বাংলাদেশ ক্রিকেট

নতুন আম্পায়ারের খোঁজে বিসিবি, ঢাকায় আসছেন আম্পায়ারদের কোচ

আবিদ মোহাম্মদ

আবিদ মোহাম্মদ
প্রকাশের তারিখ: 17:51 বুধবার, 10 মে, 2023

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||

আম্পায়ারিং নিয়ে দেশের ক্রিকেটে বিতর্কের শেষ নেই। বিশেষ করে ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলোতে এই ইস্যুতে অভিযোগ ওঠা নিয়মিত চিত্র। চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও (ডিপিএল) আম্পায়ারিং নিয়ে হয়েছে একাধিক বিতর্ক। তবে এবার এই ইস্যু সমাধানের পথে নেমেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

বিসিবির পরিচালক ও আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতিখার আহমেদ মিঠু ক্রিকফ্রেঞ্জিকে নিশ্চিত করেছেন, শীঘ্রই আম্পায়ারিং বিতর্কের সমাধানে মাঠে নামছে বোর্ড। এমনকি নতুন আম্পায়ার খুঁজে পেতে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করতে যাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) আম্পায়ার পিটার ম্যানুয়েলের অধীনে আম্পায়ারদের দেয়া হবে প্রশিক্ষণ।

আফগানিস্তান সিরিজ চলাকালীন বাংলাদেশে আসবেন পিটার ম্যানুয়েল। শ্রীলঙ্কান এই আম্পায়ার আইসিসির আম্পায়ারের কোচিং প্যানেলের সদস্য। ৭৩ বছর বয়সী এই লঙ্কানের ৪৫টি ওয়ানডে ও ১১টি টেস্টে আম্পায়ারিং করার কীর্তি রয়েছে।

নতুন আম্পায়ার খুঁজে পেতে সপ্তাহখানেকের মধ্যে নিজেদের ওয়েবসাইটে নিয়োগপত্র দেবে বিসিবি। এখান থেকে ২০-৩০ জনকে বাছাই করে এনামুল হক মনি ও অভি আব্দুল্লাহ আল নোমানদের দ্বারা প্রশিক্ষণ করাবে বোর্ড। পরবর্তী ধাপে পিটারের অধীনে তাদের প্রশিক্ষণ করাবে বিসিবি।

ইফতিখার আহমেদ আরও বলেন, 'আমাদের পরিকল্পনা নতুন কয়েকজন আম্পায়ার যুক্ত করা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ওয়েবসাইটে এটা দেখতে পারবেন। আমরা নিয়োগপত্র দেব। নতুন ক্রিকেটারদের প্রাধান্য দিচ্ছি, বিশেষ করে তরুণদের প্রাধান্য দেব।'

'তাদের জন্য এটা আমরা নতুন কোর্সের ব্যবস্থা করেছি, আবেদনকারীদের থেকে বেছে নেয়া হবে, প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এরপর আস্তে আস্তে পদোন্নতি হবে। এটা একটা ওপেন সার্কুলার, যে কেউই আবেদন করতে পারবে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে এটা দিয়ে দেয়া হবে।', যোগ করেন তিনি।

আফগানিস্তান সিরিজ চলাকালীন পিটার ম্যানুয়েলের আসা প্রসঙ্গে ইফতিখার আহমেদ বলেন, 'সামনে আফগানিস্তান সিরিজ আছে, সে সময় আইসিসি থেকে একজন আম্পায়ার আসবেন (পিটার ম্যানুয়েল)। সে সময়ে এই ২০-৩০ জনকে দিয়ে পিটারের অধীনে ক্লাস করাব। আমরা চাইছি পরবর্তী ৩-৪ মাসে কিভাবে পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটানো যায় তা খুঁজে বের করতে।'

'উন্নতির অনেক জায়গা তো থাকেই, এই যেমন ফিটনেস। এরপর ম্যাচ রেফারিদের লেখার দক্ষতা। আমাদের ভালো ম্যাচ রেফারি পেতে হলে রিপোর্ট লেখার দক্ষ্যতা বাড়াতে হবে। দরকার হলে শিক্ষক এনে এই বিষয়ে ট্রেনিং দেয়াতে চাই। শুধু তো মাঠে না, মাঠের বাইরেও দক্ষতার ব্যাপার আছে', যোগ করেন তিনি।

বড় মঞ্চে বাংলাদেশি আম্পায়ারদের দেখাই যায় না, মুকুল-সোহেলরা যেন সে আক্ষেপ কিছুটা হলেও দূর করেছেন। শরফুদ্দৌলা সৈকত আগেই নিউজিল্যান্ডে মেয়েদের বিশ্বকাপে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশে আরও ভালো মানের আম্পায়ার খুঁজে বের করতে চালু হচ্ছে আম্পায়ারিং কোর্স।

ইতোমধ্যে হয়েছে রিফ্রেশার্স কোর্স। জেলা পর্যায়ে এসব কোর্স শুরু হচ্ছে গেল বছর। ইফতিখার আহমেদের ভাষ্যমতে, 'এখন যদি নতুনদের না আনি, বর্তমানে যারা আছে তারা চলে গেলে কী হবে? পরিস্থিতি উন্নয়নে নতুনদের আনতেই হবে। আমরা অন্তত ২০ থেকে ৩০ জন নতুন আম্পায়ার নিতে চাই, ছেলে-মেয়ে মিলিয়ে।'

'আমরা চেষ্টা করব সবাইকে ২-৩ টা সেশন দিতে। কিভাবে সিনিয়রা আরও উন্নতি করতে পারে বা যারা আসবে তাদের উন্নতি করা যায়। আমাদের পরবর্তী ধাপে যাওয়ার মত আম্পায়ার আছে ২-৩ জন। কিন্তু অন্তত ১০ জন থাকা উচিত। হয়ত আইসিসিতে যাবে না কিন্তু এলিট আম্পায়ারের সমান দক্ষতা যেন তাকে তা নিশ্চিত করতে চাইছি', যোগ করেন তিনি।