অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট
ইনজুরি কাটিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে চান হ্যাজেলউড
|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
দীর্ঘ সময় ধরে বয়ে আনা ইনজুরির কারণে আইপিএলের প্রথম ভাগে খেলেননি জস হ্যাজেলউড। মাঝে তিনটি ম্যাচ খেলার পর ইনজুরিতে পড়ে আবারও দেশে ফিরে যান অস্ট্রেলিয়ার এই পেসার। যদিও ৭ জুন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ন ফাইনালের আগেই ইনজুরি কাটিয়ে ওঠার আশায় তিনি।
১৬ জুন শুরু হবে অ্যাশেজ সিরিজ। এই সিরিজের আগে অবশ্য পুরোপুরিই ফিট হবেন হ্যাজেলউড। যদিও ভারতের বিপক্ষে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে তার খেলা নিয়ে কিছুটা শঙ্কা থাকছে।
ইনজুরির কারণে আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর প্রথম আট ম্যাচে খেলেননি হ্যাজেলউড। এরপর তিন ম্যাচ খেলে তিনটি উইকেট নিয়ে আবারও ইনজুরিতে পড়েন তিনি। যদিও দেশে ফিরে সেই ইনজুরি কাটিয়ে এখন আবার বোলিং শুরু করেছেন এই পেসার।
নিজের ফিটনেস নিয়েও আশাবাদী হ্যাজেলউড, 'আমার ফিটনেস বেশ ভালো। শেষ পর্যন্ত আরও কয়েকটি বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে। টি-টোয়েন্টিতে একটি ওভারে আপনাকে অনেক ধরনের বল করতে হয়। কখনো ওয়াইড ইয়র্কার, কখনো বাউন্সার, কখনো স্লোয়ার- আর তাই ইনজুরির প্রবণতাও থাকে।'
'ইনজুরি দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিক হতে যাচ্ছে। সামনের এক সপ্তাহ সময় আছে। আইপিএলে আমি শতভাগ ফিট হয়ে খেলতে পারিনি। তবে শেষদিকে আমি ছন্দে ছিলাম এবং ভালো বোলিং করেছি।'
লম্বা সময় ধরে বাম পায়ে অ্যাকিলিসের চোটে ভুগছেন হ্যাজেলউড। সেই চোট নিয়েই বেশ কয়েক মাস আগে ভারতে পা রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারতের বিপক্ষে বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে একটি ম্যাচও খেলতে পারেননি তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার টিম ম্যানেজমেন্ট অবশ্য সিরিজের শুরু থেকেই তাকে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ছিল। কিন্তু তার চোটের অগ্রগতি না হওয়ায় দুই ম্যাচ পরই দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয় তাকে। এরপর ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও খেলতে পারেননি হ্যাজেলউড।
একই ইনজুরির কারণে গত দুই বছর ধরেই টেস্টে বেশ অনিয়মিত হ্যাজেলউড। এই সময়ের মধ্যে তিনি খেলেছেন কেবল চারটি টেস্ট। গত নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে আঙুলে চোট পান। এরপর তিনি সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টেস্টেও দর্শক হয়ে ছিলেন।
আইপিএলের এই আসরে সেভাবে না খেলতে পারলেও গত আসরে বেঙ্গালুরু দলের অন্যতম ভরসা ছিলেন হ্যাজেলউড। ২০২২ সালের আইপিএল নিলামে ৭.৭৫ কোটি রুপিতে বেঙ্গালুরুতে আসা এই ক্রিকেটার সেই মৌসুমে ১২ ম্যাচ খেলে নেন ২০টি উইকেট।