promotional_ad

সুপার ওভারের নাটকীয় ম্যাচে লঙ্কানদের জেতালেন আসালঙ্কা

সংগৃহীত
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে সুপার ওভারে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রথমে চারিথ আসালঙ্কা ও কুশল পেরেরার হাফ সেঞ্চুরি দুইশ ছুঁই ছুঁই রান করে সফরকারীরা। যদিও ড্যারিল মিচেলের হাফ সেঞ্চুরি এবং লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটারদের দাপটে সেই লক্ষ্য ছুঁতে না পারলেও ম্যাচ 'টাই' করে কিউইরা। পরে সুপার ওভারে আসালঙ্কার ব্যাটে বিজয়ের হাসি হেসে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।


অকল্যান্ডে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৯৬ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। শুরুটা একটুও ভালো ছিল না সফরকারীদের। ম্যাচের প্রথম বলেই উইকেটরক্ষক টম লাথামকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান পাথুম নিশাঙ্কা। উইকেটটি নেন অ্যাডাম মিলনে।


তারপর দ্রুত সময়ের মধ্যে ৪৭ রানের জুটি গড়েন কুশল মেন্ডিস এবং কুশল পেরেরা। ১৮ বলে গড়া এই জুটিতে মেন্ডিসের অবদান ৯ বলে ২৫ রান। হেনরি শিপলির করা শর্ট বলে ফাইন লেগে রাচিন রবীন্দ্রের হাতে ধরা পড়েন মেন্ডিস।


এরপর চটজলদি ফিরে যান ১০ বলে ১৫ রান তোলা ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। তিনি ফিরে যাওয়ার পর ম্যাচের প্রেক্ষাপট বদলে দেন পেরেরা এবং চারিথ আসালঙ্কা। দুজনে জুটি গড়েন ১০৩ রানের।


promotional_ad

এই জুটি ভাঙেন বেঞ্জামিন লিস্টার। তার করা স্লোয়ার বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ারে ক্যাচ তুলে দেন আসালঙ্কা। টিম সেফার্ট ক্যাচটি লুফে নেয়ার আগে তিনি করেন ৪১ বলে দুটি চার ও ছয়টি ছক্কায় ৬৭ রান।


তারপর দাসুন শানাকা (১) পরিস্থিতির দাবি না মিটিয়ে ফিরলেও পেরেরার সঙ্গে দলকে বড় রানের সংগ্রহ এনে দেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ১১ বলে ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। আর ৪৫ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন পেরেরা।


লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৩ রান তুলতেই দুই উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। প্রথম ওভারে সেফার্টকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন মহেশ থিকশানা। আর দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে চাদ বাওয়েসকে বোল্ড করেন দিলশান মাদুশঙ্কা।


দলটির হয়ে সাময়িক বিপর্যয় সামাল দেন লাথাম এবং ড্যারিল মিচেল। এই দুজনের ৬৩ রানের গড়া জুটিতে লাথামের অবদান ১৬ বলে ২৭ রান। কিউই অধিনায়ককে ফিরিয়েছেন প্রমোদ মাদুশান। তারপর মিচেল এবং মার্ক চ্যাপম্যানের জুটিতে আবারও এগিয়ে যায় কিউইরা।


এই দুজন দলের রানের খাতায় যোগ করেন আরও ৬৬ রান। এই জুটি ভাঙেন হাসারাঙ্গা। ২৩ বলে ৩৩ রান তোলা চ্যাপম্যানকে বিদায় করেন তিনি। এরপরের ওভারেই আরেক সেট ব্যাটার মিচেলকে বিদায় করেন শানাকা।


ফেরার আগে ৪৪ বলে ৬৬ রান তোলেন মিচেল। তারপর নিশামের ১০ বলে ১৯ এবং রবীন্দ্রর ১৩ বলে ২৬ রানের ইনিংসে লক্ষ্য তাড়ায় অটল থাকে কিউইরা। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৩ রান লাগত কিউইদের। যদিও তাদের নিরাশ করেননি ইস সোধি।


শানাকার করা সেই ওভারের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ৪ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থেকে দলকে সুপার ওভারে নিয়ে যান তিনি। যদিও সেখানে ম্যাচ হারে কিউইরা।


ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণের সেই ওভারে কিউইরা নেয় আট উইকেট। লঙ্কানদের হয়ে বোলিং করা থিকশানা নেন দুই উইকেট। মিলনের ওভারে আসালঙ্কার ব্যাটে সেই লক্ষ্য সহজেই টপকে যায় কিউইরা।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball