promotional_ad

শেষ বলে নিউজিল্যান্ডকে জিতিয়ে ভারতকে ফাইনালে নিলেন উইলিয়ামসন

সংগৃহীত
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


ক্রাইস্টচার্চে টেস্টে জিততে শেষদিনে ২৫৭ রানের প্রয়োজন ছিল নিউজিল্যান্ডের। নাটকীয়তায় ভরা শেষদিনে কেন উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরিতে এই লক্ষ্য টপকে গেছে স্বাগতিকরা। ম্যাচের একদম শেষ বলে পাওয়া জয়ে  শ্রীলঙ্কাকে দুই উইকেটে হারিয়েছে দলটি। একইসঙ্গে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড। আর তাতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে গেলো ভারত। ৭ জুনের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলবে দলটি।


আসিথা ফার্নান্দোর করা ম্যাচের শেষ বলটিতে (শর্ট বল) পুল করতে চেয়েছিলেন উইলিয়ামসন। বল ব্যাটে লাগেনি তার। তারপরও ছুটলেন রানের জন্য। কেননা জিততে হলে এই এক বলেই এক রান নিতে হবে! ওদিকে উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকওয়েলা বল হাতে নিয়ে স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্পটি ভাঙতে চাইলেন।


সেটা হলো না। বল কুঁড়িয়ে নিয়ে বোলার আসিথা থ্রো করলেন নন স্ট্রাইক প্রান্তে। এবার সরাসরি থ্রোয়ে ভেঙে গেল স্টাম্প। ম্যাচের আম্পায়ার সিদ্ধান্ত দিতে না পারায় টিভি আম্পায়ারকে দিতে হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষার ভিডিও পর্যালোচনা করে তৃতীয় আম্পায়ার জানালেন, উইলিয়ামসন আউট হননি! আর এই রানেই শেষ বলে জয় নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড।


৭৫ বছর পর এমন ঘটনা দেখল টেস্ট ক্রিকেট। সংস্করণটির ১৪৬ বছরের মর্যাদার ইতিহাসে শেষ বলে টেস্ট জয়ের মাত্র দ্বিতীয় ঘটনা এটি। এর আগে ১৯৪৮ সালের ২০ ডিসেম্বর ডারবানে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ বলে টেস্ট জিতেছিল ইংল্যান্ড।


promotional_ad

১৯৪ বলে ১২১* রানে অপরাজিত ছিলেন উইলিয়ামসন। ১১টি চার ও একটি ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তোলার এ দিনে কেবল ড্যারিল মিচেলই উপযুক্ত সঙ্গ দিতে পেরেছেন উইলিয়ামসনকে।


৮৬ বলে তিনটি চার ও চারটি ছক্কায় ৮১ রান করে আসিথার বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। চতুর্থ উইকেটের জুটিতে মিচেলকে সঙ্গে নিয়েই ১৪২ রান তোলেন উইলিয়ামসন। এ ছাড়া আর কেউই যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি কিউইদের সাবেক টেস্ট অধিনায়ককে।


দিনের শুরুর ভাগে প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়া লাথামের ব্যাটে আসে ৮০ বলে ২৪ রান। প্রবাথ জয়সুরিয়ার বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিনি। চারে নামা হেনরি নিকোলসের উইকেটও নিয়েছেন জয়সুরিয়া। এই কিউই ব্যাটারের ব্যাটে আসে ২০ রান।


শেষদিকে মাইকেল ব্রেসওয়েলের করা ১১ বলে ১০ রানের ইনিংসটিও পরিস্থিতি বিবেচনায় কিছুটা সহযোগিতা করেছে উইলিয়ামসনকে। শ্রীলঙ্কার হয়ে ৬৩ রান খরচায় তিন উইকেট নেন আসিথা। ৯২ রান খরচায় দুই উইকেট নেন জয়সুরিয়া। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি এবং দ্বিতীয় ইনিংসে কার্যকরী হাফ সেঞ্চুরি করে ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই টেস্টের ম্যাচ সেরা হয়েছেন মিচেল।


সংক্ষিপ্ত স্কোর:


শ্রীলঙ্কা (প্রথম ইনিংস)- ৩৫৫/১০ (৯২.৪ ওভার) (মেন্ডিস ৮৭, করুনারত্নে ৫০; সাউদি ৫/৬৪, হেনরি ৪/৮০)।


নিউজিল্যান্ড (প্রথম ইনিংস)- ৩৭৩/১০ (১০৭.৩ ওভার) (মিচেল ১০২, হেনরি ৭২, লাথাম ৬৭; ফার্নান্দো ৪/৮৫, কুমারা ৩/৭৬)।


শ্রীলঙ্কা (দ্বিতীয় ইনিংস)- ৩০২/১০ (১০৫.৩ ওভার) (ম্যাথুস ১১৫, ধনঞ্জয়া ৪৭*; টিকনার ৪/১০০, হেনরি ৩/৭১)।


নিউজিল্যান্ড (দ্বিতীয় ইনিংস)- ২৮৫/৮ (৭০ ওভার) (লক্ষ্য ২৮৫) (উইলিয়ামসন ১২১*, মিচেল ৮১; আসিথা ৩/৬৩)।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball