্রথম ইনিংস বৃষ্টি এলেও ভারত পুরোটা সময় ব্যাটিং করতে পেরেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর আগে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিংয়ে নামতে পারেনি বাবর আজমের দল। বৃষ্টি বিপত্তি ঘটিয়েছে ভারত ও নেপালের ম্যাচেও।

যেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাচ নামিয়ে আনা হয়েছিল ২৩ ওভারে। এদিকে সুপার ফোরের বেশিরভাগ ম্যাচই হবে শ্রীলঙ্কাতে। কলম্বোতে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় ম্যাচগুলো হাম্বানটোটায় সরিয়ে নেয়ার কথা উঠেছিল। এমন সিদ্ধান্ত চূড়ান্তও করেছিল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। তবে একটু পরই এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে এসিসি।

নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় সুপার ফোরের ম্যাচগুলো কলম্বোতেই অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে। যেখানে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের মাঠে নামবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। কিন্ত কলম্বোর আবহাওয়া রিপোর্ট বলছে সেদিন সকাল থেকেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পরিষ্কার আকাশের নেই কোনও ইঙ্গিত।

প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে যদিও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বেশ ভালো। তবে সারাদিন ভারী এবং অবিরাম বৃষ্টিপাত হলে পণ্ড হতে পারে ম্যাচটি। ফলে সমর্থকদের হতাশ হওয়া ছাড়া কিছুই করার থাকবে না। এদিকে কলম্বোর আবহাওয়ার রিপোর্ট বলছে রাতের দিকে আরও বাড়তে পারে বৃষ্টির পরিমাণ।

শুধু এই ম্যাচেই নয় আগের দিন ৯ সেপ্টেম্বর হতে যাওয়া বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা ম্যাচেও বৃষ্টির সম্ভাবনা ৭৫-৮৫ শতাংশ। রাতের দিকে ক্রমশই বাড়তে পারে বৃষ্টি। এদিকে কলম্বোয় গত কয়েক দিনে এতটাই ভারি বর্ষণ হয়েছে যে শহরের উত্তর অংশে রীতিমতো বন্যা হয়েছে। এখানে ফাইনালসহ মোট ৬টি ম্যাচ হবে। ফলে মাঠের খেলায় বেশ ভালোভাবেই ঝামেলা পাকাবে বৃষ্টি।