|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

প্রথম ম্যাচে ইন্ডিয়া মহারাজাসের বিপক্ষে একাদশে থাকলেও বোলিংয়ের সুযোগ পাননি আব্দুর রাজ্জাক। পরের ম্যাচগুলোতে দারুণ বোলিং করে এশিয়া লায়ন্সের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছিলেন এই সাবেক টাইগার স্পিনার। ফাইনালেও দারুণ বোলিং করে এশিয়া লায়ন্সের শিরোপা জয়ে বড় অবদান রেখেছেন তিনি।

সোমবার ওয়ার্ল্ড জায়ান্টসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে লিজেন্ড লিগের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এশিয়া লায়ন্স। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান করেছিল ওয়ার্ল্ড জায়ান্টস। জবাবে খেলতে নেমে ৭ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে এশিয়া লায়ন্স।

এই ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শেন ওয়াটসনের ওয়ার্ল্ড জায়ান্টস। বোলিংয়ে নেমে এশিয়ার অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি প্রথম ওভারেই বল তুলে দেন রাজ্জাকের হাতে। অধিনায়ককে নিরাশ করেননি তিনি। প্রথম ওভারে খরচ করেন মাত্র ৩ রান।

তৃতীয় ওভারে আবারও রাজ্জাককে পাঠান আফ্রিদি। সেই ওভারে এসেই মরনে ফন উইক ও শেন ওয়াটসনের উইকেট তুলে নেন এই টাইগার স্পিনার। সেই ওভারে রাজ্জাক খরচ করেন মাত্র এক রান। এরপর পঞ্চম ওভারে আবারও ডাক পড়েছিল রাজ্জাকের।

সেই ওভারে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে উড়িয়ে দারুণ একটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন ল্যান্ডল সিমন্স। নিজের তৃতীয় ওভারে রাজ্জাক দেন ৮ রান। দলীয় নবম ওভারে নিজের শেষ ওভার করতে এসে রাজ্জাক মাত্র ২ রান দিয়ে শেষ করে। রাজ্জাকের বোলিং পরিসংখ্যান তিনি ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে ২ উইকেট।

এমন পারফম্র্যান্সের পর ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি। রাজ্জাক ভালো বল করলেও এশিয়ার বাকি বোলাররা জ্যাক ক্যালিস ও রস টেলরের তোপের মুখে পড়েছিলেন। ক্যালিসের অপরাজিত ৫৪ বলে ৭৮ ও টেলরের ৩৩ বলে ৩২ রানে ১৪৭ রানের পুঁজি পায় ওয়ার্ল্ড জায়ান্টস।

জবাবে খেলতে নেমে উপুল থারাঙ্গার ২৮ বলে ৫৭ ও তিলকারত্নে দিলশানের ৪২ বলে ৫৮ রানের ইনিংসে ভর করে ১৬.১ ওভারেই জয় তুলে নেয় এশিয়া লায়ন্স। ওয়ার্ল্ড জায়ান্টসের হয়ে একটি করে উইকেট নেন ব্রেট লি, সামিত প্যাটেল ও মন্টি পানেসার।