বরিশালের হেক্সা থামিয়ে সিলেটের 'হেক্সা' পূরণ

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ফিরতি দেখায় প্রতিশোধ নিতে পারল না ফরচুন বরিশাল। আবারও সিলেট স্ট্রাইকার্সের কাছে হেরেছে সাকিব আল হাসানের দল। পরাজয়ে টানা ৫ ম্যাচ পর হারল বরিশাল ও চলতি আসরের ষষ্ঠ জয় তুলে নিয়ে 'হেক্সা' পূরণ করল সিলেট। মঙ্গলবার বরিশালকে মাত্র ২ রানে হারায় মাশরাফির সিলেট।
বড় লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুন করে বরিশাল। সাইফ হাসান ও ইবরাহিম জাদরানের ব্যাটে পাওয়ার প্লে'তে উড়তে থাকে সাকিববাহিনী। তবে পঞ্চম ওভারে তানজিম সাকিবকে উইকেট ছুঁড়ে দেন সাইফ। ১৯ বলে ৩১ করে এই ওপেনার ফেরার খানিক পর এনামুল হক বিজয়ও ফেরেন দ্রুত।
পাওয়ার প্লে'র পরের ওভারে সাকিবের দ্বিতীয় শিকার হয়ে বিজয় ফেরেন ৩ রানে। তবে সঙ্গী হারালেও সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে জুটি বাঁধেন ইবরাহীম। দুজনই রানের চাকা সচল রেখে স্কোরবোর্ডে রান বাড়াতে থাকেন।
তবে দলীয় ১০৭ ও ১০৮ রানে এক ওভারে দুজনকে বিদায় করেন রেজাউর রহমান রাজা। ইবরাহীম ৩৭ বলে ৪২ ও সাকিব ১৮ বলে ২৯ করে ফেরেন। এরপর ক্রিজে নেমে মাশরাফিকে টানা ৩ ছক্কা হাঁকিয়ে রান ও বলের ব্যবধান কমিয়ে আনেন করিম জানাত।
তবে দলীয় ১৩৩ রানে ১২ বলে ২১ রানে করিমকে বিদায় করেন আমির। সঙ্গী হারালেও মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে রান যোগ করতে থাকেন ইফতিখার। তবে ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই মাহমুদউল্লাহকে বিদায় করেন আমিরই।
সে সময় ১১ বলে ২৩ রানের প্রয়োজন ছিল বরিশালের। ক্রিজে নেমে মেহেদি হাসান মিরাজ পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে রান-বলের ব্যবধান কমিয়ে আনেন। তবে শেষ বলে কোন রান নিতে না পারায় শেষ ওভারে বরিশালের প্রয়োজন দাঁড়ায় ১৫ রানের।

শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বল ওয়াইড দিলেও ইফতিখারকে বিদায় করতে সময় নেননি রাজা। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে এই পেসারের তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। পরের বলে সরসরি থ্রোতে মিরাজকে আউট করেন মুশিফকুর রহিম।
শেষ ৪ বলে ১৫ রানের প্রয়োজন হলে মোহাম্মদ ওয়াসিম ও কামরুল ইসলাম রাব্বি পরের ২ বলে ২ রান নিতে সক্ষম হন। শেষ ২ বলে ১৩ রান প্রয়োজন হলে পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে রোমাঞ্চ জাগিয়ে তুলেন ওয়াসিম। এক বলে ৭ রান রান দরকার হলে ওয়াসিম বাউন্ডারি হাঁকাতে সক্ষম হন শেষ পর্যন্ত। ফলে ২ রানের জয় পেয়ে মাঠ ছাড়ে সিলেট।
সিলেটের ইনিংস-
টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি সিলেটের। স্কোরবোর্ডে ১৫ রান তুলতেই ৩ ব্যাটারকে হারিয়ে বসে চলতি আসরে ৫ জয় পাওয়া দলটি। রানের খাতা না খুলেই প্রথম বলে ফিরেন মুশফিকুর রহিম।
একই পথে হেঁটেছিলেন জাকির হাসানও। তিনিও প্রথম বলে আউট হয়েছিলেন মোহাম্মদ ওয়াসিমের শিকার হয়ে। এরপর তৌহিদ হৃদয়কেও ৪ রানে ফিরিয়েছিলেন এই পেসার। ১৫ রানে ৩ ব্যাটারকে হারালেও মোরেস ও শান্ত মিলে হাল ধরেন দলের।
তাদের ব্যাটে দলীয় ৫০ পার করে সিলেট। এরপর সেখান থেকে দুজনের হাত ধরেই একশো'র পথে হাঁটতে থাকে দল। কিন্তু ৪০ রান করা মোরেসকে ১৪তম ওভারে বিদায় করেন সাকিব আল হাসান। ১০০'র আগে চতুর্থ উইকেট হারালেও থিসারা পেরেরাকে নিয়ে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন শান্ত।
৪৮ বলে মাইলফলকে পৌঁছে অবশ্য থেমে যাননি শান্ত। থিসারার সঙ্গে জুটি বেঁধে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন শান্ত। শেষ ওভারে দলের রান গিয়ে দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১৫৯। শান্ত সে সময় অপরাজিত ৮৪ রানে।
সেঞ্চুরির সুযোগ থাকলেও শেষ ওভারে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি শান্ত। ওভারের তৃতীয় বলে থিসারাকে কামরুল ইসলাম রাব্বি আউট করলেও শেষ বলে শুধু ব্যাটিংয়ের সুযোগ পান এই ওপেনার। সেই বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৮৯ এ অপরাজিত থাকেন তিনি। সিলেটের ইনিংস শেষ হয় ১৭৩ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
সিলেট স্ট্রাইকার্স- ১৭৩/৫ (২০ ওভার) (শান্ত ৮৯*, মোরেস ৪০) (ওয়াসিম ৩/৩৪)
ফরচুন বরিশাল- ১৭১/৮ (২০ ওভার) (ইমরাহীম ৪২, সাইফ ৩১) (রাজা ৩/৪১)